ঈদ মোবারক পোস্টার ডিজাইন PLP ফাইল ফ্রি ডাউনলোড 2022 - Islamic Plp File

ঈদ মোবারক পোস্টার ডিজাইন PLP ফাইল ফ্রি ডাউনলোড 2022 - Islamic Plp File, I P F - 43


স্ত্রীর প্রকৃত রূপ 

সংসারের দুঃখ - কষ্টে , অভাবের তাড়নায় ও রোগ - শোকের সময়ে যে স্ত্রী স্বামীকে সাধ্যমত সেবাশুশ্রুষা করে থাকে , নিজের জীবন বিপন্ন করে স্বামীকে সুস্থ করে তোলে প্রকৃতপক্ষে সেই রমণীকেই আদর্শ স্ত্রী বলা হয় । স্ত্রীর সেবা - শুশ্রুষার ফলে স্বামী সুস্থ হয়ে যে প্রশংসা করে তাই তার স্ত্রীর প্রকৃত রূপ । স্ত্রীজাতি কখনো ভগ্নীরূপে , কখনো স্ত্রীরূপে নর জাতির উপকার সাধন করে । এমন অনেক কঠিন গোপনীয় বস্তু আছে , যা কেবল স্ত্রীর দ্বারাই সম্পন্ন হতে পারে । যেমন স্ত্রীর যত্নে উজ্জ্বল হয়ে উঠে । কথিত আছে , “ সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে । ” স্ত্রী পুরুষকে শুধু ভালবাসা , আদর - সোহাগ , প্রেম - প্রীতি প্রভৃতি প্রদান করেই সন্তুষ্ট থাকে না , বরং পরকালীন অবর্ণনীয় শাস্তি থেকেও রক্ষা করার একমাত্র সহায়িকা । অপরপক্ষে স্ত্রী সন্তান প্রতিপালনের কর্তব্য নিষ্ঠার সাথে পালন করে জীবন ধন্য করে ।


সংসার ধর্ম 

দুনিয়াতে মানুষ যে সুশৃঙ্খল নিয়ম - পদ্ধতি পালন করে নানা প্রকার সুখ - সম্ভোগ করতে পারে এবং যার অভাবে মানুষ সামান্য পরিমাণ সুখ - শান্তি ভোগ করতে পারে না তাকে সংসার বলে । এ লক্ষ্যে পারিবারিক জীবন - যাপন করার যে উত্তম পন্থা আবিষ্কৃত হয়েছে , তাকেই বিবাহ হলে । বিবাহ দ্বারা প্রেম - প্রীতির যে বন্ধন রচিত হয় , তা সুখের হলে সুখের আর দুঃখের হলে দুঃখের সীমা থাকে না । বিবেচনা করে দেখতে গেলে দেখা যাবে বিবাহ দ্বারা স্বামী তার স্ত্রীকে চিরসঙ্গিনী , সহধর্মিনীরূপে প্রাপ্ত হয় । সতী রমণী পতিপরায়ণা । এর উপমা পৃথিবীতে বিরল ।

হযরত রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : পরকালের কথা স্মরণ কর এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্য বিবাহকারীদের অভাব মোচনের ভার স্বয়ং আল্লাহ্ পাক নিজেই গ্রহণ করে থাকেন । 

পবিত্র কোরআনে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে : “ তারা দরিদ্র হলে আল্লাহ তাঁর নিজ করুণায় তাদের অভাব পূরণ করে থাকেন । 

ইসলামের পাঁচটি প্রধান কাজ মেনে চললে সংসারে কোন প্রকার অভাব - অনটন হতে পারে না । 

এ পাঁচটি কাজ হলঃ ( ১ ) কালেমা , ( ২ ) নামায , ( ৩ ) রোজা , ( ৪ ) হজ্ব , ( ৫ ) যাকাত । আল্লাহ তায়ালা উক্ত পাঁচটি কার্যের মধ্যে সংযম রেখেছেন । যে ব্যক্তি সংযম পালন করবে , তার সর্ববিষয়ে সুফল হবে । 

এ সম্পর্কে বলা হচ্ছে - ( ১ ) ইসলামের মূল কালেমা মানুষকে সত্য ধর্মে দীক্ষিত করে সৎ কাজের পথ প্রশস্ত করে দেয় এবং মন্টষ্যধর্ম অন্তকরণে বদ্ধপরিকর হয়ে যায় , তাতে সংসার সুখের হয় । ( ২ ) নামায মানুষকে সকল প্রকার খারাপ কাজ থেকে ফিরিয়ে সংসারী করে গড়ে তোলে । ( ৩ ) রোযা মানুষকে আত্মসংযম শিক্ষা দেয় , মানুষের সমস্ত পাপ দগ্ধ করে তাকে পুণ্যাত্মা ও সংসারী সিদ্ধপুরুষরূপে গড়ে তোলে । তদহেতু সে কুপ্রবৃত্তি থেকে নিষ্কৃতি পায় এবং সংসার সুখের হয় । ( ৪ ) হজ্ব মানুষকে যাবতীয় পাপ মোচনের জন্য ও আত্মার বিশোধনের জন্য । সুদূর আরব দেশে বহু কষ্টে গিয়ে হজ্বব্রত পালন করে শিশুর মত নিষ্পাপ হয়ে প্রকৃত মুসলমানরূপে সংসারের সুখ - দুঃখের তারতম্য অনুভব করে , পরিশেষে সুখের সংসার গড়ে তোলে । ( ৫ ) যাকাত দান ইসলামের একটি সহানুভূতির পন্থা । আল্লাহ তায়ালা ইসলামে যাকাত প্রচলন করে দরিদ্র ও দুঃস্থ লোকদের প্রতি সহানুভূতির পথ প্রশস্ত করেছেন । সুতরাং যারা অনাহারে মরছে তাদেরকে সাহায্য করলে তাদের সংসার সুখের হয় ।


ফুলশয্যার রাত্রি ( মিলন কক্ষ )

বিবাহ বাসরে নববধুর আগমন কত আনন্দের ! ধুমধামের সাথে নববধুকে বাড়ী আনা প্রত্যেক সম্প্রদায়ের একটি আনন্দ উৎসব ।

প্রথা অনুযায়ী বিবাহকার্য সম্পাদন হবার পর দুলহা - দুলহিনের মোলাকাত প্রায়ই রাত্রে করানো হয় এবং এটাই উত্তম । দুলহা - দুলহিনের মধ্যে এটাই প্রথম সাক্ষাৎ । এর পূর্বে উভয়েই একে অন্যের কাছে অপরিচিত থাকে । তারা নূতন জীবন সম্বন্ধে থাকে অজ্ঞ । পার্থিব জীবন সম্বন্ধেও তাদের কোন ধারণা থাকে না । এ জন্যই কিছু আবশ্যকীয় উপদেশাবলী নিম্নে দেয়া হল , যাতে সে অনুযায়ী দুলহা - দুলহি আনন্দের ও সুখের জীবন যাপন করতে পারে । 

যে সময়ে দুলহিনকে দুলহার সাথে সাক্ষাৎ করানো হয় , তখন তাদের শোবার কক্ষ একেবারে পৃথক হওয়া উচিত , যেন স্বামী - স্ত্রী উভয়েই সর্ববিষয়ে খোলাখোলিভাবে তাদের মনের কথা বলতে পারে । কামরার আশেপাশে কোন প্রকার সাড়া শব্দ , গোলামাল অথবা চেচামেচি করলে তারা স্বাধীনভাবে কথাবার্তা বলতে পারে না । যে কক্ষে প্রথম রাতে স্বামী - স্ত্রীকে একত্রিত করা হয় , তা খুব পরিস্কার - পরিচ্ছন্ন হওয়া আবশ্যক । এ কক্ষের তাজা ফল - মূল , নানা প্রকার মিষ্টি , শরবত , খুরমা , আতর , ফুলের মালা এবং অন্যান্য মনোজ্ঞ ও আবশ্যকীয় বস্তু সাজানো থাকতে হবে , যেন কোন কিছুর জন্য তাদের বাইরে যেতে না হয় । 


স্বামীর জন্য আবশ্যকীয় উপদেশাবলী 

এটা সকলেই জ্ঞাত আছে যে , বিবাহের রীতিনীতি স্বামী - স্ত্রীর জীবনের ভিতর একটা মহান্দোলনের উদ্ভব করে , যা দ্বারা তাদের অসংখ্য বিষয় সীমাবদ্ধ করে দেয়া হয় । বিশেষত বিবাহের প্রথম রাতে উভয়ের এমন একটি সংকটময় সময় এসে পড়ে , যখন খুব চিন্তা - ভাবনা করে কাজ করতে হয় । কারণ , এ সময়ে একটি সাধারণ ভুল বা পদস্খলন দ্বারা ভবিষ্যতে ভয়ঙ্কর বিপদের সম্মুখীন হতে হয় । 

যে সময়ে দুলহা - দুলহিনকে এক ঘরে বা এক কামরায় একত্রিত করা হয় , তখন স্বামীকে নূতন দুলহিনের প্রত্যেক বিষয় অর্থাৎ , হাবভাব ও আদব - কায়দা ইত্যাদি উপর একবার লক্ষ্য করা উচিত । ভালভাবে চিন্তা করে দেখবে যে , যে মেয়েটি আমার সম্মুখে মাথা নিচু করে বসে আছে , তার অন্তকরণের এখন কি অবস্থা । তখন নিজের ওপর সে চিন্তাটি আরোপ করে দেখবে যে , সে ভাল স্বভাবের হওয়া সত্বেও বহু লোকের সাথে কথা বলতে সঙ্কোচ করে এবং ইচ্ছা সত্ত্বেও বলতে পারে না । তবে দুলহিন তার স্বামীকে কখনো দেখে নি সে সত্যিকার অতিথিরূপে এসেছে , প্রকৃতপক্ষে সে বেচারী নিজের পিতামাতা , ভাই - বোন এবং বন্ধু - বান্ধবীদেরকে পরিত্যাগ করে এসেছে । যার এখনও লজ্জা - শরম দূর হয়নি , যা পুরুষদের চেয়ে স্ত্রীলোকের মধ্যেই বেশী পাওয়া যায় , সে স্ত্রী কেমন করে সবকিছু ভুলে সরলভাবে কথা বলবে । 

ভাবনার বিষয় যে , যখন মানুষ কোন বিষয়ে ধ্যানে একেবারে মগ্ন হয়ে যায় , তখন তাকে অন্যদিকে মনোনিবেশ করাতে অনেক নময়ের প্রয়োজন । অতি শীঘ্রই সমস্ত ধ্যান - ধারণাকে অন্যদিকে ফিরিয়ে আনা সহজ নয় । 

এ সম্বন্ধে কোন সন্দেহ নেই যে , বিবাহের কিছুদিন পরেই স্বামী - স্ত্রীর মধ্যে এমন আন্তরিক বন্ধুত্ব হয় , যার উপমা দুনিয়ায় আর কোন আত্মীয়ের মধ্যে পাওয়া যায় না । কিন্তু এটা আবশ্যক নয় যে , দীর্ঘ দিনের ঘনিষ্ঠতা প্রথম রাত্রের প্রথম ঘণ্টায়ই হয়ে যায় । এ বিষয়ের প্রারম্ভটা খুব ভাল নিয়মেই হওয়া উচিত । 

অনেক যুবকই অনেক যুবকই ভুল করে থাকে যে , প্রথম রাত্রির সাক্ষাতেই নিজের পুরুষত্বের প্রমাণ দেয়া উচিত । অন্যথায় স্ত্রী স্বামীকে অক্ষম ভাববে । সাধারণ যুবক ভুল শিক্ষার দরুন প্রথম সাক্ষাতেই নিজের কাম চরিতার্থ করতে গিয়ে ভুল করে বসে । এ কথা সে চিন্তা করে না যে , নূতন বধু তার নিজের প্রিয়জনদেরকে ছেড়ে নূতন বাড়ী এসেছে । সে বিচ্ছেদের দুঃখে স্বাভাবিক চিন্তায় বিভোর হয়ে আছে এবং লজ্জায় কথা পর্যন্ত বলতে পারছে না , এ অবস্থায় তার সাথে এমন কাজ করা একেবারেই উচিত নয় । যার সাথে সে আদৌ পরিচিত নয় , এতে কিছু অনিষ্টতা এসে যায় , স্ত্রী মনে করে যে এটাই বিবাহ করার উদ্দেশ্য । স্বামীর কামপ্রবৃত্তি এরূপ অসাধারণভাবে জাগ্রত হয়ে উঠার ফল তাকে অতি শীঘ্রই ভোগ করতে হয় । সফলকাম স্বামীর উচিত , যেন স্ত্রীর অন্তকরণে এটা স্থান লাভ না করে যে , কাম চরিতার্থ করাই বিবাহ করার উদ্দেশ্য ৷

স্বামী না বুঝে - শুনে প্রথম রাত্রেই স্ত্রীকে কষ্ট দেয় । এটা খুব মারাত্মক ভুল । যা আর সংশোধন হতে পারে না । প্রথম দিনই স্ত্রীর অন্তকরণে স্বামী - ভীতি স্থান লাভ করে । স্ত্রী স্বামীকে স্বার্থপর ও আত্মসেবী বলে মনে করে । সাধারণতঃ বালিকা এসব ব্যাপারে একেবারেই অজ্ঞ থাকে । এ বিষয়ে তারা কোন প্রকার পারদর্শিতা লাভ করতে পারে না । অতএব , তারা এ স্বাদ ও আনন্দ হতে বঞ্চিত থাকে । হয়ত তারা তাদের বিবাহিতা বান্ধবীদের কাছে এ সম্বন্ধে কতই না শুনেছে , কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এ বিষয়ে তারা ওয়াকিফহাল নয় । প্রথম অবস্থায় এ কাজের দরুন স্ত্রীর কষ্ট হয় এবং রক্তও নির্গত হয় । কেহ কেহ হয়ত সমালোচনা করে থাকেন যে , স্ত্রীলোকের এ কষ্ট সহ্য করতেই হয় । কিন্তু তাদের স্মরণ রাখা উচিত যে , স্ত্রীকে নিজের মতে এসে তার সাথে সরলভাবে এ কাজ করলে নিঃসন্দেহ বলা যেতে পারে ভালবাসার সূত্রে এ কষ্ট সম্বন্ধে কোন প্রকার খেয়াল করবে না । এমতাবস্থায় স্ত্রীকে কোন প্রকার কষ্ট না দিয়ে , প্রথম দিন সুমিষ্ট ভাষা দ্বারা প্রেমালাপ করে তার অন্তকরণে শান্তি ও অভয় প্রদান করবে , পরিণত বয়স্কা দুলহিনের সাথে প্রেমালাপ করার পর যদি আন্তরিক সম্মতি উপলব্ধি হয় , তা হলে তার সাথে প্রথম রালেই মিল হতে পারে । 

যে দুলহিনের বয়স বেশী , তাদেরকে অতি সহজে বশীভূত করা যায় । কেননা তাদের একদিকে লজ্জা অনুভব হলেও অন্যদিকে স্বভাব তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করে ।

যেমন স্ত্রীর খেয়াল , অর্থাৎ পিতা - মাতা , ভাই - বোন ও বন্ধু - বান্ধবীদের বিচ্ছেদে ম্রিয়মান থাকার দরুন এবং শ্বশুরালয়ে নূতন অতিথিরূপে এসে প্রথমবারেই স্বামীর সামনে এসে পড়ার দরুন যে ভীতির সঞ্চার হয় , সে জন্য স্বামী তার প্রতি খেয়াল রাখবে , তেমনি তার শারীরিক অবস্থা অর্থাৎ , উপযুক্ততা অনুপযুক্ততার প্রতিও লক্ষ্য রাখবে । এমনকি তখন সে পবিত্রা কি অপবিত্রা তাও জানতে হবে ।

আমাদের দেশে বহু বধু নাবালেগও থাকে । এ অবস্থায় যৌবনে পদার্পণ না করতেই বিবাহের রেওয়াজ অনুযায়ী তাকে স্বামীর সাথে শোবার জন্য স্বামীর কামরায় পাঠিয়ে দেয়া হয় । তখন সে বধু হবার দরুন স্বামী তার সাথে বালেগা স্ত্রীর ন্যায় ব্যবহার করবে এবং জোর করে কার্যসিদ্ধি করবে , তা কখনই সমীচীন হয় না ; বরং তার কর্তব্য , যে প্রকারেই হউক নিজের পুরুষোচিত প্রবৃত্তির ওপর প্রবল হয়ে এরূপ ইচ্ছাকে প্রতিরোধ করা । কারণ , স্ত্রীর অল্প বয়সে নাবালেগা থাকার দরুন স্বামীর সাথে তার ভালবাসার কথা বলার প্রবৃত্তিই জন্মে না । এ সময় যদি স্বামী কামপ্রবৃত্তির মোহে অন্ধ হয়ে তার সাথে মিলন সুখ সম্ভোগ করতে চায় , তাহলে মিলন সুখের পরিবর্তে সে ধর্মতঃ চরিত্র সম্পর্কীয় অপরাধে অপরাধী হবে । স্ত্রীও নাবালেগা থাকার দরুন এরূপ কার্যের বিপক্ষে অনুতাপ করার পূর্বেই এ ভোগ বিলাসের নশ্বর দেহ ছেড়ে অমরধামে চির সুখ ভোগের স্থানে চলে যাবে ।

স্ত্রী বালেগা হলে তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা স্বামীর অপরিহার্য কর্তব্য । মিলনের পূর্বে স্ত্রীর স্বাভাবিক ঋতুর পরিবর্তে অন্য কোন রোগ আছে কিনা তা স্বামীর জানা দরকার । তার বিশেষ কোন ব্যাধি না থাকলেও ঋতুর সময়ে তার সাথে শয্যা রচিত হলে স্বামীর প্রস্রাবের জ্বালা , প্রমেহ সহ বহু কঠিন রোগ হবার আশংকা থাকে । এ প্রকারে স্ত্রীর অনুপযুক্তা অবস্থার ভিতর মিলন কষ্ট সহ্য করার দরুন রক্ত নির্গত হয় , লজ্জাস্থানে ব্যথা , নাভি বা সর্বশরীর অবসন্ন হয়ে যেতে পারে , এমনকি ভবিষ্যতে সন্তান জন্মিবার আশা চিরতরে নষ্ট হয়ে যায় ।

স্বামী - স্ত্রী সম্বন্ধে সুস্থতা ও বালেগা হবার বিষয়ে অবগত হওয়া ব্যতীত অথবা স্ত্রীর সঙ্কোচ দূর না হতেই স্ত্রীর সাথে মিলন স্বাদ গ্রহণ করার উচিত নয় ।

স্বভাবতঃ যে স্বামী স্ত্রীর সাথে সুখে - শান্তিতে জীবন যাপন করতে চায় এবং তার প্রত্যেকটি ভালমন্দ বিষয়ে সুখ - দুঃখের ভাগী হতে চায় , তবে সে সে স্ত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করে কিভাবে আনন্দ পাবে ? শতকরা ৯৯ জন স্বামী বালেগ ও হুশিয়ার হওয়া সত্বেও স্ত্রী মিলন রাত্রিতে নিষ্কৃতি পায় না । শিক্ষিত ও জ্ঞানী স্বামী মিষ্টি কথা দ্বারা স্ত্রীকে ভুলিয়ে ফেলে ।

যতদূর সম্ভব স্ত্রীকে প্রেমালাপ ও সান্ত্বনাবাণী দ্বারা এ কথা বুঝানো উচিত যে , সুখে - দুঃখে আমরা দু'জন পরস্পর মিলিতভাবে জীবন যাপন করব । আমার সম্মান তোমার সম্মান , তোমার সৌভাগ্য আমার গৌরব । আমাদের মধ্যে যদি কেহ অপরাধ করি তা হলে দুনিয়ার মানুষ আমাদেরকে খারাপ বলবে এবং আমরা উভয়েই লজ্জিত হব । তোমার কাছ থেকে সহস্রাধিক বিষয়ের আশা করতে পারি । তুমি আমার এবং আমি তোমার । যদি তোমার কোন প্রকার কষ্ট বা ব্যাধি হয়ে পড়ে , তা হলে আমারই চিকিৎসা করাতে হবে । অনুরূপ তুমিও আমার সেবা ও সন্তুষ্টি বিধান করবে ।

প্রথম রাত্রিতে স্বামী স্ত্রীকে এরূপ মিষ্টি কথা দ্বারা মনের সমস্ত অশান্তিকে দূর করবে এবং নিজের দিকে আকৃষ্ট করাতে চেষ্টা করবে । মোটকথা , উভয়ের মাঝে এরূপ কথাবার্তা হওয়া উচিত যাতে একে অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল হয় ।



আমাদের ওয়েব সাইটের বিষয়বস্তু অনুলিপি করা এবং এটি অন্য কোনও ওয়েবসাইটে পুনরায় প্রকাশ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এটি আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। সুতরাং সাবধান, আমাদের সাইটের লিখিত সামগ্রী কপি করবেন না।

 

যদি আপনার ডাউনলোড করতে সমস্যা হয় তবে দয়া করে মন্তব্য করুন বা ফেসবুক পেজে আমাদের সাথ যোগাযোগ করুন।

 

  • ডিজাইনার: মামুনুল হক
    • সংস্থা: ইসলামিক পিএলপি ফাইল
    • ফাইল ফর্ম্যাট: জিপ সংরক্ষণাগার।
    • ডিজাইনের ফর্ম্যাট: পিএলপি (পিক্সেলল্যাব প্রকল্প) [জেপিজি সংযুক্ত]।
    • ডিজাইন সফটওয়্যার: পিক্সেলল্যাব
    • ডিজাইনের রেজুলেশন: আল্ট্রা এইচডি।
    • ডিজাইনের রঙ: আরজিবি কালার।
    • প্রিন্ট প্রস্তুত: হ্যাঁ।
    • ডিজাইন সমর্থিত অ্যাপ্লিকেশন: পিক্সেলল্যাব ডার্ক।
    • ডিজাইনের অবজেক্টের ধরণ: স্মার্ট অবজেক্ট।
    • ডিজাইনের ধরণ: প্রিমিয়াম ডিজাইন।
    • নকশা মূল্য: বিনামূল্যে।
    • ডিজাইন কোড : I P F - 43






এখনই ডাউনলোড করুন



পিএলপি কর্নার ✅

ইসলামিক লোগো,মাহফিল পোস্টার,ঈদ শুভেচ্ছা,ইফতার মাহফিল,ভিজিটিং কার্ড, ক্যালেন্ডার,নির্বাচনী পোস্টার ডিজাইন সহ সকল প্রকার পি এল পি ফাইল পাওয়া যাবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post