হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায় ২০২২ - ইসলামিক পিএলপি ফাইল

 

হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায় ২০২২ - ইসলামিক পিএলপি ফাইল


হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায়

আমাদের অতি পরিচিত একটি শারীরিক সমস্যা হলো হাই প্রেসার বা উচ্চরক্তচাপ। চিকিৎসকেরা জানান,প্রেসার অতিরিক্ত বেড়ে স্টোক, হার্ট অ্যাটাক,কিডনির সমস্যা ইত্যাদির কারণ হতে পারে।

হাই প্রেসারের রোগীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিজেদের সমস্যা বুঝতে পারেনা। এটিপরবর্তীতে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে।

হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য জীবন যাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি। শরীরের রক্ত চাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা গেলে,অন্যান্য অসুখ থেকে দূরে থাকা সহজ হবে।

তো চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এখন জেনে নেওয়া যাক, হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া কিছু উপায়।

তো অবশ্যই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন। আশাকরি অনেক উপকৃত হবেন।

ওজন নিয়ন্ত্রণ : হাই প্রেসারের অন্যতম কারণ হলো অতিরিক্ত ওজন।  এছাড়াও কোমরের চারপাশে থাকা ভিসারাল ফ্যান নামক অতিরিক্ত চর্বিও হতে পারে এর কারণ। সেজন্য পুরুষের কোমরের পরিমাপ ৪০ ইঞ্চি কম এবং নারীর ক্ষেত্রে ৩৫ ইঞ্চির কম রাখতে হবে। ওজন কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর সব উপায়ে মেনে চলতে হবে।

মানসিক চাপ কমান : মানসিক চাপের কারণে ক্ষতি হয় আমাদের শরীরেও। এটি আমাদের শরীরের পেশিগুলোকে চাপের মুখে ফেলে। যে কারণে বেড়ে যেতে পারে রক্তচাপ। তাই মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। যেকোনো সমস্যায় ঠান্ডা মাথায় সমাধান খুঁজে বের করুন। মানসিক চাপ পুরোপুরি দূর করা সম্ভব নয়, তবে শান্ত পরিবেশে মেডিটেশন করলে এটি অনেকটাই কমানো যায়।

অতিরিক্ত লবণ খাবেন না : অনেকেরই অভ্যাস থাকে খাবারের সঙ্গে অতিরিক্ত লবন খাওয়া। আবার একথাও প্রায় সবাই জানেন যে, অতিরিক্ত লবণ রক্তচাপের মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে। খাবারের সঠিক মাত্রা লবণ ব্যবহার করলে তা হাই প্রেসার এর ঝুঁকি কমায়। এমনটাই দেখা গেছে বিভিন্ন গবেষণায়। আমাদের দৈহিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রতিদিন মাত্র ৫০০ মিলিগ্রাম লবণ প্রয়োজন হয়।

খাবারে পরিবর্তন আনুন : খাবারের তালিকায় যদি অতিরিক্ত ফ্যাট জাতীয় খাবার থাকে, তবে হাই প্রেসার এর ঝুঁকি বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত কোলেস্টেরলযুক্ত খাবার খেলেও বাড়তে পারে হাইপেশার। তাই খাবারের তালিকায় পরিবর্তন আনা জরুরি।

সবচেয়ে ভালো হয় একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাদ্য তালিকা তৈরি করলে।

ধূমপান ও মদ্যপান বাদ দিন : এই দুই অভ্যাসের কোনটাই উপকারী নয়। বরং অনেকগুলো ক্ষতির কারণ। প্রতিবার ধূমপানের সময় কয়েক মিনিটের জন্য অস্থায়ীভাবে রক্তচাপ বেড়ে যায়। যে কারণে দীর্ঘস্থায়ী উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এদিকে অতিরিক্ত মদ্যপানও উচ্চ রক্তচাপসহ আরো অনেক সমস্যা ডেকে আনে। তাই এই দুই বদ অভ্যাস থাকলে তা আজই বাদ দিন।

নিয়মিত শরীর চর্চা করুন : নিয়মিত শরীরচর্চা ও পরিশ্রমে নিয়ন্ত্রণে থাকে  রক্তচাপ। ফলে হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকে, ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে। বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা প্রতিদিন অন্তত দুইবার ৫ মিনিট করে যেকোনো ধরনের হালকা ব্যায়াম, ইয়োগা বা মেডিটেশন এবং হাঁটাহাঁটি করার পরামর্শ দেন। চেষ্টা করুন এই নিয়ম মেনে চলার।

সম্মানিত পাঠক, এই ছিল হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া কিছু উপায়।

তো আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট এবং আপনার পরিচিত সবার সাথে শেয়ার করবেন।

যেন তারাও কিছুটা উপকৃত হয়। মনে রাখবেন, আপনাদের সুস্থতা আমাদের একান্তই কাম্য।

দেখা হচ্ছে আবারো সামনে কোন স্বাস্থ্য বিষয়ক আর্টিকেলে। এই কামনায় এখনকার মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। ধন্যবাদ...


Post a Comment

Previous Post Next Post