মাহফিল ব্যানার ডিজাইন PLP ফাইল ফ্রি ডাউনলোড 2022 - Islamic Plp File

মাহফিল ব্যানার ডিজাইন PLP ফাইল ফ্রি ডাউনলোড 2022 - Islamic Plp File, I P F - 32



 

ক্রুসেড - উমরু দরবেশ, - দ্বিতীয় পর্ব

- আসাদ বিন হাফিজ

মা ও মেয়ে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেল ! কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা বুঝতে পারলো না । অনেকক্ষণ পর্যন্ত মা - মেয়ে ওভাবেই ওখানে স্তব্ধ বিস্ময় নিয়ে দাঁড়িয়ে রইল । শেষে ইসহাকের স্ত্রী বললো , “ কি বলছেন আপনি ? আমরা যে এর কিছুই বুঝতে পারছি না ! আসল ব্যাপারটা কি খুলে বলুন তো ? ' প্রহরী কমাঞ্জরের ঘোড়ার লাগাম তার ঘোড়ার জ্বীনের সাথে বেঁধে বললো , ‘ আগে আপনাদের বাড়ী চলুন , ওখানে গিয়েই সব বলবো । মরুভূমিতে রাত কাটানো নিরাপদ নয় ।

ওরা ফিরে চললো বাড়ীর দিকে । ইসহাকের স্ত্রী বিস্ময় ও কৌতূহল দমন করতে না পেরে একটু পর বললো , “ তিনি কি আসলেই বন্দী এবং আহত ?

হ্যাঁ , তিনি এখন কারাগারেই আছেন । না , তিনি আহত ছিলেন না , তবে তার ওপর অকথ্য নির্যাতন চালানো হয়েছে । সে নির্যাতনের ধকল সয়ে তিনি এখনো কিভাবে বেঁচে আছেন সে রহস্য আমার জানা নেই । আমরা বিশ্বাস করি , তার কাছে আল্লাহর অলৌকিক শক্তি আছে ।

তার ওপর এ অকথ্য নির্যাতনের কারণ কি ? ’ ‘ তাকে সুদানী সেনাবাহিনীতে নিতে চাইছে সরকার । তাকে বলা হচ্ছে , তুমি বললেই তোমার পাহাড়ী এলাকার মুসলমানরা সুদানী সৈন্য বাহিনীতে ভর্তি হবে । সরকার চাচ্ছে , তিনি এবং তার কবিলার লোকেরা সুদান সরকারের আনুগত্য স্বীকার করুক ।

কিন্তু তিনি তা মানছেন না।  আলহামদুলিল্লাহ । আল্লাহ তাকে হেফাজত করুন । কিন্তু কমাণ্ডার আমাদের কেন নিতে এসেছিল ?

প্রহরী উত্তরে বললো , তার সামনে তোমাদের সম্ভ্রম নষ্ট করার হুমকি দিয়ে তাকে শর্ত মানতে বাধ্য করাতে চাচ্ছিল সরকার । যাকে আমি হত্যা করেছি , সে এক ফৌজি কমাণ্ডার । এ উদ্দেশ্যেই সেনাপতি তোমাদেরকে নিতে পাঠিয়েছিল তাকে । আমি বিষয়টি জেনে তার পিছনে লেগেছিলাম । আমি খুশী যে , আমি আমার দায়িত্ব পালন করতে পেরেছি ।

তুমি কে ? ’ ইসহাকের স্ত্রী জিজ্ঞেস করলো , তুমি কি মুসলমান ? ’

আমি সে কারাগারের প্রহরী । ' সে উত্তর দিল , “ না , আমি মুসলমান নই ।

তবে কেন তুমি এ ঝুঁকি নিতে গেলে আমাদের জন্য তোমার এমন সমবেদনার কারণ কি ? ’

তার ওপর যে নির্যাতন হয়েছে তাতে তার মরে যাওয়ার কথা ছিল । কিন্তু তিনি একটু বেহুশও হননি । আমি এবং আমার সঙ্গীদের বিশ্বাস , তার কাছে অলৌকিক শক্তি আছে । তিনি মুক্ত হতে পারলে সে শক্তি দিয়ে আমাদের ভাগ্য ফিরিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতিও তিনি দিয়েছেন । কিন্তু তাকে মুক্ত করার কোন উপায় এখনো আমরা বের করতে পারিনি । এর মধ্যেই তোমাদের সর্বনাশ করার জন্য সেনাপতি ষড়যন্ত্র করছে জানতে পেরে আমরা তা বানচাল করার সিদ্ধান্ত নেই । এ কারণেই আমি এখানে ছুটে এসেছি ।

প্রহরী বললো । মানুষের ভাগ্য একমাত্র আল্লাহই পরিবর্তন করতে পারেন । ভাগ্য পরিবর্তনের অলৌকিক ক্ষমতা কোন মানুষের নেই । তিনি এমন ওয়াদা করতে পারেন না । আর যদি তিনি এমনটি বলে থাকেন তাহলে ভুল বলেছেন । ' বললো ইসহাকের স্ত্রী ।

কি বলছেন আপনি ! ' প্রহরী বললো , ' তার অলৌকিক ক্ষমতা তো আমি নিজের চোখে দেখেছি !

এই যে আমাকে দেখুন , আমি মুসলমান নই । কারাগারের সামান্য এক প্রহরী । আমার এমন সাহস বা শক্তি নেই , যা নিয়ে আমি গর্ব করতে পারি । কিন্তু দেখুন , কি দুঃসাহসিক কাজ করলাম ?

আমাদের সেনাপতির মুখের গ্রাস কেড়ে নেয়ার শক্তি আমি কোথায় পেলাম ? কি করে সামান্য প্রহরী হয়ে নিজের কমাঞ্জরকে খুন করলাম ? আপনারা ছিলেন তিনজন , তারপরও কি করে আমি আপনাদের আক্রমণ করার সাহস পেলাম ? এসবই তার গায়েবী শক্তি ।

তিনি সত্যি অলৌকিক ক্ষমতাধর । আপনি কেন তাকে I আমার কাছ থেকে লুকাচ্ছেন ? ' ইসহাকের স্ত্রী এই অন্ধ বিশ্বাসী লোকটির দিকে তাকিয়ে রইল । কি করে সে এ বিশ্বাস ভাঙবে বুঝতে পারল না । সকাল বেলা । ইসহাকের বাড়ীর সামনে চারটি ঘোড়া এসে থামলো ।

ঘোড়া থেকে নেমে দরজার কড়া নাড়ল ইসহাকের বিবি । ইসহাকের বাবা দরজা খুলে সামনে পুত্রবধু , নাতি ও তাদের সাথে আরও একজন অপরিচিত লোককে দেখে খুবই আশ্চর্য হলেন ।

হা করে তিনি তাকিয়ে রইলেন ওদের দিকে । ‘ হা করে দেখছো কি দাদু ? আমাদের ঢুকতে দাও । ' নাতনীর কথায় সম্বিত ফিরে পেয়ে সরে দাঁড়ালেন তিনি । ভেতরে ঢুকে বুড়োর প্রশ্নের জবাবে আবারো সমস্ত ঘটনা বিস্তারিত বলতে হলো প্রহরীকে ।

শুধু বললে না , কারাগারে ইসহাকের ওপর কি নির্যাতন হচ্ছে । ইসহাকের বাবা তৎক্ষণাৎ কবিলার লোকদের ডেকে পাঠালেন । লোকেরা জড়ো হলে প্রহরী তাদেরকে বললো , ' পাহাড়ী অঞ্চলের সমস্ত মুসলমান সুদানের সৈন্যবাহিনীতে যোগ দিলে সুদান সরকার ইসহাককে মুক্তি দিতে রাজী হয়েছে ।

শর্ত একটাই , তোমাদের সবাইকে সুদানের আনুগত্য কবুল করতে হবে ।

লোকেরা বললো , “ ইসহাক কি বলেছে ? ' ইসহাক তাদের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন , তোমরা আমাকে জীবনে শেষ করে ফেললেও আমি আমার জাতির সাথে গাদ্দারী করতে পারবো না , কাউকে তোমাদের আনুগত্য কবুল করতেও বলবো না ।

শুধু ইসহাকের কবিলা নয় , এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর পাহাড়ী অঞ্চলের সমস্ত মুসলমানরাই উত্তেজিত হয়ে উঠলো । সুদান সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়লো ওরা । একজন বললো , ‘ এটা আল্লাহর জমিন ! এখানে নাস্তিক সুদান সরকারের আধিপত্য চলবে না । আমরা ইসহাকের ওপর অত্যাচারের বদলা নেবো । ' আমরা কারাগারে আক্রমণ চালিয়ে ইসহাককে মুক্ত করে আনবো ।

বললো অন্য একজন । ‘ তোমরা তা পারবে না । ' প্রহরী বললো , জেলখানা বড়ই দুর্ভেদ্য , সেখান থেকে কাউকে মুক্ত করা সম্ভব নয় । ' তুমি কারাগারের প্রহরী , তুমি আমাদের সাহায্য করলে আমরা নিশ্চয়ই তাকে মুক্ত করতে পারবো । ইসহাকের বাবা বললেন ।

আমি গরীব ও সাধারণ এক প্রহরী মাত্র । ' সে বললো , ‘ আমি আপনার বেটাকে মুক্ত করতে কিইবা সাহায্য করতে পারবো ? তাকে আমি সম্মান ও শ্রদ্ধা করি । তার এক নগন্য ভক্ত হিসাবে আমি আমার জীবনও তার জন্য বিলিয়ে দিতে পারি ।

এতে যদি আপনাদের কোন উপকার হয় , আমি প্রস্তুত । শুধু আমার গরীব পরিবারকে আপনারা একটু দেখবেন ।

তুমি যদি সত্যি তার ভক্ত হয়ে থাকো তবে তার আদর্শকে গ্রহণ করো । তাহলে তুমি আমাদের সবার ভাই হয়ে যাবে । ভাইয়ের জন্য এমন কোন কোরবানী নেই , যা আমরা করতে পারি না । মুসলমান হয়ে যাও , আর এখানে চলে আসো । ' ইসহাকের বাবা তাকে বললেন , ' আমাদের এ পাহাড়ী অঞ্চলই আমাদের দুনিয়ার জান্নাত ।

এখানে পানির ঝর্নাধারা আছে , আছে শস্য - শ্যামল মাঠ ও নানা রকম ফলের গাছ । এখানকার মাটি এমন ফসল দেয় , যে কৃষিকাজ করে না , সেও ক্ষুধার্ত থাকে না । এটা আমাদের ওপর আল্লাহর এক বিশেষ রহমত । এ পাহাড়ী এলাকা আমাদের কেল্লা ! আমাদের দূর্গ ! আমরা এখানে সবাই স্বাধীন । তুমি তোমার পরিবার পরিজন নিয়ে আমাদের এখানে চলে আসো , তোমার ভাগ্য বদলে যাবে ।

এ প্রস্তাব প্রহরীর খুবই মনপূত হলো । সে এখানেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল । ইসহাকের বাবার হাতে বাইয়াত গ্রহণ করে ইসলাম কবুল করলো সে । বুড়ো তাকে সন্তানের মর্যাদা দিয়ে তার কাছেই রেখে দিলেন । ভোরের সূর্য অনেক উপরে উঠে এসেছে । সুদানী সেনাপতি অধীর আগ্রহে কমাণ্ডারের জন্য প্রতীক্ষা করছিল , কিন্তু তার কোন খবর নেই । ক্রমশ : সময় গড়িয়ে দুপুর হয়ে গেল , তবু দেখা নেই কমাণ্ডারের ।

শংকিত হয়ে উঠলো সেনাপতি , তার কি কোন বিপদ হলো ? নাকি সে পথ হারিয়ে ফেলেছে ? . অনেক ভেবেচিন্তে শেষে সেনাপতি তার এক অফিসারকে ডাকলো । বললো , ' কমাণ্ডার যে পথে গেছে সে পথে যাও , প্রয়োজন হলে ইসহাকের বাড়ী পর্যন্ত চলে যাবে । তারা রওনা না করলে তাদেরকে দ্রুত পাঠিয়ে দেবে , আর পথে থাকলে তাড়াতাড়ি আসতে বলবে । তুমি ওদের সাথে আসার অপেক্ষা না করে খবর নিয়ে আগেই চলে আসবে ।

ইসহাক একা পড়েছিল তার কামরায় । কামরার পঁচা লাশ গলে মেঝে ভিজিয়ে দিচ্ছিল । কারাগারের প্রহরীরা , যারা কারাগারের দুর্গন্ধে অভ্যস্থ ছিল , তারাও ইসহাকের কামরার কাছ ঘেষতো না বিশ্রী গন্ধের ভয়ে । এক প্রহরী নাকে কাপড় বেঁধে ইসহাকের কাছে গিয়ে বললো , ' আরে আহাম্মক ! এ দুর্গন্ধ কেমন করে সহ্য করছো ? এরা তোমাকে যা মানতে বলে , মেনে নাও আর এখান থেকে বিদায় হও । এ মরার গন্ধে তোমার মাথা খারাপ হয়ে যাবে ।

আমার কোন দুর্গন্ধ লাগছে না । ইসহাক বললো , ' এ তো মরা লাশ নয় , শহীদ ! শহীদরা মরে না । আমি রাতে ওর সাথে কত গল্প করি ! ’ তুমি পাগল হয়ে গেছ । প্রহরী বললো , ' লাশের এমন দুর্গন্ধে কেউ পাগল না হয়ে পারে ! ' ইসহাক হেসে বললো , ' হবে হয় তো বা ! ’

সে লাশের পাশে বসে হৃদয়ের সমস্ত আবেগ ঢেলে পবিত্র কুরআনের আয়াত তেলাওয়াত করতে লাগলো । দিন গড়িয়ে রাত এলো । তারপর সে রাতও অতীত হয়ে গেল । প্রত্যুষে ফিরে এলো সেনাপতির পাঠানো অফিসার । এক দিনেই তার বয়স যেন বেড়ে গেছে দশ বছর । চেহারা বিবর্ণ , মলিন ।

এক দিকে দীর্ঘ সফরের ক্লান্তি , অন্যদিকে বর্ণনার অতীত চাক্ষুস এক মর্মসুদ অভিজ্ঞতা । সে যা দেখে এসেছে তা বর্ণনা করার ভাষা ছিল না তার । সেনাপতি বললো , “ কি হয়েছে খুলে বলো ! ’ ‘ পথে মরুভূমির মাঝামাঝি গিয়েছি , মাথার ওপর শকুন চক্কর দিচ্ছিল । এলাকাটা উঁচুনিচু বালুর টিলায় পরিপূর্ণ ।

আরেকটু এগুতেই দেখতে পেলাম এক স্থানে শকুন মরা খাচ্ছে । মরার পাশে পড়ে আছে তলোয়ার , তার জুতা , ছেঁড়া কাপড় । লাশটি কার চেহারা দেখে চেনার উপায় নেই । কেবল বিভৎস নয় , জঘন্য , কদাকার । আমার মনে সন্দেহ জাগলো । ভয় হলো " এটা আমাদের কমাণ্ডারের লাশ নয় তো ! কৌতুহলের বশে লাশের কাছে এগিয়ে গেলাম । তাড়া করতেই শকুনরা সরে গেল একটু দূরে । তার খঞ্জর ও কোমরবন্ধ দেখে নিশ্চিত হলাম , হ্যাঁ , এটা আমাদের পাঠানো কমাঞ্জরেরই লাশ ।

আমি কতক্ষণ থ ’ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম । কিভাবে , কেন তিনি মারা গেলেন সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে আমি পাহাড়ী অঞ্চলের দিকে আরো কিছু পথ এগিয়ে গেলাম ৷ ঝালিতে তার ঘোড়ার পদচিহ্ন খুঁজতে গিয়ে দেখতে পেলাম , তার ঘোড়া পাহাড়ী অঞ্চলে গিয়ে আবার ফিরে এসেছিল । ফিরতি পথে তার সাথে ছিল আরো দু’টো ঘোড়া ৷ এতে প্রমাণ হয় , তিনি ইসহাকের পরিজনদের সাথে নিয়েই ফিরছিলেন ।

আমি কমাণ্ডারের লাশ পেলেও তার সাথীদের লাশ পাইনি । তার মৃত্যুর কারণ আমার কাছে স্পষ্ট নয় । ইসহাকের লোকেরা তাকে হত্যা করলে গ্রামেই করতে পারতো , আর তাকে বিশ্বাস না করলে তার কন্যা ও বিবিকে ওর সাথে আসতে দিত না । পথে এক কিশোরী ও এক নারী আমাদের কমাণ্ডারকে হত্যা করবে , এমনটা কল্পনাও করা যায় না । তাহলে কে তাকে হত্যা করলো ? কোন ডাকাত দল পড়েছিল ওদের ওপর , তেমন কোন প্রমাণও পাইনি । সেই থেকে আমি অস্থির । ' সুদানী সেনাপতি বললো , ' এ নিয়ে এত উতলা হওয়ার কিছু নেই । 

নিশ্চয়ই সব কিছুই আমরা জানতে পারবো । সে অঞ্চলে আমাদের যে গোয়েন্দারা কাজ করছে তারা ওই অঞ্চলেরই মুসলমান । সংবাদ সংগ্রহে তারা বেশ দক্ষ ইসহাক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তারাই সরবরাহ করেছিল । সে অঞ্চলে ইসহাকের অসম্ভব প্রভাব প্রতিপত্তির খবরও তারাই দিয়েছে ।

একটু সবুর করো , সব খবরই আমরা পেয়ে যাবো । ' হলোও তাই । সন্ধ্যার পর দুই গোয়েন্দা এসে উপস্থিত হলো সেনাপতির কাছে । তারা জানাল , কমাণ্ডার ইসহাকের মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে ঠিকই রওনা দিয়েছিল । আপনার কারাগারের এক সিপাহী তাকে পথের মধ্যে হত্যা করে মেয়ে দু’জনকে তাদের বাড়ীতে পৌছে দেয় ৷ ’ ‘ আমাদের কারাগারের প্রহরী ! কি নাম তার ? ’

তার নাম ইরাজ মেহের । ' গোয়েন্দারা বললো সেনাপতিকে । সেনাপতি সঙ্গে সঙ্গে এ সমস্যা সুদান সরকারের কাছে তুলে ধরলো । সরকার এ নিয়ে পরামর্শ করলো তাদের খৃস্টান উপদেষ্টাদের সাথে । খৃস্টান উপদেষ্টারা পরামর্শ দিল , ‘ এ ব্যাপারে তোমরা নীরব থাকো । এ নিয়ে মুসলমানদের ওপর অভিযান চালানোর বোকামী করো না । তাদেরকে অন্য কোন ভাল পদ্ধতিতে বন্ধু বানাতে চেষ্টা করো । খুব বেশী হলে তোমরা গোপনে শুধু সেই সিপাহীকে হত্যা করতে পারো , যে তোমাদের মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়েছে । তাতে মুসলমানরা বুঝবে , তোমাদের হাত থেকে কেউ রেহাই পায় না ।

যদি ইসহাক তোমাদের শর্ত গ্রহণ না করে , তবে অন্য মুসলমান কয়েদীদের মানাও , আর ইসহাকের ওপর উৎপীড়ন অব্যাহত রাখো । ' ইসহাকের ওপর নির্যাতন চলতেই থাকলো । সেনাপতি তার ওপর কমাণ্ডার হত্যার প্রতিশোধ নিতে গিয়ে নির্যাতনের মাত্রা এতই বাড়িয়ে দিল যে , জ্ঞান হারাল ইসহাক । রাতে সে বেহুশ হয়ে পড়েছিল এক কুঠরীর মধ্যে । যখন জ্ঞান ফিরলো , কুঠরী অন্ধকার । কামরার বাইরে মশাল জ্বলছে ।

ইসহাক পাশ ফিরে শুতে গেল , তার হাত গিয়ে পড়লো কারো শরীরে । সে মনে করলো , এটা সেই লাশ , যা কয়েক দিন ধরে পড়ে আছে কামরায় । কিন্তু একটু পর তার মনে হলো , কেউ যেন কামরায় নি : শ্বাস নিচ্ছে । সে ভাবলো , হয়তো মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছে তার । তার শরীর অবশ লাগছিল , তাই সে আর উঠে দেখতে চেষ্টা করলো না , আসলেই কামরায় কোন মানুষ আছে কিনা ?

একটু পর কামরায় কারো নড়ে উঠার শব্দ হলো । এবার চমকে উঠলো ইসহাক । চোখ মেলে সে চাইলো কামরার ভেতর । বাইরে থেকে আসা আবছা আলোয় সে পরিষ্কার দেখতে পেলো , তার পাশে কেউ একজন শুয়ে আছে এবং সে লোকটিই নড়াচড়া করছে । ইসহাক লোকটির মুখের ওপর ঝুঁকে তার দিকে গভীরভাবে তাকালো । না , এটা কোন লাশ নয় , একজন জ্যান্ত মানুষ । আর এটা তার সেই কামরাও নয় , যেখানে বরাবর তাকে রাখা হতো । এটা অন্য কোন কামরা । ইসহাকের মনে হলো , এ লোকটিও এতক্ষণ বেহুশ ছিল , ধীরে ধীরে তার জ্ঞান ফিরছে । একটু পরই লোকটিও চোখ খুললো । অন্ধকারের মধ্যেই ইসহাক তাকে জিজ্ঞেস করলো , কে তুমি ? '


প্রথম পর্ব পড়তে এখনে ক্লিক করুন

দ্বিতীয় পর্ব পড়তে এখনে ক্লিক করুন

তৃতীয় পর্ব পড়তে এখনে ক্লিক করুন


আমাদের ওয়েব সাইটের বিষয়বস্তু অনুলিপি করা এবং এটি অন্য কোনও ওয়েবসাইটে পুনরায় প্রকাশ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এটি আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। সুতরাং সাবধান, আমাদের সাইটের লিখিত সামগ্রী কপি করবেন না।

 

যদি আপনার ডাউনলোড করতে সমস্যা হয় তবে দয়া করে মন্তব্য করুন বা ফেসবুক পেজে আমাদের সাথ যোগাযোগ করুন।

 

  • ডিজাইনার: মামুনুল হক
    • সংস্থা: ইসলামিক পিএলপি ফাইল
    • ফাইল ফর্ম্যাট: জিপ সংরক্ষণাগার।
    • ডিজাইনের ফর্ম্যাট: পিএলপি (পিক্সেলল্যাব প্রকল্প) [জেপিজি সংযুক্ত]।
    • ডিজাইন সফটওয়্যার: পিক্সেলল্যাব
    • ডিজাইনের রেজুলেশন: আল্ট্রা এইচডি।
    • ডিজাইনের রঙ: আরজিবি কালার।
    • প্রিন্ট প্রস্তুত: হ্যাঁ।
    • ডিজাইন সমর্থিত অ্যাপ্লিকেশন: পিক্সেলল্যাব ডার্ক।
    • ডিজাইনের অবজেক্টের ধরণ: স্মার্ট অবজেক্ট।
    • ডিজাইনের ধরণ: প্রিমিয়াম ডিজাইন।
    • নকশা মূল্য: বিনামূল্যে।
    • ডিজাইন কোড : I P F - 32






এখনই ডাউনলোড করুন



পিএলপি কর্নার ✅

ইসলামিক লোগো,মাহফিল পোস্টার,ঈদ শুভেচ্ছা,ইফতার মাহফিল,ভিজিটিং কার্ড, ক্যালেন্ডার,নির্বাচনী পোস্টার ডিজাইন সহ সকল প্রকার পি এল পি ফাইল পাওয়া যাবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post