Pixellab Dark Mod Apk Free Download 2021 - Islamic Plp File


বালেগ - বালেগা হওয়ার লক্ষণ

সারা জগতের স্রষ্টা আল্লাহ্ তায়ালার অসীম মহিমা ধারণাতীত । যেমন তাঁর সৃষ্টি মাহাত্ম্য , তেমনি তার পরিপােষণের প্রশংসা । মানব জীবনের প্রথম স্তরের নাম শিশু , পরে বালক , পরে যুবক , প্রৌঢ় এবং শেষে বৃদ্ধ । স্তন্যপায়ী শিশু যখন বালকে পরিণত হয় তখন সে খাওয়া - দাওয়া ও খেলা - ধুলায় মত্ত থাকে । সে অবস্থা থেকে পরিবর্তন হতে হতে তাদের মধ্যে কামভাবের উদয় হয় এবং শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন হয় । তখন ইন্দ্রিয়ের উত্তেজনায় পুরুষ নারীর প্রতি ও নারী পুরুষের সাথে রমণ করার জন্য অত্যন্ত উদগ্রীব হয়ে উঠে ।

বালক বালেগ হওয়ার লক্ষণঃ দাঁড়ি , গোঁফ ও নাভির নিচে লােম উঠতে আরম্ভ করা । এবং স্বপ্নদোষ হওয়া । এ লক্ষণসমূহ পূর্ণপ্রাপ্ত হলে কামভাবের পূর্ণতাপ্রাপ্ত হয় । এ সময় পুরুষ নারী দুনিয়াটাকে রঙ্গিন অবস্থায় দেখে , অন্তকরণের ভিতর বহু কল্পনার ছবি আঁকে । এ সময় তারা মান - সম্মানের দিকে খেয়াল থাকে না । এমনকি তাদের জীবন জলাঞ্জলি দিতেও পরােয়া করে না ।

বালিকা বালেগা হওয়ার লক্ষণঃ নাভির নিচে লােম উঠতে আরম্ভ করা , যােনীদ্বার প্রশস্ত ও উন্নত হওয়া , স্বপ্নদোষ হওয়া এবং ডিম্বকোষের জন্ম হওয়া । এসব লক্ষণসমূহ দ্বারা নারীত্বের পূর্ণ সৌন্দর্য বিকাশ ঘটে থাকে । তখন নারী - হৃদয়ে প্রেম - প্রীতির পূর্ণ আভাস পরিস্ফুট হয়ে উঠে এবং সবসময় তারা তাদের পছন্দ মত প্রিয়জন খোঁজে । এমনও দেখা গিয়েছে , তার আকাঙ্খিত প্রিয়জনকে না পেয়ে চিরকুমারীত্ব বরণ করেছে , অথবা অনেকে আত্মহত্যার মত জঘন্য পথও বেছে নিয়েছে ।

বিবাহের উপকারিতা

আল্লাহ তায়ালা আদম ( আঃ ) -কে সৃষ্টি করে বিবি হাওয়ার সাথে তাঁর বিবাহ বন্ধন করিয়ে দিলেন । ফলে আদমের সাথে বিবি হাওয়া প্রথমে জান্নাতে , পরে পৃথিবীতে বিবাহ জীবনের সুখ - সম্ভোগ করেছিলেন । আল্লাহর ইচ্ছানুযায়ী তাঁরা সংসার জীবন যাপন করে পরম সুখে দিনাতিপাত করতেন ।

আদম ( আঃ ) ও ঈসা ( আঃ ) ব্যতীত পৃথিবীতে সকল মানুষই স্বামী - স্ত্রীর সম্মিলনের ফল । এ পৃথিবীতে পুরুষানুক্রমে মানব সৃষ্টির উপলক্ষেই বিবাহ প্রথা । এটা আল্লাহর একটি দান । বিবাহ বন্ধন দ্বারা তিনি স্বামী - স্ত্রীর মধ্যে ভালবাসা ও প্রেম - প্রীতি প্রতিষ্ঠা করেছেন । তাঁরই অনুগ্রহে স্বামী - স্ত্রীর সম্মিলনে সন্তানের মুখ দর্শন লাভ হয় । প্রকৃত প্রস্তাবে স্ত্রীর দর্শন - স্পর্শনে স্বামীর অতীব আনন্দের ফোয়ারা উদ্বেলিত হয়ে উঠে । এটাও আল্লাহর দান । কারণ , তিনি মানবের সর্ব সুখ - দুঃখের মালিক । তিনি স্বামী - স্ত্রীর মিলনের মধ্য দিয়ে এক অমিয় ধারার সৃষ্টি করেছেন । প্রথমে দর্শন , পরে স্পর্শন এবং মানসিক ও শারীরিক সুখ সম্ভোগ এতে আল্লাহর সাথে প্রেম প্রীতির নিদর্শন ও অলৌকিক সুখ - সম্ভোগের সোপান প্রতীয়মান হয় । সতী স্ত্রী সর্বদা স্বামীর আরামদায়িণী , অনুরাগিনী , বাধ্যগত ও পতিপ্রাণা । এ প্রকার স্ত্রী পরকালেও স্বামীর সঙ্গিনী হয়ে জান্নাতে অপরিসীম সুখের অধিকারীনী হবে । ফলত বিবাহিত জীবন সুখের হয় রমণীর গুণে ।

মেয়ে আটক রাখা

মেয়েকে বিবাহ দিলে তার ওপর পিতামাতা বা অন্য কোন অভিভাবকের আর কর্তৃত্ব থাকে না । যতদিন নিজের কাছে থাকে তাকে শিখান , পড়ান , খাওয়ান ইত্যাদি কর্তব্যের মধ্যে গণ্য থাকে , তারপর আর নয় । এ বিষয়ে সকল জাতিই একমত । কিন্তু যদি কোন অবিবেচক মুসলমান ইসলামের নিয়ম - কানুন অমান্য করে তার সীমার বাইরে চলে যায় তা হলে সে আল্লাহর কাছে দায়ী হবে । জামাতার সাথে কিংবা জামাতার আত্মীয়ের সাথে বিবাদ করে মেয়েকে যদি জামাতার বাড়ী যেতে না দেয় , তা হলে সে ব্যক্তি গুনাহগার হবে । কিন্তু যদি মেয়েকে জামাতা বা জামাতার আত্মীয় - স্বজন কষ্ট দেয় , তাহলে মেয়ের ইচ্ছানুযায়ী মেয়েকে আটক রাখতে পারে , অন্যথায় নয় । আবার দেখতে হবে মেয়ে জামাতার সাথে কোন প্রকার খারাপ আচরণ করে পিতার আশ্রয় নিয়েছে কিনা । তাহলে জ্ঞানী পিতার উচিত , জামাতাকে ও মেয়েকে বুঝিয়ে উভয়ের মধ্যে বিবাদ মিটিয়ে দেয়া । তা না হলে মেয়ের পিতাকে নিম্নলিখিতভাবে দোষী সাব্যস্ত হয়ে জাহান্নামে যেতে হবে ।

১. মেয়ের প্রত্যেক হায়েয তার পিতা একটি করে খুনের দায়ে পড়বে । কারণ , মেয়ে জামাতার কাছে থাকলে সন্তান জন্মিবার সম্ভাবনা থাকত ।

২. মেয়ে পূর্ণ যুবতী হলে তাকে কিছুতেই ব্যাভিচার বা হারাম কাজ থেকে ফিরিয়ে রাখতে পারবে না । কোন কোন কোন হারাম কাজ করে বসবে , তাতে পিতা ও স্বামী উভয়েই জাহান্নামে যাবে ।

৩. জামাতা স্ত্রীর অভাবে হারাম কাজ করলে জামাতার সাথে স্ত্রী ও শ্বশুর সকলেই জাহান্নামে যাবে ।

৪. যুবতী মেয়েকে বাপের বাড়ী আটক রাখলে পড়শী যুবকদের আনন্দ হয় । তারা মেয়ের বাপের বাড়ী বাপের ঘন ঘন যাতায়াত করে আত্মীয়তা পাতায় । অন্যদিকে জামাতার পড়শীগণও মস্ত বিপদে পড়ে । জামাতাও পড়শীদের যুবতী মেয়েদেরকে নানাভাবে উত্যক্ত করে । যাদের দ্বারা বা যাদের দরুন মেয়ে আটক রাখা হয় তারা এ জন্য দায়ী হবে এবং জাহান্নামী হবে , এতে কোন সন্দেহ নেই ।

তাই প্রত্যেকের উচিত তারা যেন নিজ নিজ কন্যা বা ভগ্নীদেরকে কখনো আটক না রাখে । কারণ , কন্যা বা ভগ্নীকে আটক রাখলে জামাতা বা ভগ্নীপতির কি অবস্থা হয় তা বুঝা উচিত। বিবেকের সাথে এ বিবেচনা করা উচিত । বার বার নিজের ওপর দিয়ে এ বিষয়ে চিন্তা করলে আর কাউকেও বলে দিতে হবে না । নিজের স্ত্রী নিজের কাছে না থাকলে কে তার খিদমত করে , কে সাংসারিক কার্যাদি করে , কে - ই বা কাম - প্রবৃত্তি চরিতার্থ করার জন্য সাহায্য করে ? আর নিজের স্ত্রী কাছে থাকলে উপযুক্ত কন্যা বা ভগ্নীর জ্ঞাতসারে নিজের স্ত্রীর সাথে নিশিথ সময়ে সম্মিলিত হলে তাদের মনে কি রকম ভাবের উদয় হয় , তা ভুক্তভোগী মাত্রেই বুঝে নিতে পারেন ।

অতএব , সর্বতোভাবে বিবেচনা করে কন্যাকে বা ভগ্নীকে জামাতা বা ভগ্নীপতির বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া উচিত । যদি সে যেতে না চায় , তবে চিন্তা করে দেখতে হবে , এর পিছনে কি কারণ আছে কিনা ? সে অন্য কোন যুবকের প্রেমে আকৃষ্ট হয়েছে কিনা । যদি তা বুঝা যায় , তবে এ কাজ থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে । প্রয়োজনবোধে জোর করে তাকে স্বামীর ঘরে পাঠিয়ে দিতে হবে ।

লেখক : মাওলানা ফজলুর রহমান।




আমাদের ওয়েব সাইটের বিষয়বস্তু অনুলিপি করা এবং এটি অন্য কোনও ওয়েবসাইটে পুনরায় প্রকাশ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এটি আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। সুতরাং সাবধান, আমাদের সাইটের লিখিত সামগ্রী কপি করবেন না।

 

যদি আপনার ডাউনলোড করতে সমস্যা হয় তবে দয়া করে মন্তব্য করুন বা ফেসবুক পেজে আমাদের সাথ যোগাযোগ করুন।

 

  • ডিজাইনার: মামুনুল হক
    • সংস্থা: ইসলামিক পিএলপি ফাইল
    • ফাইল ফর্ম্যাট: জিপ সংরক্ষণাগার।
    • ডিজাইনের ফর্ম্যাট: পিএলপি (পিক্সেলল্যাব প্রকল্প) [জেপিজি সংযুক্ত]।
    • ডিজাইন সফটওয়্যার: পিক্সেলল্যাব
    • ডিজাইনের রেজুলেশন: আল্ট্রা এইচডি।
    • ডিজাইনের রঙ: আরজিবি কালার।
    • প্রিন্ট প্রস্তুত: হ্যাঁ।
    • ডিজাইন সমর্থিত অ্যাপ্লিকেশন: পিক্সেলল্যাব ডার্ক।
    • ডিজাইনের অবজেক্টের ধরণ: স্মার্ট অবজেক্ট।
    • ডিজাইনের ধরণ: প্রিমিয়াম ডিজাইন।
    • নকশা মূল্য: বিনামূল্যে।






এখনই ডাউনলোড করুন



2 Comments

  1. পিক্সোল ল্যাব এপস ডাউনলোড করা যাচ্চে না

    ReplyDelete
  2. এপস ডাউনলোড হচ্ছেনা

    ReplyDelete
Previous Post Next Post