নুরানী লোগো ডিজাইন PLP ফাইল ফ্রি ডাউনলোড 2022 - Islamic Plp File

নুরানী লোগো ডিজাইন PLP ফাইল ফ্রি ডাউনলোড 2022 - Islamic Plp File




 হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) -এর হুলিয়া শরীফ

নবী জীবনীর মধ্যে তাঁর হুলিয়া শরীফ এক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস । এটাও বর্ণনা করা প্রয়োজন । মানুষের বক্তিত্বের উপর তার গঠন আকৃতি ও মুখমণ্ডলের ( হুলিয়ার ) গভীর সম্পর্ক থাকে । 

বুখারী , মুসলিম , মুসনাদে আহমদ , তিরমিজি , নাসায়ী , বায়হাকী , দারকাতনী প্রভৃতি হাদীস গ্রন্থগুলোতে হযরত আলী ( রাঃ ) , হযরত আবু হুরায়রা ( রাঃ ) , হযরত আনাস ( রাঃ ) , হযরত বারা বিন আযেব ( রাঃ ) , হযরত জাবের বিন সামুরা ( রাঃ ) , হযরত ইবনে ওমর ( রাঃ ) , হযরত আবদুল্লাহ বিন বুশর ( রাঃ ) , হযরত হিন্দ বিন আবি হালা ( রাঃ ) এবং আরও অনেক সাহাবায়ে কেরামের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে যে বর্ণনা পাওয়া যায় সে সবের দৃষ্টিতে নবী করীম ( সাঃ ) -এর হুলিয়া মুবারক আলোচনা করছি । 

তাঁর দৈহিক উচ্চতা খুব বেশি ছিল না এবং খুব ছোটও ছিল না মধ্যম আকৃতির থেকে একটু বাড়ন্ত । কোন জনসমাবেশে তিনি থাকলে তাঁকে স্পষ্ট চোখে পড়তো । মুখের আকৃতি লম্বা ধরনেরও ছিল না এবং সম্পূর্ণ গোলগালও ছিল না কিঞ্চিত গোলাকার বিশিষ্ট ।

দেহের বর্ণ বাদামীও ছিল না লালও ছিল না একেবারে সাদাও ছিল না , উজ্জল গৌড় বর্ণ এবং দীপ্তিমান । মাথা ছিল বড় , বুক ছিল প্রসস্ত , দুই কাঁধের মাঝখানে বেশ ব্যবধান । দেখতে হাট্টাগোট্টা তবে মোটা ছিল না । দেহের সাথে সামঞ্জস্যশীল । বাহু ও হাঁটুর নিম্নাংশে হালকা লোমরাশি দেখা যেত ।

দেহের বাকী অংশ ছিল লোমহীন । বুক থেকে নাভী পর্যন্ত একটি কেশ রেখার মত মনে হতো । মাথা ও দাড়িতে চুল ঘন ছিল । চুল হাবশীদের মতো কোকরানো ছিল না একেবারে সোজাও ছিল না । কিছুটা ঢেউ তোলার মত । মৃত্যু পর্যন্ত মাথা ও দাড়িতে বড়জোর বিশটি চুল শ্বেত বর্ণ ধারণ করেছিল । আর তা শুধু চুলে তেল না লাগালেই দেখা যেত । 

মাথার চুল কখনও কানের অর্ধেক পর্যন্ত , কখনও বা কানের তলা পর্যন্ত এবং কখনও তার নীচ পর্যন্ত রাখা হতো । চক্ষুদ্বয় বড়ো এবং সুন্দরছিল । সুরমা না লাগালেও মনে হতো যেন সুরমা রি ত । অক্ষিগোলকে বা চোখের লাটাইয়ে ঈষৎ লাল রেখা ছিল । 

চোখের পাতার লোম ঘন ও দীর্ঘ ছিল । ভুরু একটি অপরটি থেকে পৃথক ছিল । জোড়া ছিলনা মুখ বড় ছিল । আরববাসীগণ একে সৌন্দর্যের নিদর্শন মনে করতো । ছোট মুখ তারা পছন্দ করতোনা । পায়ের তালু হালকা ছিল । হাত পায়ের আঙ্গুল লম্বা ও মাংসল ছিল । পায়ের মধ্যম আঙ্গুলী বুড়ো আঙ্গুল থেকে লম্বা ছিল । 

হাতের তালু ছিল মাংসল । প্রথম নজরে মানুষ একটু ভয় পেতো । কিন্তু যতই তাঁর নিকটবর্তী হতো , তাঁর বিনয় নম্রতা ও মহান চরিত্রে প্রভাবিত হয়ে আপন হয়ে যেতো । চলার সময় এমন দৃঢ় পদক্ষেপে চলতেন যেন নীচে নামছেন উপরে উঠছেন । কোন দিকে তাকালে পুরোপুরি তাকাতেন এবং কোন দিক থেকে মুখ ফিরাতে হলে পুরোপুরি ফেরাতেন । 

আড় নয়নে দেখার অথবা শুধু ঘাড় ফিরিয়ে দেখার অভ্যেস ছিলনা । তাঁর মুখে মুচকি হাসি দেখা যেতো । তিনি যখন হাসতেন তখন অট্টহাস্য করতেন না । তাঁর দৈহিক শক্তি এমন ছিল যে , কুরাইশদের মধ্যে শক্তিশালী পালোয়ান রুকানা যাকে কেউ কোনদিন পরাজিত করতে পারে নাই , একদিন নবী করীম ( সাঃ ) -এর সাথে কুস্তি লড়তে আসে । নবী করীম ( সাঃ ) তাকে আছাড় দিয়ে ফেলিয়া দেন ।

 সে পুনরায় উঠে কুস্তি লড়তে আসে । নবী করীম ( সাঃ ) পুনরায় তাকে আছাড় দিয়ে ফেলিয়া দেন । তখন রুকানা বলল , মুহাম্মদ ! আশ্চর্য , তুমি আমাকে আছাড় মারছ ? নবী করীম ( সাঃ ) কোনদিন ব্যায়াম করেন নাই , কুস্তি করেন নাই ।

 তথাপি রুকানাকে দুবার আছার মেরে ফেলে দিয়েছেন । এই রুকানা পরে মুসলমান হয়ে যান । হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) -এর শৈশবকালের একটি ঘটনা , একবার আবদুল্লাহ বিন জুদ আনের বাড়িতে খানার দাওয়াত ছিল । আবু জেহেল নবী শৈশব কাল ছিল ।

পাক ( সাঃ ) এর সাথে ঝগড়া করতে লেগে যায় । আবু জেহেলের ত তখন নবী করীম ( সাঃ ) তাঁকে এমন জোড়ে আছাড় মেরে ফেলে দেন যে তার হাটু ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় । যার দাগ সারা জীবন রয়ে যায় ।

 ইবনে হিশাম বলেন বদর যুদ্ধে আবু জেহেল নিহত হলে হুজুর ( সাঃ ) বলেন নিহতদের মধ্যে আবু জেহেলের লাশ বের করে দেখ , তাঁর হাটুতে ক্ষতচিহ্ন পাওয়া যাবে । সত্য সত্যই তার লাশের হাটুতে ক্ষতচিহ্ন দেখা গেল । তার এই ক্ষতচিহ্নের কাহিনী নবী করীম ( সাঃ ) বর্ণনা করেন ।


হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) -এর নির্জনে ইবাদত বন্দেগী 

মুহাদ্দিসগণ অহীর সূচনার ঘটনা নিজ নিজ সনদসহ ইমাম যুহরী থেকে , তিনি যুবাইর থেকে এবং তিনি তাঁর খালা হযরত আয়েশা ( রাঃ ) থেকে বর্ণনা করেন ।

 হযরত আয়েশা ( রাঃ ) বলেন , রাসূলুল্লাহ ( সাঃ ) -এর উপর ওহীর সূচনা হয় সত্য ও সুন্দর স্বপ্নের মাধ্যমে । তিনি যে স্বপ্নই দেখেছেন , তা এমন হতো যেন তিনি তা প্রকাশ্য দিবালোকে দেখছেন । তারপর তিনি নির্জনতা অবলম্বন শুরু করলেন ।

 নির্জনতার প্রতি তার আগ্রহ অনেক আগে হতেই ছিল । রাসূলুল্লাহ ( সাঃ ) প্রতি বৎসর একমাস হেরা পর্বতে অবস্থান করতেন । কিছুদিনের আহার সাথে করে নিয়ে যেতেন । তারপর ফিরে এসে প্রথমে সাতবার কাবায় তাওয়াফ্ করতেন এবং আরও কিছুদিনের খাবার বাড়ি থেকে নিয়ে হেরা পর্বতে ফিরে যেতেন । 

হযরত আয়েশা ( রাঃ ) বলেন , নির্জনবাস ও ইবাদত বন্দেগীর সময় তিনি মিসকিনদেরকে অধিক পরিমাণে খানা খাওয়াতেন । হযরত আয়েশা ( রাঃ ) নবী করীম ( সাঃ ) -এর এ কাজকে ' তাহানুস ' শব্দের দ্বারা ব্যক্ত করেন ।

 ইমাম যুহুরী এর ব্যাখ্যায় বলেছেন ইবাদত বন্দেগী , ইহা এক ধরনের ইবাদত ছিল যা তিনি করতেন । তখন পর্যন্ত আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে ইবাদত বন্দেগীর কোন পদ্ধতি তাঁকে বলা হয়নি । তিনি কয়েক দিনের খাদ্য নিয়ে যেতেন তারপর তিনি হযরত খাদিজা ( রাঃ ) -এর কাছে আসতেন এবং তিনি তাঁকে আরও কয়েকদিনের আহারের ব্যবস্থা করে দিতেন ।





আমাদের ওয়েব সাইটের বিষয়বস্তু অনুলিপি করা এবং এটি অন্য কোনও ওয়েবসাইটে পুনরায় প্রকাশ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এটি আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। সুতরাং সাবধান, আমাদের সাইটের লিখিত সামগ্রী কপি করবেন না।

 

যদি আপনার ডাউনলোড করতে সমস্যা হয় তবে দয়া করে মন্তব্য করুন বা ফেসবুক পেজে আমাদের সাথ যোগাযোগ করুন।

 

  • ডিজাইনার: মামুনুল হক
    • সংস্থা: ইসলামিক পিএলপি ফাইল
    • ফাইল ফর্ম্যাট: জিপ সংরক্ষণাগার।
    • ডিজাইনের ফর্ম্যাট: পিএলপি (পিক্সেলল্যাব প্রকল্প) [জেপিজি সংযুক্ত]।
    • ডিজাইন সফটওয়্যার: পিক্সেলল্যাব
    • ডিজাইনের রেজুলেশন: আল্ট্রা এইচডি।
    • ডিজাইনের রঙ: আরজিবি কালার।
    • প্রিন্ট প্রস্তুত: হ্যাঁ।
    • ডিজাইন সমর্থিত অ্যাপ্লিকেশন: পিক্সেলল্যাব ডার্ক।
    • ডিজাইনের অবজেক্টের ধরণ: স্মার্ট অবজেক্ট।
    • ডিজাইনের ধরণ: প্রিমিয়াম ডিজাইন।
    • নকশা মূল্য: বিনামূল্যে।
    • ডিজাইন কোড : I P F - 23






এখনই ডাউনলোড করুন



Post a Comment

Previous Post Next Post