ভর্তি পোষ্টার ডিজাইন PLP ফাইল ফ্রি ডাউনলোড 2022 - Islamic Plp File

ভর্তি পোষ্টার ডিজাইন PLP ফাইল ফ্রি ডাউনলোড 2022 - Islamic Plp File


বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর অহীর সূচনা 


নবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) এর বয়স যখন চল্লিশ বছর ছয় মাস । সাধারণত বলা হয় যে চল্লিশ বছর বয়সে নবুয়ত লাভ করেন । কিন্তু নবী করীম ( সাঃ ) -এর জন্ম ২ য় প্রথম হাতি বছর রবিউল আওয়াল মাসে এবং নবুয়ত দান করা হয় হাতি বছর রমযান মাসে । এ জন্যে অহীর সূচনাকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ঠিক চল্লিশ বছর ছয় মাস । 

তখন একদিন রমযান মাসে হেরা পর্বতের গুহায় তাঁর উপর অহী নাযিল হয় । জিব্রাইল ফেরেশতা তাঁর মুখোমুখী দাঁড়িয়ে বলেন , পড়ুন । আবদুল্লাহ বিন যুবাইর ( রাঃ ) এবং ইবনে ইসহাক ওবায়দুল্লাহ বিন ওমাইর আল লায়শীর বর্ণনা উদ্ধৃত করে বলেন , নবী করীম ( সাঃ ) বলেন , স্বপ্নে জিব্রাইল ( আঃ ) এসে রেশমী কাপড় লিখিত একটা জিনিস আমাকে দেখালেন যাতে সূরায়ে আলাকের প্রথমদিকের আয়াতগুলো লিখা ছিল ।

তারপর আমাকে পড়তে বললেন । আমি বললাম , আমি পড়তে জানিনা । তখন তিনি আমাকে এমনভাবে চেপে ধরলেন যে , প্রাণ বেড়িয়ে যাওয়ার উপক্রম হলো । তারপর আমাকে ছেড়ে দিয়ে বললেন , পড়ুন । তারপর সূরা আলাকের ‘ মালাম ইয়ালাম ' পর্যন্ত আমাকে পড়ালেন । ঘুম হতে জাগ্রত হওয়ার পর আমার মনে হলো কথাগুলো যেন আমার বুকের মধ্যে লিখা হয়ে গেছে । 

বুখারী শরীফের কয়েক স্থানে এ ঘটনা হযরত আয়েশা ( রাঃ ) থেকে বর্ণনা করা হয়েছে । তিনি স্বয়ং রাসূলুল্লাহ ( সাঃ ) -এর কথা উদ্ধৃতি করেন যাতে তিনি বলেন , আমি বললাম আমিতো পড়িতে জানি না । তখন ফেরেশতা আমাকে এমনভাবে চেপে ধরলেন যে , তা আমার অসহ্য হয়ে পড়লো । তারপর আমাকে ছেড়ে দিয়ে বললেন , পড়ুন । আমি বললাম , আমি পড়তে জানিনা । তারপর তিনি আমাকে দ্বিতীয়বার চেপে ধরলেন , তা আমার অসহ্য হয়ে পড়ল । তিনি ছেড়ে দিয়ে আবার বললেন , পড়ুন । আমি বললাম , আমিত পড়িতে জানিনা । তিনি তৃতীয়বার আমাকে চেপে ধরলেন এবং আমার তা অসহ্য হয়ে পড়ল । তারপর তিনি আমাকে ছেড়ে দিয়ে বললেন

 اقرا باسم ربك الذي خلق ـ خلق الانسان من علق ـ اقرا وربك الاكرم ـ الذي علـم بـالـقـلـم ـ عـلـم الانسان مالـم يعـلـم -

উচ্চারণ : ইকুরা বিসৃমি রাব্বিকাল্লাজি খালাকা । খালাকাল ইনসানা মিন আলাক্ । ইক্বরা ওয়া রাব্বুকাল আকরামুল্লাজি আল্লামাবিল কালাম আল্লামাল ইনসানা মা - লাম - ইয়ালাম ।

পাঠ করুন আপনার পালনকর্তার নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন । সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্ত থেকে পাঠ করুন আপনার পালনকর্তা মহান দয়ালু যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন । শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানতো না । ( সূরা আলাকু আয়াত – ১-৫ ) ।

হযরত আয়েশা ( রাঃ ) বলেন , তারপর রাসূলুল্লাহ ( সাঃ ) ভীত কম্পিত অবস্থায় হযরত খাদিজা ( রাঃ ) -এর নিকটে এসে পৌছিলেন এবং বললেন , “ আমাকে জড়িয়ে দাও , আমাকে জড়িয়ে দাও । " তার ভয় ও শংকার ভাবটা যখন কেটে গেল তখন তিনি বললেন , হে খাদিজা ! এ আমার কি হলো ? তারপর সব ঘটনা তাঁর কাছে বলার পর তিনি বললেন , আমারতো ভয় হচ্ছে , এই ভয়ের অনেক কারণ আলেমগণ বর্ণনা করেছেন যার সংখ্যা হবে বার ।

কিন্তু সঠিক ব্যাখ্যা হচ্ছে নবুয়তের কঠোর দায়িত্বভার গ্রহণের চিন্তা করে তিনি ভীত ও কম্পিত হচ্ছিলেন এবং বার বার তাঁর এ কথা মনে হচ্ছিল যে তিনি কিভাবে এ গুরুভার বহন করবেন । এর থেকে অনুমান করা যায় যে , নবী করীম ( সাঃ ) নিজেকে বিরাট কিছু মনে করতেন না এবং তাঁর মনে এমন কোন অভিলাসও ছিলনা যে তাঁর মতো লোকের নবী হওয়াই উচিত । তাঁর এ গর্ববোধও ছিল না যে এই বিরাট কাজ করার শক্তি ও যোগ্যতা তাঁর ছিল । যাহোক , সমস্ত শুনে হযরত খাদিজা ( রাঃ ) বলেন , কখনই না , বরঞ্চ আপনি খুশী হয়ে যান । 

খোদার কসম আল্লাহ পাক কখনও আপনার মর্যাদাহানি করবেন না । আপনি আত্মীয় - স্বজনের সাথে সদাচারণ করেন , সত্য কথা বলেন এবং বর্ণনায় আছে আপনি আমানত আদায় করেন । অসহায় লোকদের বোঝা বহন করেন । অক্ষম লোকদের উপার্যন করে দেন , মেহমানদারী করেন , সৎকাজে সাহায্য করেন । অন্য এক বর্ণনায় এ কথাও আছে , আপনার চরিত্র অতি মহান ।

তারপর হযরত খাদিজা ( রাঃ ) । নবী করীম ( সাঃ ) -কে নিয়ে তাঁর চাচাতো ভাই ওয়ারাকা বিন নওফেল এর কাছে গেলেন । নওফেল জাহেলিয়াতের যুগে মুর্তিপূজা পরিত্যাগ করে ঈশায়ী ধর্ম পালন করতেন । আরবি ও ইবরানী ভাষায় ইঞ্জিল লিখতেন । তার অনেক বেশি বয়স হয়েছিল এবং অন্ধ ছিলেন । 

হযরত খাদিজা ( রাঃ ) তাঁকে বললেন , ভাইজান ! আপনার ভাতিজার ঘটনা শুনুন । নবী করীম ( সাঃ ) -কে ভাতিজা বলার কারণ হল তাঁর তৃতীয় পুরুষের আবদুল ওয্যা হুজুর ( সাঃ ) -এর চতুর্থ পুরুষের আবদুল মান্নাফের ভাই ছিলেন। 

আবু নঈমের বর্ণনা মতে হযরত খাদিজা ( রাঃ ) স্বয়ং সম্পূর্ণ ঘটনা ওয়ারাকে শুনিয়ে দেন । ওয়ারাকা নবী করীম ( সাঃ ) -কে বললেন , ভাতিজা ! তুমি কি দেখেছিলে ? রাসূলুল্লাহ ( সাঃ ) যা দেখেছিলেন তা বলেন । ওয়ারাকা নামুস ( উর্ধ আকাশ থেকে অহী আনয়নকারী ফেরেশতা ) যাকে হযরত মুসা ( আঃ ) -এর প্রতি নাযিল করা হয়েছিল । আহা ! যদি তোমার নবুয়তের সময় আমি শক্ত সামর্থ থাকতাম । 

আহা ! যখন তোমার জাতি তোমাকে দেশ হতে বহিস্কার করে দিবে তখন আমি যদি জীবিত থাকতাম । রাসূলুল্লাহ ( সাঃ ) বলেন — এ সব লোকেরা আমাকে বের করে দিবে ? ওয়ারাকা বললেন হ্যা , কখনও এমন হয়নি যে , কোন ব্যক্তি এমন জিনিস নিয়ে এসেছে , যা তুমি এনেছ ।

আর তার সাথে শত্রুতা করা হয়নি । আমি যদি তোমার সে যুগ পর্যন্ত বেঁচে থাকতাম , তাহলে মনেপ্রাণে সাহায্য সহযোগিতা করতাম । কিন্তু কিছুকাল অতিবাহিত হতে না হতে ওয়ারাকা ইন্তেকাল করেন । অহী নাযিলের অবস্থাটি বুঝতে হলে প্রথমেই মনে রাখতে হবে নবী করীম ( সাঃ ) -এর নিকটে আকস্মিকভাবে এ ঘটনা ঘটে । এর আগে তাঁর ধারণাও ছিল না যে তাঁকে নবী বানানো হবে । তাঁর মনের কোন স্থানেই এ ধরনের কোন অভিলাষ ছিল না । আর এর জন্যে কোন প্রস্তুতিও ছিল না ।

ফেরেশতা আসমান হতে তাঁর নিকট অহী নিয়ে আসবেন একথা কখনই আশা করেন নাই । নির্জনে হেরা পর্বতের গুহায় বসে মুরাকাবা ও ইবাদত বন্দেগী করেছেন । কিন্তু নবী হওয়ার কোন ধ্যান ধারণাই তাঁর মনে এতটুকু স্থান পায় নাই । এ অবস্থায় যখন হেরা পর্বতের নির্জন গুহায় হটাৎ করে ফেরেশতা এসে পড়লেন , তখন তিনি হতভম্ব ও কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে পড়লেন । তাঁর মনে বিভিন্ন প্রশ্ন জাগতে লাগলো এবং মন বিরাট উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় ভরে গেল । তিনি ভাবছিলেন আমাকে কোন অগ্নি পরীক্ষার সম্মুখীন করা হইল ।

এ বিরাট দায়িত্বের বোঝা আমি কিভাবে বহন করবো । মানুষ আমার কথা কিভাবে মেনে নিবে । আজ পর্যন্ত যে সমাজে আমি সম্মানের সাথে বসবাস করে এসেছি এখন সে সমাজের লোক আমাকে ঠাট্টা বিদ্রুপ করবে , আমাকে পাগল বলবে । এ জাহেলিয়াতের পরিবেশে আমি কিভাবে এই দীন প্রচার করবো । এ ধরনের প্রশ্ন তাঁর মনকে বিব্রত করে তুলছিল । এ কারণেই তিনি যখন হেরা পর্বতের গুহা থেকে বাড়ী ফিরলেন তখন তিনি কম্পিত হচ্ছিলেন । বাড়ি পৌছা মাত্র তিনি বললেন , আমাকে কম্বল দিয়ে জড়ায়ে দাও । বাড়ির লোকজন তাঁকে জড়ায়ে দিলেন । কিছুক্ষণ পর যখন তিনি প্রকৃতিস্থ হলেন তখন সম্পূর্ণ ঘটনা হযরত খাদিজা ( রাঃ ) -এর নিকট শুনায়ে দেন । তিনি বললেন ,

لقد خبشيت على نفسی 

আমার জানের ভয় করছে । 

হযরত খাদিজা ( রাঃ ) তাঁকে শান্তনা দিয়ে বললেন -

كلا والـلـه مـايـحـذتـك الـلـه ايـد ـ انك لتصل الرحم وتصدقا الحـديـت وتـحـمـل الـكـل وتـكسب الـمـحـدم وتـفـرى الضيـف وتـعـين علـى نـوائـب الحـق -

 - খোদার কসম , কখনই না , আল্লাহ পাক আপনাকে দুঃখ - কষ্ট দিবেন না । আপনি আত্মীয় - স্বজনের খেদমত করেন , সত্য কথা বলেন , অসহায়ের সাহায্য করেন , নিঃস্ব - অভাবীদের অভাব মোচন করেন , মেহমানের আপ্যায়ন করেন , সকল নেক কাজে সাহায্য করেন ।

এরপর তিনি নবী করীম ( সাঃ ) -কে ওয়ারাকা বিন নওফেলের নিকট নিয়ে গেলেন । কারণ তিনি আহলে কিতাবভুক্ত ছিলেন । পূর্ববর্তী নবীগণের অবস্থা সম্পর্কে তিনি অবহিত ছিলেন । তিনি নবী করীম ( সাঃ ) -এর অবস্থা শুনার পর স্বতস্ফূর্তভাবে বলে উঠলেন এ হচ্ছে সে ' নামুস ' যা হযরত মুসা ( আঃ ) -এর নিকট নাযিল হয়েছিল । ওয়ারাকার একথা বলার কারণ হলো , তিনি নবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) -এর শৈশব থেকে যৌবন পর্যন্ত তাঁর পবিত্র চরিত্র সম্পর্কে অবহিত ছিলেন।



আমাদের ওয়েব সাইটের বিষয়বস্তু অনুলিপি করা এবং এটি অন্য কোনও ওয়েবসাইটে পুনরায় প্রকাশ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এটি আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। সুতরাং সাবধান, আমাদের সাইটের লিখিত সামগ্রী কপি করবেন না।

 

যদি আপনার ডাউনলোড করতে সমস্যা হয় তবে দয়া করে মন্তব্য করুন বা ফেসবুক পেজে আমাদের সাথ যোগাযোগ করুন।

 

  • ডিজাইনার: মামুনুল হক
    • সংস্থা: ইসলামিক পিএলপি ফাইল
    • ফাইল ফর্ম্যাট: জিপ সংরক্ষণাগার।
    • ডিজাইনের ফর্ম্যাট: পিএলপি (পিক্সেলল্যাব প্রকল্প) [জেপিজি সংযুক্ত]।
    • ডিজাইন সফটওয়্যার: পিক্সেলল্যাব
    • ডিজাইনের রেজুলেশন: আল্ট্রা এইচডি।
    • ডিজাইনের রঙ: আরজিবি কালার।
    • প্রিন্ট প্রস্তুত: হ্যাঁ।
    • ডিজাইন সমর্থিত অ্যাপ্লিকেশন: পিক্সেলল্যাব ডার্ক।
    • ডিজাইনের অবজেক্টের ধরণ: স্মার্ট অবজেক্ট।
    • ডিজাইনের ধরণ: প্রিমিয়াম ডিজাইন।
    • নকশা মূল্য: বিনামূল্যে।
    • ডিজাইন কোড : I P F - 33






এখনই ডাউনলোড করুন



পিএলপি কর্নার ✅

ইসলামিক লোগো,মাহফিল পোস্টার,ঈদ শুভেচ্ছা,ইফতার মাহফিল,ভিজিটিং কার্ড, ক্যালেন্ডার,নির্বাচনী পোস্টার ডিজাইন সহ সকল প্রকার পি এল পি ফাইল পাওয়া যাবে।

1 Comments

Previous Post Next Post