মাহফিল পোস্টার ডিজাইন PLP ফাইল ফ্রি ডাউনলোড 2022 - Islamic Plp File

মাহফিল পোস্টার ডিজাইন PLP ফাইল ফ্রি ডাউনলোড 2022 - Islamic Plp File





ক্রুসেড - উমরু দরবেশ, - ষষ্ঠ পর্ব

- আসাদ বিন হাফিজ

সুলতান আইয়ুবীর বাহিনীতে যোগদান করে তারা একাধিক যুদ্ধে বিক্রমের সাথে লড়াই করে তাদের বিশ্বস্ততার প্রমাণ দিল । সুলতান আইয়ুবী তাদের যুদ্ধের কৌশল ও গতি নিকট থেকে লক্ষ্য করে তাদের ব্যাপারে নিশ্চিন্ত হয়ে গেলেন । পরে তাদেরকে সামরিক এবং সেই সাথে ধর্ম , ঈমান ও জাতীয় মর্যাদাবোধের ব্যাপারেও ট্রেনিং দিলেন । তিনি তাদের বুঝাতে সক্ষম হলেন , মুসলমানের শত্রু কোন ব্যক্তি মানুষ নয় , যিনিই ইসলামের দুশমন তিনিই মুসলমানের শত্রু । মানবতার সেবায় নিজেদের বিলিয়ে দেয়াই মুসলমানের ধর্ম । অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো মুসলমানের দায়িত্ব । মেয়েদের সম্মান ও সম্ভ্রম রক্ষা করা তাদের কর্তব্য । মানবতার বিরুদ্ধে কোন অমুসলমান দাঁড়ালে সেটা যেমন অপরাধ , তেমনি অপরাধ কোন মুসলমান .দাঁড়ালেও । অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করা ফরজ , নীতির প্রশ্নে কারো সাথে আপোসের কোন অবকাশ নেই । বংশ , গোত্র , বর্ণ নয় , মানুষকে বিচার করতে হবে তার আদর্শ দিয়ে । এ জন্যই সুলতান আইয়ুবীর সৈন্য বাহিনী যখন আরবের বিদ্রোহী মুসলিম আমীরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য ময়দানে এগিয়ে গেলো , এসব সুদানী সেনারা একবারও দ্বিধায় ভোগেনি , কেউ বলেনি , মুসলিম হয়ে মুসলমানের বিরুদ্ধে আমরা অস্ত্র ধরতে পারবো না ।

কায়রোর গোয়েন্দা সংস্থার কাছে রিপোর্ট এলো . সুদান সরকার নানাভাবে পাহাড়ী এলাকার মুসলমানদের আনুগত্য আদায়ের চেষ্টা করছে । মিশরের সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়ার পরিবর্তে সুদানী বাহিনীতে যোগ দিতে চাপ দিচ্ছে তাদের ।

কিন্তু পাহাড়ী মুসলমানরা সরকারের এ আদেশের প্রতি কর্ণপাত না করায় তারা এ ব্যাপারে উৎপীড়ন - নির্যাতনও চালাচ্ছে । পাহাড়ীদের বাধ্য করতে সামরিক অভিযানও চালিয়েছে । কিন্তু এর ফল ভাল হয়নি । পাহাড়ীদের তাড়া খেয়ে পালিয়ে গেছে সুদানী বাহিনী ৷ সুদান সেনাবাহিনীর সিনিয়র এক অফিসার গোপনে সে এলাকায় এলে আততায়ীর হাতে নিহত হয়েছে । পাহাড়ী এলাকাটি দুর্ভেদ্য , ফলে সুদানীদের সামরিক অভিযান সেখানে সফল হওয়ার সম্ভাবনা নেই । স্বাধীনচেতা মুসলমানদের আত্মরক্ষার জন্য অঞ্চলটি খুবই উপযোগী । পাহাড়ের ঘেরাও এবং উপত্যকার সারি সব সময় তাদেরকে শত্রুদের আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত ও নিরাপদ রাখে । সেখানকার মুসলমানরা স্বভাব - যোদ্ধা , তাদের সাহস ও অটুট মনোবলই তাদের নিরাপত্তার জামিন ।

সুলতান আইয়ুবী আলী বিন সুফিয়ানের মাধ্যমে তাদের সব খবরই জানতে পেরেছিলেন । তিনি মিশরের গোয়েন্দা বাহিনীর যে সব সদস্য চোরাকারবারী হিসাবে দক্ষতা অর্জন করেছিল তাদের দ্বারা সেই পাহাড়ী এলাকায় ভারী অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করলেন । অল্প দিনের অল্প দিনের মধ্যেই সেখানকার · মুসলমানদের হাতে এত অস্ত্র জমা হয়ে গেল যে , সারা বছর যুদ্ধ চালালেও তাদের অস্ত্র ঘাটতি দেখা দেবে না । 

তারা এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ বিভিন্ন লোকের বাড়ী ও পাহাড়ের গোপন স্থানে লুকিয়ে রাখলো । তাদের অস্ত্র সরবরাহের ব্যাপারে সুলতান আইয়ুবীর যুক্তি ছিল , স্বাধীনচেতা এসব মুসলমানরা যেন প্রকৃত পক্ষেই স্বাধীন থাকতে পারে সে জন্য তাদের সব রকম সাহায্য করা অন্য মুসলমানদের নৈতিক দায়িত্ব ।

আলী বিন সুফিয়ানের গোয়েন্দারা চোখ - কান খোলা রেখেই সে এলাকায় অবস্থান করছিল । তারা কেবল তথ্য সন্ধানী গোয়েন্দাই ছিল না , দক্ষ এবং পরীক্ষিত কমাণ্ডো যোদ্ধাও ছিল । সেখানকার মুসলমান নারী পুরুষ সকলেই শারীরিক ও মানসিকভাবে যুদ্ধের জন্য পূর্ণরূপে প্রস্তুত ছিল । এদের মধ্য থেকে এলাকার নিরাপত্তা বিধানের জন্য পাঁচ হাজার শক্ত সামর্থ যুবক যোদ্ধাদের নিয়ে গড়ে তোলা হলো একটি বাহিনী । আলী বিন সুফিয়ানের পাঠানো কমাণ্ডো অফিসাররা তাদের প্রশিক্ষণ দিল । আইয়ুবীর পাঠানো অস্ত্রগুলো হাওলা করে দেয়া হলো .তাদের । সুদানী হাবশী সৈনাদের থেকে এদের প্রকৃতি আলাদা । হাবশীরা যুদ্ধ করে ভাড়াটে সৈন্য হিসেবে । খৃস্টানরা তাদেরকে যে বর্বরতার ট্রেনিং দিয়েছে তাই ওদের সম্বল । যুদ্ধের ময়দানে তাদের চাল - চলন হয় পশুর মত । দুশমন দুর্বল হলে তারা ব্যাঘ্র হয়ে যায় , আবার শত্রু সামনে অগ্রসর হলে নিজেকে বাঁচিয়ে সরে পড়ার জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ে ওরা ।

সম্প্রতি এ অবস্থার কিছুটা পরিবর্তন ঘটেছে । মিশরের কিছু মুসলমান গাদ্দার সেনাপতি অর্থ - সম্পদের লোভে সুদানে চলে এসেছিল । এসব সেনাপতিরা সুদানের সামরিক বাহিনীকে ট্রেনিং দিয়ে তাদের যোগ্যতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করেছে । তারপরও সুদান সরকার মিশরের ওপর প্রকাশ্যে আক্রমণ চালাতে এখনও ভয় পায় ।

এ জন্যই সুদান সরকার পাহাড়ী মুসলমানদেরকে সুদানী বাহিনীতে ভর্তি করার ব্যাপারে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে । খৃস্টান উপদেষ্টারাও জানে , পঞ্চাশ হাজার হাবশী সৈন্যের বিরুদ্ধে পাঁচ হাজার মুসলিম সৈন্য যথেষ্ট ।

সুদানের মুসলিম অধ্যুষিত পাহাড়ী অঞ্চলে একটা বিরাট কাণ্ড ঘটে গেছে । সুদানী কারাগারের এক প্রহরী সুদানের সামরিক বাহিনীর এক কমাণ্ডারকে হত্যা করে মুসলিম অঞ্চলে এসে আশ্রয় নিয়েছে । যথাসময়ে এ সংবাদ আলী বিন সুফিয়ানের কানেও এসে পৌঁছলো । সংবাদ বাহক আলী বিন সুফিয়ানকে এ সম্পর্কে বিস্তারিত ঘটনা শোনানোর পর বললো , ' আমি ঘটনার সত্যতা যাচাই করার জন্য সে প্রহরীর সাথেও আলাপ করেছি । তার মুখে আরো শুনেছি , সুদানের কারাগারে ইসহাক নামে এক মিশরী অফিসার প্রচুর নির্যাতনের পরও এখনো বেঁচে আছে ।

কারাগারে তাঁর ওপর অকথ্য উৎপীড়ন চালানো হচ্ছে । সুদান সরকার তার কাছ থেকে কয়েকটি শর্ত আদায় করতে চায় । শর্তগুলো হলো , তাকে স্বপক্ষ ত্যাগ করে সুদানীদের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করতে হবে । তার নিজ এলাকা মুসলিম প্রধান পাহাড়ী অঞ্চলের মুসলমানদেরকে সুদান সরকারের প্রতি অনুগত করার জন্য তাকে চেষ্টা করতে হবে । পাহাড়ী যুবকদেরকে মিশরের পরিবর্তে সুদানী সেনাবাহিনীতে ভর্তি হতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে । সুদানীরা মনে করে , সে অঞ্চলের ওপর ইসহাকের এমন প্রভাব রয়েছে , সে শুধু রাজি হলেই হয় । বিনিময়ে তাকে ওই এলাকার সরদার বানিয়ে দেয়া হবে ।

কিন্তু বন্দী এর কোন প্রস্তাবই কবুল না করে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করায় তার ওপর চলছে অব্যাহত নির্যাতন । প্রহরীর মতে এত নির্যাতনের পর কারো বেঁচে থাকাটা এক অলৌকিক ঘটনা । কোন মানুষ এর অর্ধেক নির্যাতনও সইতে পারে না ।

ইসহাককে এখন কারাগার থেকে মুক্ত করা আমাদের জন্য ফরজ হয়ে গেছে । ' আলী বিন সুফিয়ান গোয়েন্দার কাছ থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পর সুলতান তকিউদ্দিনকে বললেন , ' আপনি তো ভাল করেই জানেন , কারাগারে যুদ্ধবন্দীদের ওপর কি দুঃসহ উৎপীড়ন চালানো হয় । বন্দী করতে পারলে আমরাও তো পাথরকে দিয়ে কথা বলাই । এমনও হতে পারে , অত্যাচার সইতে না পেরে ইসহাক সুদানীদের শর্ত কবুল করতে বাধ্য হবে । আমি আরও জানতে পারলাম , আমাদের আরও দু’তিনজন কমাণ্ডঞ্জর তাদের কারাগারে আছে । তাদের সকলের ওপরই চালানো হচ্ছে অকথ্য উৎপীড়ন । তাই আপনার কাছে আমার জোর দাবী ও পরামর্শ হচ্ছে , অবিলম্বে আমাদের কিছু কমাণ্ডোকে সুদানের মুসলিম এলাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করুন । আমি আশংকা করছি , সুদানী কমাণ্ডার হত্যার প্রতিশোধ নিতে তারা অচিরেই আবার মুসলমানদের ওপর আক্রমণ চালাবে ।

প্রথম পর্ব পড়তে এখনে ক্লিক করুন

দ্বিতীয় পর্ব পড়তে এখনে ক্লিক করুন

তৃতীয় পর্ব পড়তে এখনে ক্লিক করুন

চতুর্থ পর্ব পড়তে এখনে ক্লিক করুন

পঞ্চম পর্ব পড়তে এখনে ক্লিক করুন






আমাদের ওয়েব সাইটের বিষয়বস্তু অনুলিপি করা এবং এটি অন্য কোনও ওয়েবসাইটে পুনরায় প্রকাশ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এটি আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। সুতরাং সাবধান, আমাদের সাইটের লিখিত সামগ্রী কপি করবেন না।

 

যদি আপনার ডাউনলোড করতে সমস্যা হয় তবে দয়া করে মন্তব্য করুন বা ফেসবুক পেজে আমাদের সাথ যোগাযোগ করুন।

 

  • ডিজাইনার: মামুনুল হক
    • সংস্থা: ইসলামিক পিএলপি ফাইল
    • ফাইল ফর্ম্যাট: জিপ সংরক্ষণাগার।
    • ডিজাইনের ফর্ম্যাট: পিএলপি (পিক্সেলল্যাব প্রকল্প) [জেপিজি সংযুক্ত]।
    • ডিজাইন সফটওয়্যার: পিক্সেলল্যাব
    • ডিজাইনের রেজুলেশন: আল্ট্রা এইচডি।
    • ডিজাইনের রঙ: আরজিবি কালার।
    • প্রিন্ট প্রস্তুত: হ্যাঁ।
    • ডিজাইন সমর্থিত অ্যাপ্লিকেশন: পিক্সেলল্যাব ডার্ক।
    • ডিজাইনের অবজেক্টের ধরণ: স্মার্ট অবজেক্ট।
    • ডিজাইনের ধরণ: প্রিমিয়াম ডিজাইন।
    • নকশা মূল্য: বিনামূল্যে।
    • ডিজাইন কোড : I P F - 11






এখনই ডাউনলোড করুন



পিএলপি কর্নার ✅

ইসলামিক লোগো,মাহফিল পোস্টার,ঈদ শুভেচ্ছা,ইফতার মাহফিল,ভিজিটিং কার্ড, ক্যালেন্ডার,নির্বাচনী পোস্টার ডিজাইন সহ সকল প্রকার পি এল পি ফাইল পাওয়া যাবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post