নির্বাচন পোষ্টার ডিজাইন PLP ফাইল ফ্রি ডাউনলোড 2022 - Islamic Plp File

নির্বাচন পোষ্টার ডিজাইন PLP ফাইল ফ্রি ডাউনলোড 2022 - Islamic Plp File, I P F - 60



 

পরিবার পরিকল্পনা


প্রশ্নঃ কত বছর বয়সে প্রথম বাচ্চা নেয়া উচিত ? আমার তো অল্প বয়সে বিয়ে হয়েছে । আমি বাচ্চা নিব কিনা , কতদিন পরে নিব ? বিয়ের কত বছর পর বাচ্চা নিলে ভাল হবে ? আমার অল্প বয়সে বিয়ে হয়েছে তখন যদি কাউকে পেতাম তা হলে জিজ্ঞেস করতাম কখন বাচ্চা নিব ?

উত্তরঃ একটি মেয়ের ২০ বছর বয়সের পর বাচ্চা নেয়া মা ও শিশু উভয়ের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল । যদি এ বয়সের আগে কোন মেয়ে গর্ভবর্তী হয় , তাহলে তার নানান ধরনের শারীরিক সমস্যা হয় । কারণ এ সময়ে মেয়েদের কোমরের হাড় পুরোপুরি বাড়ে না , তাই গর্ভবতী হলে পেটের বাচ্চা বেড়ে ওঠার জন্য যথেষ্ট জায়গা পায় না । ফলে কম ওজনের শিশু জন্ম নেয় - আর এসব শিশুর রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কম থাকে । অল্প বয়সে প্রসব ও ডেলিভারির রাস্তাটা ছোট থাকে তাই বাচ্চা হওয়ার সময় অতিরিক্ত চাপের ফলে এ রাস্তা ছিঁড়ে যায় , অনেক সময় বাচ্চা বের হতেও অনেক কষ্ট হয় । এ বয়সে মা হলে মা ও সন্তানের মৃত্যুর আশংকা অনেক বেশি থাকে । এছাড়া অল্প বয়সে ছেলেরা ও মেয়েরা মানসিকভাবে পুরোপুরি বড় হয় না । বাচ্চা যত্ন ও করে কিভাবে বড় করে তুলতে হয় ' অল্পবয়সী মেয়েরা তেমন বুঝতে পারে না আর অল্পবয়সী ছেলেদেরও বাবা হবার মত দায়িত্ববোধ তৈরি হয় না ।

প্রশ্নঃ আমাদের বিয়ে হয়নি , পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে মানুষ কি বলবে ।

উত্তরঃ প্রত্যেক ছেলেমেয়েরই বিয়ের আগে পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কে জানা উচিত । এতে লজ্জার কিছু নেই । কারণ এ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকলে কখন বাচ্চা নেয়া উচিত , সে ব্যাপারে ভেবে চিত্তে সিদ্ধান্ত নেয়া যায় । জীবনকে সুখী ও সুন্দর করার লক্ষ্যে স্বামী - স্ত্রী দু'জনে মিলে চিন্তাভাবনা করে পরিকল্পিতভাবে পরিবার গঠন করাই হচ্ছে পরিবার পরিকল্পনা । তবে সন্তান নেয়ার আগে স্বামী - স্ত্রী দু'জনে মিলে চিন্তা করবে তারা কখন সন্তান নিতে চায় এবং সন্তান নেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় শারীরিক , মানসিক ও আর্থিক প্রস্তুতি তাদের আছে কিনা । যেমন - কমপক্ষে ২০ বছর বয়স হবার আগে মেয়েদের শরীরে মা হওয়ার মত পূর্ণতা আসেনা । এছাড়া বিয়ের পর পরস্পরকে বোঝার ও জানার জন্য কিছু সময় প্রয়োজন । সন্তান হওয়ার পর তাকে আদর যত্ন দিয়ে বড় করে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় সময় এবং সন্তান লালন - পালন করার মত যথেষ্ট আয় রোজগার আছে কিনা সেটাও ভেবে সন্তান নেয়া উচিত ।

প্রশ্নঃ পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতিগুলো কি আম্মাকে জিজ্ঞেস করলে , বকা দেয় । ( পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতিগুলো কি কি ? )

উত্তরঃ দেরিতে সন্তান চাইলে বা আর কোন সন্তান না চাইলে বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা যায় , এ পদ্ধতিগুলোকে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি বলে । প্রচলিত পরিবার পরিকল্পনা । পদ্ধতিগুলো হল - খাবার বড়ি , কনডম , আইইউডি ( কপারাটি ) , ইনজেকশন , নরপ্ল্যান্ট , মহিলা বন্ধ্যাকরণ ( লাইগেশন ) এবং পুরুষ বন্ধ্যাকরণ ( ভ্যাসেকটমি ) ।

প্রশ্নঃ পরিবার পরিকল্পনার পদ্ধতি কিভাবে কাজ করে আমি জানিনা ।

উত্তরঃ যৌনমিলনের সময় ছেলেদের শুক্রাণু মেয়েদের ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হয় । এব ফলে মেয়েদের গর্ভধারণ হয় বা পেটে বাচ্চা আসে । পরিবার পরিকল্পনার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে । এ পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করলে গর্ভধারণ হয় না । তাই বাচ্চার জন্ম হয় না ।

প্রশ্নঃ সবাই বলে , পরিবার পরিব ব্লনার ব্যবহারে বাচ্চা হওয়া একেবারেই বন্ধ হয়ে যেতে পারে । পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহারে বাচ্চা হওয়া একেবারেই বন্ধ হয়ে যেতে পারে , এটা কি ঠিক ?

উত্তরঃ পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি দু’রকম ; অস্থায়ী এবং স্থায়ী পদ্ধতি । যত দিন অস্থায়ী পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় তত দিন পেটে বাচ্চা আসে না , ব্যবহার বন্ধ করার পর বাচ্চা চাইলে আবার বাচ্চা হয় , আবার বড়ি , কনডম , আইইউডি ( কপারটি ) , ইনজেকশন ও নরপ্ল্যান্ট অস্থায়ী পদ্ধতি । কাজেই যারা মনে করে এসব পদ্ধতি ব্যবহার করলে বাচ্চা হওয়া একেবারে বন্ধ হয়ে । যায় , তাদের ধারণা ভুল । তবে স্থায়ী পদ্ধতি যেমন - লাইগেশন ও ভ্যাসেকটমি করালে বাচ্চা একেবারেই হয় না । তাই কোন স্বামী - স্ত্রী যদি স্থায়ী পদ্ধতি যেমন মহিলা বা পুরুষ বন্ধ্যাকরণ গ্রহণ করেন , তাহলে বাচ্চা হওয়া স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাবে ।

প্রশ্নঃ বিয়ের পরে কি কনডম বা গর্ভ নিয়ন্ত্রণ বড়ি ব্যবহার করা যায় ?

উত্তরঃ বিয়ের আগে যৌনমিলন আমাদের ধর্ম ও সমাজ মেনে নেয় না । এটা ধর্মীয় ও সামাজিক দৃষ্টিতে একটা মারাত্মক শাস্তিযোগ্য অপরাধ । বিলম্বে সন্তান চাইলে এগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে । তবে বিয়ের পরে বিশেষ পরিস্থিতিতে যদি প্রয়োজন হয় , সেক্ষেত্রে কনডম বা বড়ি ব্যবহার করা যেতে পারে ।

প্রশ্নঃ বিয়ের সাথে কি পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহার করা খারাপ ?

উত্তরঃ বিয়ের সাথে সাথে কেহ বাচ্চা নিতে না চাইলে অস্থায়ী পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি , যেমন — খাবার বড়ি , কনডম ইত্যাদি ব্যবহার করা যায় । স্বাস্থ্যকর্মী বা ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে এর মধ্যে যে কোন একটি পদ্ধতি বেছে নেয়া যায় ।

প্রশ্নঃ আমি নতুন বিয়ে করেছি । পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি সম্পর্কে আমার কোন পরিষ্কার ধারণা নেই । এজন্যই আমি এ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাই । নব বিবাহিতদের জন্য কোন্ পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহার করা ভাল ?

উত্তরঃ যারা নতুন বিয়ে করেছেন এবং দেরিতে বাচ্চা চান তাদের জন্য কনডম অথবা খাবার বড়ি উপযুক্ত পদ্ধতি । যে কোন ক্লিনিক থেকে এ সম্পর্কে ভালভাবে জেনে নিতে পারেন ।

প্রশ্নঃ শ্বাশুড়ী পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহার করতে দেয় না , বলেন একটা বাচ্চা হোক তারপর কেন বলেন ?

উত্তরঃ আমাদের সমাজে অনেক গুরুজন বিয়ের পরপরই নতুন বাচ্চার মুখ দেখতে চান । তাই নতুন বউকে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহার করতে দেন না । অনেকে মনে করেন অন্তত একটি বাচ্চা হওয়ার আগে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহার করা ঠিক নয় । কিন্তু এ ধারণা ভুল । নববিবাহিত দম্পতি বাচ্চা নিতে না চাইলে কনডম অথবা খাবার বড়ি ব্যবহার করতে পারেন । কনডম বা খাবার বড়ি যে - কোন ওষুধের দোকানে পাওয়া যায় ।

প্রশ্নঃ কনডমটা কি জিনিস ? কনডমের নাম শুনেছি । এটা আসলে কি ?

উত্তরঃ কনডম পুরুষদের ব্যবহারের জন্য একটি অস্থায়ী পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি । এটি পাতলা , নরম রাবারের খাপ যা যৌন মিলনের সময় বীর্য কনডমের মধ্যেই থেকে যায় এবং যোনিপথে ঢুকতে পারে না বলে বাচ্চা হয় না । একটি কনডম একবারই ব্যবহার করা যায় । জন্মনিয়ন্ত্রণ ছাড়াও কনডমের সবচেয়ে বড় সুবিধা যে এটি যৌনরোগ থেকে রক্ষা করে ।

প্রশ্নঃ কনডম ব্যবহার করা ভাল না । তাতে স্বামীর আয়ু কমে যায় । শক্তি পায় না । কনডম ব্যবহার করলে কোন অসুবিধা হয় ? আমি শুনছি যে যৌন কাজের শক্তি কমে যায় । তাই আমি স্বামীকে কনডম ব্যবহার করতে দেই না । কারণ গ্রামের এক মহিলার কাছে । শুনছি যে বেলুন বউয়ের নাড়িতে ঘা করে । এজন স্বামী কনডম ব্যবহার করে না । যদি ব্যবহার করে আমাদের অসুখ হবে । কিন্তু কি অসুগ্ধ হয় জানি না । কনডম ব্যবহার করলে স্বামী এবং স্ত্রীর কি অসুখ বা অসুবিধা হতে পারে ?

উত্তরঃ কনডম পুরুষের একটি নিরাপদ , সহ অস্থায়ী পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি । এ পদ্ধতির কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই । কনডম ব্যবহারে যৌন শক্তি কমে না বা স্বামীর আয়ুও কমে যায় না । এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা । কনডম ব্যবহার করলে স্বামী বা স্ত্রী কারোরই কোন অসুখ বা অসুবিধা হয় না বরং বিভিন্ন যৌন রোগ যেমন - সিফিলিস , গনোরিয়া , হেপাটাইটিস বি এবং এইডস - এর মত ভয়ংকর রোগ থেকে বাঁচা যায় ।

প্রশ্নঃ কনডম যৌনরোগ থেকে রক্ষা করে , খাবার বড়িও কি তাই করে ?

উত্তরঃ একমাত্র কনডমই যৌনরোগ থেকে রক্ষা করে । কিন্তু খাবার বড়ি যৌনরোগ থেকে পুরুষ বা মহিলা কাউকেই রক্ষা করতে পারে না ।

প্রশ্নঃ কনডম দিয়ে সঙ্গম করলে অতৃপ্তি লাগে । আমার স্ত্রী বড়ি সহ্য করতে পারে না । তার শরীর খারাপ লাগে । এ অবস্থায় কোন্ পদ্ধতি ব্যবহার করব ?

উত্তরঃ কারো কারো কনডম ব্যবহারে অতৃপ্তি লাগতে পারে । প্রথম প্রথম অনভ্যাসের কারণে অতৃপ্তি মনে হলেও ধৈর্য ধরে ব্যবহার করলে দেখা যায় কনডম ব্যবহারে আর অতৃপ্তি লাগে না বরং আরো বেশি তৃপ্তি পাওয়া যায় । খাবার বড়ি ব্যবহারের প্রথম দিকে কিছু পার্শ্ব - প্রতিক্রিয়া ( অসুবিধা হতে পারে । তবে আস্তে আস্তে এগুলো কমে যায় । কোন পদ্ধতি ব্যবহারে অসুবিধা হলে স্বাস্থ্যকর্মী বা ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে অন্য যে কোন পদ্ধতি ব্যবহার করা যায় ।

প্রশ্নঃ বড়ি না কনডম , কোন্‌টা ভাল ?

উত্তরঃ খাবার বড়ি ও কনডম দু'টিই অস্থায়ী পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি । খাবার বড়ি মহিলাদের জন্য আর কনডম পুরুষদের জন্য । দু'টি পদ্ধতিই সঠিকভাবে ব্যবহার করে অস্থায়ীভাবে পরিবার পরিকল্পনা করা যায় । বড়ি খেলে অনেক সময় প্রথম কিছুদিন মাথা ঘোরায় , বমি বমি লাগে । আবার কনডমের কোন পার্শ্ব - প্রতিক্রিয়া নেই । অস্থায়ী পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি হিসেবে বড়ি বা কনডম দু'টিই ভাল । তবে একেক পদ্ধতি একেকজনের শরীরের সাথে মানিয়ে যায় ।

প্রশ্নঃ কনডম কাদের জন্য ?

উত্তরঃ যে - কোন সক্ষম পুরুষই কনডম ব্যবহার করতে পারেন । বিশেষ করে নববিবাহিত । স্ত্রী সম্প্রতি সন্তান প্রসব করেছেন । যেসব দম্পতি দু'জন দু'জায়গায় থাকেন এবং মাঝে মাঝে একত্রে বসবাস করেন । কোন যৌনবাহিত রোগের ভয় থাকলে এবং এ রোগের চিকিৎসা চলার সময় ।



আমাদের ওয়েব সাইটের বিষয়বস্তু অনুলিপি করা এবং এটি অন্য কোনও ওয়েবসাইটে পুনরায় প্রকাশ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এটি আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। সুতরাং সাবধান, আমাদের সাইটের লিখিত সামগ্রী কপি করবেন না।

 

যদি আপনার ডাউনলোড করতে সমস্যা হয় তবে দয়া করে মন্তব্য করুন বা ফেসবুক পেজে আমাদের সাথ যোগাযোগ করুন।

 

  • ডিজাইনার: মামুনুল হক
    • সংস্থা: ইসলামিক পিএলপি ফাইল
    • ফাইল ফর্ম্যাট: জিপ সংরক্ষণাগার।
    • ডিজাইনের ফর্ম্যাট: পিএলপি (পিক্সেলল্যাব প্রকল্প) [জেপিজি সংযুক্ত]।
    • ডিজাইন সফটওয়্যার: পিক্সেলল্যাব
    • ডিজাইনের রেজুলেশন: আল্ট্রা এইচডি।
    • ডিজাইনের রঙ: আরজিবি কালার।
    • প্রিন্ট প্রস্তুত: হ্যাঁ।
    • ডিজাইন সমর্থিত অ্যাপ্লিকেশন: পিক্সেলল্যাব ডার্ক।
    • ডিজাইনের অবজেক্টের ধরণ: স্মার্ট অবজেক্ট।
    • ডিজাইনের ধরণ: প্রিমিয়াম ডিজাইন।
    • নকশা মূল্য: বিনামূল্যে।
    • ডিজাইন কোড : I P F - 60






এখনই ডাউনলোড করুন



পিএলপি কর্নার ✅

ইসলামিক লোগো,মাহফিল পোস্টার,ঈদ শুভেচ্ছা,ইফতার মাহফিল,ভিজিটিং কার্ড, ক্যালেন্ডার,নির্বাচনী পোস্টার ডিজাইন সহ সকল প্রকার পি এল পি ফাইল পাওয়া যাবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post