নির্বাচন পোষ্টার ডিজাইন PLP ফাইল ফ্রি ডাউনলোড 2022 - Islamic Plp File

নির্বাচন পোষ্টার ডিজাইন PLP ফাইল ফ্রি ডাউনলোড 2022 - Islamic Plp File




জিব্রাইল ( আঃ ) -এর সঙ্গে বিশ্বনবী ( সাঃ ) -এর দুনিয়াতে প্রথম দেখা


কোরআন পাকে সূরায়ে নযম - এর প্রথমেই জিব্রাইল ( আঃ ) এর সাথে নবী করীম ( সাঃ ) -এর সাক্ষাতের উল্লেখ করা হয়েছে যখন তাঁকে ( জিব্রাইল ) তাঁর প্রকৃত আকৃতিতে দেখা দিলেন ।

 তারপর তিনি নিকটবর্তী হতে হতে এতোটা নিকটে এসে গেলেন যে , নবী করীম ( সাঃ ) ও তাঁর মাঝে দু'টি ধনুকের সমান অথবা তার চেয়েও কম দূরত্ব রয়ে গেল । সে সময় তিনি আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে ওহী পৌছিয়ে দেন । তারপর একবার উল্লেখ আছে যে—

 مـا كـذب الـقـؤاد مـارای افـتـمـرونـه على مـایـری

উচ্চারণ : মা কাজ্জাবাল কুয়্যাদু মারায়া আফা তুমারুনাহু আলা মাইয়ারা । দেখলো , মন তাতে মিথ্যা মিলিয়ে দিল না ।

এখন অনুবাদঃ চোখে তোমরা কি তাঁর সাথে সে বিষয়ে বিতর্ক করছ যা সে চোখ দিয়ে দেখেছে ? ( সূরা নযম আয়াত ১১-১২ । ) 

দিনের আলোকে পরিপূর্ণ জাগ্রত অবস্থায় উন্মুক্ত চোখে নবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) যা পর্যবেক্ষণ করলেন , সে সম্পর্কে তাঁর মন একথা বলে নাই যে এটা দৃষ্টিভ্রম । অথবা এ কোন জ্বিন বা শয়তান যা দেখা যাচ্ছে । অথবা কোন কাল্পনিক আকৃতি সামনে হাজির হয়েছে । অথবা জাগ্রত অবস্থায় স্বপ্ন দেখছি । বরং তাঁর মন ঠিক তাই উপলদ্ধি করেছে যা তাঁর চোেখ দেখেছিল ।

নবী করীম ( সাঃ ) -এর মনে কণা মাত্র সন্দেহ ছিল না যে ইনি প্রকৃত পক্ষে জিব্রাইল ( আঃ ) বরং যে পয়গাম তিনি বয়ে এনেছেন তা আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে ওহী । 

প্রশ্ন জাগতে পারে কেমন করে এমন অভিনব ও অসাধারণ পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে নবী করীম ( সাঃ ) -এর মনে কোন সন্দেহ হলো না এবং এ ব্যাপারে তিনি বিশ্বাস করলেন যে , তাঁর চোখ যা দেখেছে তা প্রকৃত পক্ষে দৃঢ়ভাবে সত্য । কোন কল্পিত কিছু নয় বা জ্বিন শয়তান নয় । এর কারণ কি ? যে বাহ্যিক আস্থার পর্যবেক্ষণ হয়েছিল তা এর সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চয়তা দান করে । 

রাসূলুল্লাহ ( সাঃ ) -এর এ পর্যবেক্ষণ রাতের আঁধারে অথবা মুরাকাবা অবস্থায় , স্বপ্নে অথবা অর্ধ জাগ্রত অবস্থায় হয় নাই । সকালের উজ্জ্বল আলো ছড়িয়ে পড়ছিল । নবী করীম ( সাঃ ) সম্পূর্ণ জাগ্রত অবস্থায় ছিলেন । প্রকাশ্য ও শূন্যে এবং পূর্ণ দিবালোকে স্বচক্ষে তিনি এ দৃশ্য ঠিক সেইভাবেই দেখেছিলেন , যেভাবে কোন ব্যক্তি দুনিয়ার অন্যান্য দৃশ্য দেখে থাকে । 

এর মধ্যে যদি সন্দেহের কোন অবকাশ থাকে , তাহলে এই দিনের বেলায় আমরা সমুদ্র , পাহাড় , মানুষজন ঘর বাড়ি এবং আর যা কিছুই দেখছি , তা সবই সন্দিগ্ধ ও দৃষ্টিভ্রম হতে পারে । নবী করীম ( সাঃ ) এর আভ্যন্তরীণ অবস্থাও এ সত্যতার নিশ্চয়তা দান করছিল । তিনি পরিপূর্ণ সজ্ঞানে ছিলেন । পূর্ব থেকে তাঁর মনে এমন কোন চিন্তা ধারণা ছিল না যে এমন কোন পর্যবেক্ষণ হওয়া উচিত । এ সব চিন্তা - ভাবনা বা তত্ত্ব তালাশ থেকে তাঁর মন একেবারে শূন্য ছিল । 

এমন অবস্থায় আকস্মিকভাবে তাঁর সামনে এ ঘটনা ঘটে এতে এ ধরনের সন্দেহের কোন অবকাশ ছিল না যে , চোখে কোন বাস্তব দৃশ্য দেখছেন । যাতে কল্পিত কোন আকৃতি তাঁর সামনে ভেসে উঠেছ । এই অবস্থায় নবী করীম ( সাঃ ) এর সামনে যে সত্ত্বা আবির্ভূত হলেন , তিনি এতো মহান , মর্যাদাপূর্ণ , সুন্দর ও জ্যোর্তিময় যে , এমন সত্ত্বার কোন ধারণা কোন দিনই এর আগে তিনি হৃদয়ে পোষণ করেন নাই । নতুবা তাঁর মনে হতো এ দৃশ্য তাঁর ধারণা ও কল্পনা প্রসূত । জ্বিন বা শয়তানও এমন মর্যাদা সম্পন্ন হতে পারতো না যে তিনি তাঁকে ফেরেশতা ব্যতীত অন্য কিছু মনে করতে পারতেন ।

 হযরত আবদুল্লাহ বিন মাসউদ ( রাঃ ) -এর বর্ণনায় আছে যে , রাসূলুল্লাহ ( সাঃ ) বলেছেন , আমি জিব্রাইল ( আঃ ) কে এমন আকৃতিতে দেখলাম যে , তাঁর দু’শ বাহু ছিল । অন্য এক বর্ণনায় ইবনে মাসউদ ( রাঃ ) বর্ণনা করেন যে , জিব্রাইল ( আঃ ) -এর এক একটি বাহু এত বিশাল ও বিরাট ছিল যে , তা ঊর্ধ্বাকাশ ছেয়ে আছে এমনটি দেখা যাচ্ছিল । যে শিক্ষা ও যে সত্ত্বা দান করেছিলেন , তাও এ পর্যবেক্ষণের সত্যতার নিশ্চয়তা দেয়। এর মাধ্যমে হঠাৎ যে জ্ঞান , সমস্ত বিশ্ব প্রকৃতির বাস্তব সত্যতা সম্পর্কিত যে জ্ঞান তিনি লাভ করলেন । তার কোন ধারণা ইতিপূর্বে তাঁর মনে ছিল না যার কারণে তিনি সন্দেহ পোষণ করতে পারতেন যে , এ

৯৩ বিশ্বনবী ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) সবই তাঁর ধ্যান - ধারণা যার রূপ লাভ করে তাঁর সামনে এসেছে । এমনিভাবে সে জ্ঞান সম্পর্কে এ সন্দেহ পোষণের কোন অবকাশ ছিল না যে জ্বিন বা শয়তান এ আকৃতিতে তাঁকে ধোকা দিচ্ছে । কারণ এ কাজ তো শয়তানের দ্বারা সম্ভব না । শয়তান তো কোনদিন মানুষকে শির্ক ও পৌত্তলিকতার বিরুদ্ধে খাঁটি তৌহিদের শিক্ষা দেয় নাই ।

 আখেরাতের জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারে সতর্ক করে দেয় নাই । নৈতিক মহত্ব লাভের দাওয়াত দেয় নাই । বরং ঐ সত্ত্বা নবী করীম ( সাঃ ) -কে দুনিয়া থেকে শির্ক , পাপাচার , অত্যাচার নির্মূল করার এবং তার স্থানে তাওহীদ , সুবিচার এবং তাকওয়ার মঙ্গল কারিতা প্রতিষ্ঠিত করার জন্যে জ্ঞান দিয়েছেন । আল্লাহ পাক যখন কোন ব্যক্তিকে নবুয়তের জন্যে বেছে নেন , তখন তাঁর মনকে সকল সন্দেহ সংশয় প্ররোচনা থেকে মুক্ত করে সেখানে দৃঢ় প্রত্যয় ও আস্থা সৃষ্টি করে দেন । এ অবস্থায় তাঁর চোখ যা কিছু দেখে এবং কান যা কিছু শুনে তার সত্যতা সম্পর্কে কণা মাত্র সন্দেহ তাঁর মনে সৃষ্টি হতে পারে না । 

তিনি পূর্ণ আস্থা সহকারে প্রতিটি সত্য গ্রহণ করেন যা তাঁর রবের পক্ষ থেকে তাঁর কাছে উদঘাটিত হয় । এটা কোন পর্যবেক্ষণের আকারে হতে পারে যা তাঁকে স্বচক্ষে দেখানো যায় অথবা ইসলামী জ্ঞানের আকারে হতে পারে বা তাঁর হৃদয়ে ঢেলে দেয়া যায় অথবা ওহীর পয়গামের আকারেও হতে পারে যা প্রতিটি শব্দে শব্দে তাঁকে শুনানো যায় ।

এ সকল অবস্থাতেই পয়গাম্বরের এ বিষেয়ের পূর্ণ অনুভূতি হয় যে , তিনি সকল প্রকার শয়তানী হস্তক্ষেপ থেকে একে বারে নিরাপদ রয়েছেন এবং যা কিছুই তাঁর কাছে যে কোন আকারেই পৌঁছায় না কেন তা যথাযথভাবে তাঁর রবের পক্ষ থেকেই আসছে । সকল আল্লাহ প্রদত্ত অনুভূতির ন্যায় পয়গাম্বরের এ অনুভূতিও এমন এক নিশ্চিত বস্তুর মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির কোন অবকাশ নেই ।





আমাদের ওয়েব সাইটের বিষয়বস্তু অনুলিপি করা এবং এটি অন্য কোনও ওয়েবসাইটে পুনরায় প্রকাশ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এটি আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। সুতরাং সাবধান, আমাদের সাইটের লিখিত সামগ্রী কপি করবেন না।



যদি আপনার ডাউনলোড করতে সমস্যা হয় তবে দয়া করে মন্তব্য করুন বা ফেসবুক পেজে আমাদের সাথ যোগাযোগ করুন।



  • ডিজাইনার: মামুনুল হক
    • সংস্থা: ইসলামিক পিএলপি ফাইল
    • ফাইল ফর্ম্যাট: জিপ সংরক্ষণাগার।
    • ডিজাইনের ফর্ম্যাট: পিএলপি (পিক্সেলল্যাব প্রকল্প) [জেপিজি সংযুক্ত]।
    • ডিজাইন সফটওয়্যার: পিক্সেলল্যাব
    • ডিজাইনের রেজুলেশন: আল্ট্রা এইচডি।
    • ডিজাইনের রঙ: আরজিবি কালার।
    • প্রিন্ট প্রস্তুত: হ্যাঁ।
    • ডিজাইন সমর্থিত অ্যাপ্লিকেশন: পিক্সেলল্যাব ডার্ক।
    • ডিজাইনের অবজেক্টের ধরণ: স্মার্ট অবজেক্ট।
    • ডিজাইনের ধরণ: প্রিমিয়াম ডিজাইন।
    • নকশা মূল্য: বিনামূল্যে।
    • ডিজাইন কোড : I P F - 64






এখনই ডাউনলোড করুন



Post a Comment

Previous Post Next Post