ভর্তি ব্যানার ডিজাইন PLP ফাইল ফ্রি ডাউনলোড 2022 - Islamic Plp File

ভর্তি ব্যানার ডিজাইন PLP ফাইল ফ্রি ডাউনলোড 2022 - Islamic Plp File, I P F - 31



 

ক্রুসেড - উমরু দরবেশ, - প্রথম পর্ব

- আসাদ বিন হাফিজ

ইসহাকের গাঁয়ের বাড়ী । নিজের বাড়ীতেই তার একাধিক ঘোড়া ছিল , সেখান থেকে দু'টো ঘোড়া প্রস্তুত করা হলো । ইসহাকের গ্রেফতারীর খবর শুনে গ্রামের লোকজন জমা হয়েছিল সেখানে । ইসহাকের স্ত্রী ও কন্যা প্রস্তুত হয়ে যখন -ঘোড়ার পিঠে আরোহণ করলো তখন বিকেল । গ্রামের লোকজন সুদানী কমাণ্ডারের কথা বিশ্বাস করে ইসহাকের স্ত্রী ও কন্যাকে কমাণ্ডারের সাথে বিদায় জানালো ।

দিন থাকতে থাকতেই তারা দুর্গম পার্বত্য অঞ্চল পার হয়ে এলো । তারা যখন সে অঞ্চলের শেষ প্রান্তে , তখন সন্ধ্যার লালিমা মুছে গিয়ে অন্ধকার নেমে এসেছে । পার্বত্য অঞ্চল ছেড়ে মরুভূমিতে পড়তেই অন্ধকার ফিকে হয়ে এলো ।

রাতের প্রথম প্রহর । বিরতিহীনভাবে তারা পথ চলছে । নিঃসঙ্গ মরুভূমিতে ক্ষুদ্র এক কাফেলা । তিন জন মাত্র যাত্রী , তাও আবার দু’জন মেয়ে । ক্ষুদ্র কাফেলা নিয়ে মরুভূমিতে পথ চলা খুবই বিপদজনক , কিন্তু সেদিকে কারো খেয়াল নেই । বালিয়াড়ি মাড়িয়ে এগিয়ে যাচ্ছে কাফেলা । নিরব নিস্তব্ধ পরিবেশ । রাস্তায় কোথাও কেউ নেই ।

এক অচেনা পুরুষের সাথে এগিয়ে চলেছে দুই পর্দানসীন মহিলা । স্বামীর চিন্তায় বিভোর ইসহাকের স্ত্রী । আহত বাপের কথা ভাবছে কিশোরী কন্যা । দুনিয়ার আর কোন খেয়াল নেই ওদের । চোখে কোন নিদ্রা নেই । অন্তরে নেই কোন ভয় । পার্বত্য অঞ্চলের মহিলা হওয়ায় অশ্বারোহণেও ওদের কোন অসুবিধা হচ্ছে না । সে অঞ্চলের প্রতিটি নারী পুরুষ শিশুকাল থেকেই ঘোড় সওয়ার ও তীরন্দাজী শিখে রাখে । পুরুষের মত সে অঞ্চলের নারীরাও সমান দুঃসাহসী ।

তিনটি ঘোড়াই মরুভূমি ধরে এগিয়ে চলেছে । কমাণ্ডারের মন প্রফুল্ল । তার আনন্দের কারণ , ছলনা করে দুই মুসলিম পর্দানসীন মহিলাকে সে ঘর থেকে বের করে নিয়ে আসতে পেরেছে ।

পঁচাগলা লাশের পাশে ইসহাক তার কামরায় বসেছিল । এ লাশ রাখা হয়েছিল তাকে অসুস্থ ও দুর্বল করার জন্য । কিন্তু ইসহাকের এ নিয়ে কোন বিকার ছিল না । তার শারীরিক অনুভূতি হারিয়ে গিয়েছিল । সে লাশের সাথে এমন ভাবে কথা বলতো , যেন লাশটি জীবিত । লাশের দুর্গন্ধের কথা সে ভুলেই গিয়েছিল ।

দৈহিক চেতনা না থাকলেও আত্মার ও চিন্তার শক্তি তার নষ্ট হয়নি । সে ভেবে দেখল , আজ সারাদিন তাকে কামরার বাইরে নেয়া হয়নি । সন্ধ্যার পরও কেউ তাকে বিরক্ত করতে আসেনি । সে খুবই অবাক হলো । এমন বিশ্রাম দেয়ার মানে কি ? কেন আজ কোন নির্যাতন করা হলো না ? তবে কি সুদানী সেনাপতি নিরাশ হয়ে গেছে ? এখন তাহলে ওকে নিয়ে ওরা কি করবে ? কামরায় শুয়ে বসে এসবই ভাবছিল সে ।

কমাণ্ডার মেয়ে দু’জনকে সাহস ও শক্তি জোগানোর জন্য ওদের সাথে গল্প জুড়ে দিল । সে ইসহাকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওদের শোনাচ্ছিল তার বীরত্ব ও সাহসের গল্প । মা ও মেয়ে খুব আগ্রহ সহকারে শুনছিল ওর কথা ।

সুদানী সেনাপতিকে তার সঙ্গের অফিসার বললো , ' আপন কন্যা ও স্ত্রীর অপমান কি কেউ সহ্য করতে পারে ? আমার বিশ্বাস , কমাণ্ডার ওদের দু'জনকে নিয়ে আসছে ৷

আমি ইসহাককে বলবো , যতক্ষণ তুমি এবং তোমার সম্প্রদায়ের লোকেরা সুদানী বাহিনীতে যোগ না দেবে , ততক্ষণ তোমার স্ত্রী ও কন্যাকে মুক্তি দেয়া হবে না । তাদের ওপর । তোমার মতই নির্যাতন চালানো হবে । আশা করি , এতে করে ইসহাক তার মত পাল্টাতে বাধ্য হবে । ' বললো সেনাপতি ।

সকাল নাগাদ আমাদের কমাণ্ডারের ফিরে আসার সম্ভাবনা আছে । ' অফিসার বললো ।

হয়তো তার আগেও এসে যেতে পারে । সেনাপতি বললো , ‘ এ লোক খুব হুশিয়ার ।

রাত । কারাগারের সেই সিপাহী , যে কমাঞ্জরের পর ইসহাকের বাড়ীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল , সে একাকী মরুভূমির বালির টিলা একের পর এক অতিক্রম করে এগিয়ে যাচ্ছে । এরই মধ্যে অর্ধেকের বেশী রাস্তা অতিক্রম করে ফেলেছে । বিরামহীন গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে সেই পার্বত্য অঞ্চলের দিকে । আকাশে চাঁদ নেই । উন্মুক্ত মরুভূমির রাতের স্বচ্ছতা সম্বল করে পথ চলছে সে । চাঁদ না থাকলেও তারকার আলোতে পথ চলতে তেমন অসুবিধা হচ্ছে না । বেশী দূর দেখা যায় না , তবে কোথাও কোন আওয়াজ হলে তা অনেক দূর থেকেও ভেসে আসে ।

আনমনে পথ চলছে সে , হঠাৎ দূর থেকে ঘোড়ার পদধ্বনি কানে এলো । থমকে দাঁড়িয়ে পড়লো সে । খেয়াল করে দেখলো , সামনের দিক থেকে একাধিক ঘোড়া এগিয়ে আসছে । প্রহরী এক বালির টিলার পেছনে ঘোড়া সমেত লুকিয়ে পড়লো ।

একটু পর পদধ্বনি আরো স্পষ্ট হলো , সেই সাথে ভেসে এলো ওদের কথার আওয়াজ । প্রহরী টিলার আড়ালে বসে ওঁৎ পেতে খেলো তিনটি ঘোড়া ধীরে ধীরে তার দিকেই এগিয়ে আসছ । সে তলোয়ার হাতে নিলো ।

ওরা আরো খানিকটা এগিয়ে এলো । এখন সে কমাণ্ডারের কথা স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছে । ইসহাকের ব্যাপারেই আলাপ করছে কমাণ্ডার । কমাণ্ডারের কণ্ঠ শুনেই প্রহরী চিনতে পারলো তাকে । ওই তো সেনাপতির পাঠানো কমাণ্ডার ! তাহলে নিশ্চয়ই সাথের দু’জন দরবেশ ইসহাকের স্ত্রী ও কন্যা !

প্রহরী ভাবছিল , দরবেশের বাড়ী গিয়ে সে ওদের হুশিয়ার করবে । কমাঞ্জর যে এত তাড়াতাড়ি ওদের বের করে নিয়ে আসতে পারবে , তা ছিল তার ধারনারও বাইরে । সে দুশ্চিন্তায় পড়ে গেল । সংঘর্ষ ছাড়া এখন ওদের মুক্ত করার কোন পথ নেই । কিন্তু মুশকিল হলো , যাদের সে মুক্ত করতে চাচ্ছে ,  

তারা জানেই না সে ওদের হিতাকাঙ্খী । লড়াই শুরু হলে মেয়ে দু’জনও তার প্রতিপক্ষে লড়বে । কারণ এরা পাহাড়ী নারী । লড়াইকে ওরা ভয় পায় না । একা তিনজনের বিরুদ্ধে লড়তে যাওয়া বোকামী । তার ওপর পুরুষটি কোন সাধারণ লোক নয় , একজন চৌকস কমাণ্ডার । কিন্তু এ ছাড়া যে আর কোন গত্যন্তর নেই ! সে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললো , সে লড়বে। নিশ্চয়ই ভাগ্য তাকে সহায়তা করবে । কারণ সে এক দরবেশ মানুষের পরিবারকে রক্ষা করতে যাচ্ছে । দরবেশের দোয়ার কি কোন মূল্য নেই !

ওরা প্রহরীর একদম কাছে চলে এসেছে । তারার আলোয় সে ওদের ভাল করে লক্ষ্য করলো । কমাণ্ডার ওদের নিয়ে নিশ্চিত মনে এগিয়ে যাচ্ছে । তার মধ্যে কোন সতর্কতার ভাব নেই । তলোয়ারটি অবহেলায় তার কোমরের সাথে ঝুলছে । মেয়েদের সাথে কোন তলোয়ার নেই , সারা শরীর ও মুখ কালো কাপড়ে ঢাকা থাকায় খঞ্জর আছে কি না তাও স্পষ্ট বুঝা গেল না ।

ওরা ওকে অতিক্রম করে গেল । ঘোড়াসহ আড়াল থেকে বেরিয়ে এলো প্রহরী । এক মুহূর্তে ভাল করে দেখে নিল ওদের অবস্থান । তারপর পিছু ধাওয়া করে তীব্র বেগে ঘোড়া ছুটিয়ে দিল । তার অশ্বের পদধ্বনি কমাণ্ডঞ্জরকে চমকে দিল । সে থমকে দাঁড়িয়ে তাকাল পিছন ফিরে । সঙ্গে সঙ্গে তলোয়ার বের করে পিছনে ঘুরলো । মুহূর্তে কমাণ্ডারের কাছে পৌঁছে গেল প্রহরী । তার ঘোড়ার গতি ছিল তীব্র । ছুটন্ত অবস্থায় ঘোড়ার ওপর থেকে কমাণ্ডারকে এমন জোরে আঘাত করলো , ডান হাত কেটে পড়ে গেল কমাণ্ডারের ।

ঘোড়া ঘুরিয়ে সে আবার ফিরে এলো কমাণ্ডারের কাছে । কমাণ্ডারের তখন আর লড়াই করার ক্ষমতা নেই । সে চিৎকার করে দয়া ভিক্ষা চাইল , কিন্তু প্রহরী তার ঘাড়ে আবারো তলোয়ারের আঘাত করলো । ঘোড়ার পিঠ থেকে পড়ে গেল কমাণ্ডার ।

সঙ্গের একমাত্র পুরুষ মানুষটি ধরাশায়ী হওয়ায় পর্দানসীন মা ও মেয়ে ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে গেল । ইসহাকের স্ত্রী মেয়েকে বললো , ‘ পালাও ! ডাকাত মনে হচ্ছে ।

প্রহরী ঘোড়া নিয়ে তাদের পথ আটকে দাঁড়ালো এবং বললো , ' এখানে কোন ডাকাতের দল নেই , আমাকে ভয় পেয়ো না । আমিই বরং তোমাদেরকে এক ডাকাত ও প্রতারকের হাত থেকে রক্ষা করলাম । এক বন্দীকে দেখতে গিয়ে তামরা নিজেরাই বন্দী হয়ে পড়ো , তা আমি চাই না । এখন আর কারাগারে যাওয়ার দরকার নেই । তোমরা তোমাদের গ্রামের বাড়ীতে ফিরে যাও । আমাকেই যদি ভয় , তাহলে আমি কথা দিচ্ছি , আমি তোমাদের সাথে যাচ্ছি না । যতক্ষণ তোমাদের নিরাপদ মনে না করবো , ততক্ষণ তোমাদের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে আমি তোমাদের অনুসরণ করবো । আরে , বলছি , এখানে আর কেউ নেই , আমি একাই তোমাদেরকে এক ভয়ঙ্কর বিপদের হাত থেকে বাঁচাতে ছুটে এসেছিলাম । এ লোক বন্দী দরবেশ ইসহাকের কাছ থেকে স্বীকারোক্তি আদায়  করার জন্য তোমাদেরকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করতে চেয়েছিল ।


দ্বিতীয় পর্ব পড়তে এখনে ক্লিক করুন

তৃতীয় পর্ব পড়তে এখনে ক্লিক করুন



আমাদের ওয়েব সাইটের বিষয়বস্তু অনুলিপি করা এবং এটি অন্য কোনও ওয়েবসাইটে পুনরায় প্রকাশ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এটি আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। সুতরাং সাবধান, আমাদের সাইটের লিখিত সামগ্রী কপি করবেন না।

 

যদি আপনার ডাউনলোড করতে সমস্যা হয় তবে দয়া করে মন্তব্য করুন বা ফেসবুক পেজে আমাদের সাথ যোগাযোগ করুন।

 

  • ডিজাইনার: মামুনুল হক
    • সংস্থা: ইসলামিক পিএলপি ফাইল
    • ফাইল ফর্ম্যাট: জিপ সংরক্ষণাগার।
    • ডিজাইনের ফর্ম্যাট: পিএলপি (পিক্সেলল্যাব প্রকল্প) [জেপিজি সংযুক্ত]।
    • ডিজাইন সফটওয়্যার: পিক্সেলল্যাব
    • ডিজাইনের রেজুলেশন: আল্ট্রা এইচডি।
    • ডিজাইনের রঙ: আরজিবি কালার।
    • প্রিন্ট প্রস্তুত: হ্যাঁ।
    • ডিজাইন সমর্থিত অ্যাপ্লিকেশন: পিক্সেলল্যাব ডার্ক।
    • ডিজাইনের অবজেক্টের ধরণ: স্মার্ট অবজেক্ট।
    • ডিজাইনের ধরণ: প্রিমিয়াম ডিজাইন।
    • নকশা মূল্য: বিনামূল্যে।
    • ডিজাইন কোড : I P F - 31






এখনই ডাউনলোড করুন



পিএলপি কর্নার ✅

ইসলামিক লোগো,মাহফিল পোস্টার,ঈদ শুভেচ্ছা,ইফতার মাহফিল,ভিজিটিং কার্ড, ক্যালেন্ডার,নির্বাচনী পোস্টার ডিজাইন সহ সকল প্রকার পি এল পি ফাইল পাওয়া যাবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post