মাদ্রাসা লোগো ডিজাইন PLP ফাইল ফ্রি ডাউনলোড 2022 - Islamic Plp File

মাদ্রাসা লোগো ডিজাইন PLP ফাইল ফ্রি ডাউনলোড 2022 - Islamic Plp File



নবুয়তের আগে যারা নবী ( সাঃ ) - কে খুব কাছ হতে দেখেছেন 

নবুয়তের পূর্বে সবচেয়ে নিকট থেকে নবী করীম ( সাঃ ) কে দেখার ও তাঁর প্রকৃত অবস্থা জানার যাদের সুযোগ হয়েছিল তাঁদের মধ্যে তাঁর পরিবারের লোকজন ছিলেন । 

হযরত খাদিজা ( রাঃ ) পনের বৎসর যাবত তাঁর স্ত্রী হিসেবে জীবন যাপান করেন । হযরত আলী ( রাঃ ) শৈশবকাল থেকেই নবী করীম ( সাঃ ) -এর নিকট লালিত পালিত হন ।

হযরত জায়েদ বিন হারেসা মাতাপিতা ছেড়ে নবী করীম ( সাঃ ) -এর সাথে থাকাকে বেশি পছন্দীয় মনে করেছিলেন । নবী করীম ( সাঃ ) তাঁকে পুত্রবৎ স্নেহ করতেন । 

হযরত উম্মে আয়মান ( রাঃ ) নবী করীম ( সাঃ ) -কে শৈশবে লালন পালন করেন এবং পরিবারের সদস্য হিসেবে নবী ( সাঃ ) এর সাথে সব সময় থাকতেন । নবী করীম ( সাঃ ) বলতেন , আমার মায়ের পরে ইনিই আমার মা । নবী করীম ( সাঃ ) তাঁকে আম্মা বলে ডাকিতেন । 

এঁরা ছাড়াও পরিবার বহির্ভূত অনেকেই ছিলেন যারা নবী করীম ( সাঃ ) এর সহচার্য লাভের মর্যাদা লাভ করেন এবং বেশ কিছুকাল যাবত তাঁরা নবী করীম ( সাঃ ) এর সাথে উঠাবসা করেন । 

হযরত আবু বকর ( রাঃ ) ছিলেন নবী করীম ( সাঃ ) এর নিকটতম বন্ধু । পরে তাঁর কন্যা হযরত আয়েশা ( রাঃ ) কে নবী করীম ( সাঃ ) বিয়ে করেন ।

ইবনে মাদ্দাহ ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) এর একটি বর্ণনা উদ্ধৃত করে বলেন , আঠার বছর বয়স থেকে হযরত আবু বকর ( রাঃ ) হযরত মুহম্মদ ( সাঃ ) এর সাথে উঠাবসা করেন । তখন নবী পাকের বয়স ছিল বিশ বছর । সে সময় থেকেই উভয়ের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব বিরাজ করছিল । হযরত আবুবকর ( রাঃ ) এবং নবী পাক ( সাঃ ) এর মধ্যে যে সমস্ত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এবং বন্ধুত্ব ভাব ছিল সে সময়ে মক্কায় আর কারো মধ্যে দেখা যেত না । জাহেলিয়াতের যুগে হযরত আবু বকর ( রাঃ ) ছিলেন ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন লোক এবং জাতীয় সর্দারগণের মধ্যে ছিলেন অন্যতম । তাঁর পেশা ছিল ব্যবসা । স্বভাব চরিত্রের জন্যে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন , তিনি জীবনে মদ জাতীয় কোন দ্রব্য স্পর্শ করেন নাই । কুরাইশদের লোকেরা খুনের বদলায় যে অর্থদণ্ড নিত তা হযরত আবু বকর ( রাঃ ) এর উপর ছেড়ে দিত ।

কুশনামা সম্পর্কে কুরাইশের লোকেরা তাঁর জ্ঞানের উপরে সবচেয়ে বেশি আস্থা স্থাপন করতো । তাঁর নৈতিক প্রভাব শুধু কুরাইশ নয় । চার পাশের গোত্র গুলোর উপরে ছিল । মক্কার মুসলমানদের উপর যখন অত্যাচার চরমে পৌঁছে তখন হযরত আবু বকর ( রাঃ ) ও হিযরতের জন্যে তৈরি হন । দুই একদিনের পথ চলার পর আহাবিশের সর্দার ইবনুদ্দুগুণার সাথে তাঁর দেখা হয় । সে জিজ্ঞেস করে । আবুবকর , কোথায় যাও ? 

হযরত আবু বকর ( রাঃ ) বলেন , আমার জাতি আমাকে বহিস্কার করে দিয়েছে । বহু দুঃখ কষ্ট দিয়ে আমার জীবন দুর্বিসহ করে দিয়েছে ।

ইবনুদ্দুগুণা বলে , খোদার কসম , তুমিতো সমাজের সৌন্দর্য । বিপদে মানুষের সাহায্য করতে । ভাল কাজ কর , গবীবের উপকার কর । চল আমি তোমাকে আশ্রয় দিব ।

তারপর সে তাঁকে নিয়ে মক্কায় এল এবং ঘোষণা করল , আমি ইবনে আবি কুহাফাকে আশ্রয় দিয়েছি । এখন কেউ যেন তাঁর ভাল ছাড়া মন্দ না করে ৷ ইবনে আবি কুহাফা হযরত আবু বকরের পূর্বের নাম ।

হযরত ওয়াইব বিন সিনান রুমী ছিলেন বনী নামের বিন কাসেতের বংশের । তিনি ইরানের অধীন মুসলের নিকটবর্তী স্থানের বাসিন্দা ছিলেন । শৈশবকালে ইরান ও রোমের মধ্যে যুদ্ধের সময় তিনি গ্রেফতার হন এবং কিছুকাল রোমীয় - দের অধীনে গোলামীর জীবন - যাপন করেন । এভাবে বিক্রি হয়ে হাত বদল হতে হতে মক্কায় এসে পৌঁছেন । এখানে আবদুল্লাহ বিন জুদআন তাঁকে খরিদ করেন । ইবনে জুদআন হযরত আবু বকরের নিকটাত্মীয় ছিলেন । 

এজন্যে তাঁর মাধ্যমে নবী করীম ( সাঃ ) এর সাথে পরিচয় হয় । তিনি প্রায়ই নবী পাক (সাঃ) - এর সাথে সময় কাটাতেন । তিনি এতখানি মর্যাদা লাভ করেছিলেন যে , যখন হযরত ওমর ( রাঃ ) মৃত্যু শয্যায় শায়িত তখন তিনি অছিয়ত করেন যে মজলিশে শূরা কোন ব্যক্তিকে খলিফা নিযুক্ত না করা পর্যন্ত তিনি মসজিদে নববীতে নামায় পড়াবেন ।

 হযরত আমার বিন ইয়াসির ( রাঃ ) তাঁর নিজের বক্তব্য বায়হাকীতে উদ্ধৃত করেন । তাতে বলা হয়েছে , তিনি বলেন , হযরত খাদিজা ( রাঃ ) এর সাথে নবী করীম ( সাঃ ) এর বিয়ের ব্যাপারে আমার চেয়ে অধিক আর কে জানে ? 

হযরত শুয়াইব ( রাঃ ) এবং হযরত আম্মার ( রাঃ ) এক সাথে ইসলাম গ্রহণ করেন । 

হযরত হাকিম বিন হেযাম ( রাঃ ) কুরাইশদের অন্যতম সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি ছিলেন । তিনি হাজীদের পানাহার করানোর মর্যাদা লাভ করেন । তিনি হযরত খাদিজা ( রাঃ ) এর ভাতুষ্পুত্র ছিলেন । নবী করীম ( সাঃ ) এর পাঁচ বছরের বড় ছিলেন তিনি । 

মুসনাদে আহমাদে এরাক বিন মালেকের বর্ণনায় জানতে পারা যায় যে , তিনি বলেন , নবী ( সাঃ ) -কে আমি সবচেয়ে বেশি ভালবাসতাম । যুবাইর বিন বাক্কার বলেন , নবুয়তের পরেও তাঁদের ভালবাসা ছিল অটল - যদিও তিনি মক্কা বিজয়ের পর ঈমান আনেন ।

আয়দে শানুওয়া গোত্রের দিমা বিন সালাবাহ ছিলেন একজন অস্র চিকিৎসক । ইবনে আবদুল বার বলেন , তিনি জাহেলিয়াতের যুগে হযরত নবী করীম ( সাঃ ) এর বন্ধু ছিলেন । 

মুসনাদে আহমাদে ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) এর বর্ণনায় বলা হয়েছে , যখন নবুয়তের সময় মক্কায় আসেন , তখন লোকে তাঁকে বলে যে , মুহম্মদ ( সাঃ ) পাগল হয়েছেন । তখন তিনি সোজা তাঁর নিকট যেয়ে বলেন , বলুন , আপনার কি অসুখ হয়েছে আমি চিকিৎসা করবো । 

হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জবাবে তাকে কয়েকটি প্রভাব বিস্তারকারী কোরআনের আয়াত পড়ে শুনালেন যা খুতবায় পাঠ করা হয় । ইহা শুনে তিনি মুসলমান হয়ে যান । 

এরপর এমন কিছু লোক ছিলেন যাঁরা নিকটাত্মীয় হওয়ার কারণে হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) কে খুব ভালভাবে জানতেন এবং যাদের কাছে নবীর জীবনের কোন কিছুই গোপন ছিল না । যেমন হযরত উসমান বিন আফফান ( রাঃ ) । তিনি নবী করীম ( সাঃ ) এর ফুপী উম্মে হাকীম আল্ বায়দার জামাই ছিলেন । হযরত যুবাইর বিন আওয়াস নবী করীম ( সাঃ ) এর ফুপী হযরত সাফিয়া ( রাঃ ) এর পুত্র ছিলেন ।

 হযরত আবদুর রহমান বিন আওফ ( রাঃ ) , হযরত সাদ বিন আবি ওয়াক্কাস ( রাঃ ) নবী পাক ( সাঃ ) এর মাতার আত্মীয় ছিলেন । হযরত আবু সালমা ( রাঃ ) নবী করীম ( সাঃ ) এর ফুপাতো ভাই এবং দুধ ভাই ছিলেন । হযরত আবদুল্লাহ বিন জাহাশ নবী পাক ( সাঃ ) এর ফুপা উমাইয়ার পুত্র ছিলেন । হযরত জাফর বিন আবি তালিব তাঁর চাচাতো ভাই ছিলেন । 

তারা সকলের আগে ঈমান আনেন , তাঁদের ঈমান আনার অর্থ এই যে , নবী পাক ( সাঃ ) -এর জীবনকে নিকট থেকে দেখার পর তাঁদের হৃদয়ে হুজুর পাক ( সাঃ ) -এর শ্রেষ্ঠত্ব ও মহত্ব এমনভাবে অংকিত হয়ে যায় যে , তাঁকে নবী বলে গ্রহণ করতে তারা দ্বিধাবোধ করেন নাই । এ ঈমানকে আত্মীয়তা , বন্ধত্ব অথবা ব্যক্তিগত ভালবাসার কারণ বলা যেতে পারে না । কারণ এ সবের কারণে কেউ তার ধর্ম বিশ্বাসে বা দীন পরিবর্তন করতে পারে না ।






আমাদের ওয়েব সাইটের বিষয়বস্তু অনুলিপি করা এবং এটি অন্য কোনও ওয়েবসাইটে পুনরায় প্রকাশ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এটি আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। সুতরাং সাবধান, আমাদের সাইটের লিখিত সামগ্রী কপি করবেন না।

 

যদি আপনার ডাউনলোড করতে সমস্যা হয় তবে দয়া করে মন্তব্য করুন বা ফেসবুক পেজে আমাদের সাথ যোগাযোগ করুন।

 

  • ডিজাইনার: মামুনুল হক
    • সংস্থা: ইসলামিক পিএলপি ফাইল
    • ফাইল ফর্ম্যাট: জিপ সংরক্ষণাগার।
    • ডিজাইনের ফর্ম্যাট: পিএলপি (পিক্সেলল্যাব প্রকল্প) [জেপিজি সংযুক্ত]।
    • ডিজাইন সফটওয়্যার: পিক্সেলল্যাব
    • ডিজাইনের রেজুলেশন: আল্ট্রা এইচডি।
    • ডিজাইনের রঙ: আরজিবি কালার।
    • প্রিন্ট প্রস্তুত: হ্যাঁ।
    • ডিজাইন সমর্থিত অ্যাপ্লিকেশন: পিক্সেলল্যাব ডার্ক।
    • ডিজাইনের অবজেক্টের ধরণ: স্মার্ট অবজেক্ট।
    • ডিজাইনের ধরণ: প্রিমিয়াম ডিজাইন।
    • নকশা মূল্য: বিনামূল্যে।
    • ডিজাইন কোড : I P F - 20






এখনই ডাউনলোড করুন



1 Comments

  1. প্রেমিকার জন্য রোমান্টিক প্রেমের ছন্দ ~(বাংলা স্ট্যাটাস)


    প্রিয় মানুষকে নিজের অনুভূতি ভালোবাসার কথা প্রকাশ করতে আমাদের এই এ্যাপটি ব্যবহার করুন।


    প্রেমিকার জন্য রোমান্টিক প্রেমের ছন্দ এই app এ আছে অনেক প্রেমের শায়েরী , ভালোবাসার কথা, রোমান্টিক প্রেম, প্রেমের স্ট্যাটাস, Premer Ukhti, Valobashar Sms সুন্দরী মেয়ে পটানোর মেসেজ রোমান্টিক sms
    যা আপনি আপনার প্রিয় মানুষটিকে খুশি করার জন্য অবশ্যই কাজে লাগাতে পারেন।

    প্রেমিকার জন্য রোমান্টিক এস এম এস অ্যাপ অত্যন্ত সহজ এবং সুন্দর একটি App, যেখান থেকে আপনি সকল দরনের ভালোবাসার রোমান্টিক এস এম এস গুলিকে খুব সহজে Copy এবং Share করতে পারবেন।Share করার জন্য এসএমএস
    এর নিচে Copy এবং Share এর বোতাম দেয়া আছে, সেই বোতামটি টিপে আপনি সেই এসএমএস টি Share করতে পারবেন

    https://play.google.com/store/apps/details?id=com.tubanewapps.romanticsundaymalaostatus

    ReplyDelete
Previous Post Next Post