নির্বাচন পোষ্টার ডিজাইন PLP ফাইল ফ্রি ডাউনলোড 2022 - Islamic Plp File

নির্বাচন পোষ্টার ডিজাইন PLP ফাইল ফ্রি ডাউনলোড 2022 - Islamic Plp File


 

ক্রুসেড - উমরু দরবেশ, - তৃতীয় পর্ব

- আসাদ বিন হাফিজ


লোকটি ক্ষীণ কন্ঠে উত্তর দিল , ' উমরু দরবেশ ! '

ও , হো ! উমরু দরবেশ ! ’ ইসহাক অভিভূত হয়ে বললো ,

আমি ইসহাক ! ’

সুলতান আইয়ুবী এ পর্যন্ত বলে একটু দম নিলেন । তারপর আবার বলতে শুরু করলেন , ' এরা একে অপরকে ভাল করেই চিনতো । উমরু দরবেশও আমার একটি সেনাদলের কমাণ্ডার ছিল । সেও পাহাড়ী অঞ্চলের মুসলমান কবিলার লোক । উমরু দরবেশ ইসহাকের সাথে একই অভিযানে যুদ্ধবন্দী হয় । ইসহাকের নাম শুনেই সে উঠে বসলো ।

তোমাকে কি শর্ত দিচ্ছে ? ' ইসহাক জিজ্ঞেস করলো ।

বলছে , তুমি আলেম ও হুজুর সেজে দেশে যাও । ' উমরু দরবেশ বললো , ‘ লোকদের নছিহত করো , তাদের বুঝাও , সুলতান আইয়ুবী দেশ এবং ইসলামের শত্রু । আরও বলছে , আমরা তোমাকে ট্রেনিং দিয়ে দেবো , তোমাকে রাজার হালে রাখবো ! আর আমাদের রঙমহলের যে সুন্দরী মেয়েকে পছন্দ করো তাকে চিরকালের জন্য উপহার দিয়ে দেবো তোমাকে । ' উমরু দরবেশ জিজ্ঞেস করলো , তোমার কাছ থেকে কোন্ শর্ত আদায় করতে চাচ্ছে ?

 তারা বলছে , তোমার সম্প্রদায়ের সমস্ত মুসলমানদের সুদান সরকারের অনুগত করে দাও । ' ইসহাক উত্তর দিল , তার বিনিময়ে আমাকে আমাদের এলাকার আমীর বানিয়ে দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে । এরা পাহাড়ী মুসলমানদের সুদানী সেনাবাহিনীতে শামিল করতে চায় ।

আমার মনে হয়েছিল , তোমার ওপর খুব নির্যাতন করছে ওরা । ' উমরু দরবেশ বললো , ' জানি না আমাদের দু'জনকে কেন একই কামরায় বন্দী করলো । সম্ভবত : এতে কোন মঙ্গল নিহীত আছে । আমিও চাচ্ছিলাম , তোমার সাথে আমার দেখা হোক । আমি একটি পথ চিন্তা করেছি ; সে কাজ করার আগে তোমার সাথে পরামর্শ করার প্রয়োজন ছিল । ভালোই হলো ,

তুমি আমার কাছে এসে গেছো ।

কি চিন্তা করেছো ? '

তুমি তো দেখতেই পাচ্ছো , এরা আমাদের ছাড়বে না । ' উমরু দরবেশ বললো , ' আমরা আর কতদিন নির্যাতন সহ্য করবো ? এভাবে হয়তো আরো দু'চার দিন বেঁচে থাকবো , কিন্তু মরণ আমাদের এখানেই হবে । এখানে আরও কিছু সুদানী মুসলমান বন্দী বেঁচে আছে । কেউ না কেউ তাদের জালে আটকাবেই । আমি ভয় পাচ্ছি , আমাদের সাথীদেরকে প্রলোভন দেখিয়ে আমাদের মধ্যে ফাটল ধরিয়ে দেবে । পথ একটাই , তা হলো , এদের শর্ত মেনে নেয়া । আমার ইচ্ছা , তুমিও এদের শর্ত মেনে নাও । তারপর মুক্ত হয়ে নিজের এলাকায় গিয়ে বিশ্রাম নাও । নয়তো সুযোগ মত রাতের আঁধারে সেখান থেকে পালিয়ে মিশরে চলে যেও । তোমাকে বেঁচে থাকতে হবে ।

এদিকে আমিও তাদের কথা মেনে নেই । তারা আমাকে যে শিক্ষা দেয় , তাই গ্রহণ করি । তাদের নির্দেশ মত বহুরূপী সেজে চলে যাই নিজের কবিলার কাছে । তারপর তারা যেন সুদানীদের কোন চক্রান্তে না পড়ে সে জন্য তাদের হুশিয়ার করি ।

যদি আমি তাদের সাথী হতে পারি , তবে আমি তোমাকে এখান থেকে বের করার চেষ্টা করবো । ' সে আরো বললো , ‘ এমনও তো হতে পারে , আমাদের অনুপস্থিতিতে আমাদের কবিলার ওপর সুদানীরা আক্রমণ করে বসবে !

ইসহাক বললো , ‘ পাহাড়ী মুসলমানরা সহজে অস্ত্রসমর্পণ করার মত নয় ।

কিন্তু সৈন্যদের শক্তির কাছে কতদিন ওরা টিকে থাকতে পারবে ? ’

আমাদের কোরবানী ওদের ঈমানকে মজবুত করবে । ' উমরু দরবেশ বললো , ' কিন্তু বেরোতে পারলে আমরা মিশ র থেকে কমাণ্ডো সাহায্য পাব্যে । বর্তমানে আমাদের প্রয়োজ । , দু’জনের অন্ততঃ একজনের এখান থেকে বের হয়ে যাওয় । যদি আমরা দু'জনই তাদের শর্ত মেনে নিয়ে বের হতে পার , তবে আরও ভালো হয় । '

আমি এখন কারাগারেই থেকে যাই । ' ইসহাক বললো , “ তুমি একাই তাদের ধোঁকা দাও । আমরা দু'জনই যদি এক সাথে তাদের শর্ত মেনে নেই , তবে তাদের সন্দেহ হতে পারে । তারা চিন্তা করবে , দু’জন রাতে একই কামরায় থেকে এ পরিকল্পনা করেছে । তাই আমার পরামর্শ হচ্ছে , আমি এদের উৎপীড়ন সহ্য করতে থাকি , তুমি মুক্ত হয়ে যাও ।

সকালে কারাগারের দরজা খোলা হলো । এক সিপাই বর্শা দিয়ে ইসহাকের গায়ে খোঁচা মেরে ধমক দিয়ে বললো , ' এই উল্লুক , উঠু ।

ইসহাক উঠলে তাকে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে গেল প্রহরী । সঙ্গে সঙ্গে কামরার দরজা আবার বন্ধ হয়ে গেল ।

কিছুক্ষণ পর কামরায় ঢুকলো আরেক সুদানী অফিসার । সে উমরু দরবেশকে বললো , ' আজও যদি তুমি অস্বীকার করো , তবে আমি কল্পনা করতে পারি না , তোমার শরীরে কি পরিমাণ শাস্তি দেয়া হবে । কিন্তু আমরা তোমাকে মরতে দেবো না । তুমি এ দুনিয়াতেই দোজখ দেখতে পাবে । প্রতিদিন মরবে , প্রতিদিন বাঁচবে ।

আমাকে কোন ভালো জায়গায় নিয়ে চলো । ' উমরু দরবেশ বলো , ' আমাকে একটু সুস্থ মাথায় ভাবতে দাও , এখানে আমি কিছুই চিন্তা করতে পারছি না ।

তুমি চাইলে আমি তোমাকে জান্নাতে নিয়ে যেতে পারি । ' অফিসার বললো , ' তুমি সেখানে জান্নাতের পরীদের সাথে খেলা করবে । যদি তারপরও অস্বীকার করো , তবে যতদিন বেঁচে থাকবে , শুধু কপাল চাপড়াবে আর আফসোস করবে । পরে কেঁদে বললেও আর তোমাকে বিশ্বাস করা হবে না , সুযোগ দেয়া হবে না । '

উমরু দরবেশ যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে বললো , আমি আর এ অত্যাচার সইতে পারছি না । '

তাহলে বলো , আমাদের শর্ত কবুল করেছো ? '

না , তা হবে না । আগে আমাকে ঠাণ্ডা মাথায় ভাবতে দাও । কিনে আমার কল্যাণ আর কিসে অকল্যাণ আমাকে হিসাব করে দেখতে হবে । যে দিকের পাল্লা ভারী হবে আমি সেদিকেই যাবো ।

সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিয়ে গেল সেই সুরম্য কামরায় , ইসহাককে আগে যেখানে রাখা হয়েছিল । একটু পর ডাক্তার এলো । তার · শরীর পরীক্ষা করে ঔষধ দিল । উন্নতমানের খাবার দিল । আর ওদিকে সুদানী সেনাপতি ইসহাকের শরীর গুঁড়ো করছিল । রাতে সেনাপতি এলো উমরু দরবেশের কাছে । বললো , ' তুমি কি আমাদের শর্ত মানতে রাজী আছো ? '

উমরু দরবেশ বললো , ' তোমরা তোমাদের ওয়াদা ঠিক রাখবে তো ? ’

বিলকুল । ওতে আমাদের লাভ ছাড়া ক্ষতি নেই । বিনিময় ছাড়া কে কাজ করে , বলো ? তুমি আমাদের খুশী করবে , আমরা তোমাকে খুশী করবো ।

উমরু দরবেশ কতক্ষণ গম্ভীর হয়ে বসে রইলো । শেষে মাথা নেড়ে সম্মতি জানিয়ে বললো , ' ঠিক আছে ।

সেনাপতি বিদায় হলো । রাতের খাবার খেয়ে তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়লো উমরু দরবেশ । একটু পর তলিয়ে গেল ঘুমের অতল তলে । যখন চোখ খুললো , রাত শেষ হয়ে দিনেরও অর্ধেক পার হয়ে গেছে ।

দীর্ঘদিন কারাগারের নির্যাতন সহ্য করে তার শরীর বেশ দুর্বল হয়ে গিয়েছিল । সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়েছিল অসহ্য ব্যথা ও কষ্ট । এমন আরামের বিছনায় কতকাল ঘুমায়নি সে ! তাই রাতে সে বেহুশের মত ঘুমিয়েছিল ।

অল্পদিনেই পুষ্টিকর খাবার ও বিশ্রামের ফলে তার স্বাস্থ্য কিছুটা ফিরে এলো । দ্রুত আরোগ্যের জন্য ডাক্তার তাকে যে ঔষুধপত্র দিয়েছিল , তাও ভাল ফল দিল । দুর্বলতা বেশ কাটিয়ে উঠল উমরু দরবেশ ।

দু'দিন পর । চোখ খুলেই সে দেখতে পেলো , কামরায় এক মেয়ে । তাকে চোখ খুলতে দেখে মেয়েটি তার দিকে তাকিয়ে মিষ্টি করে হাসলো । মেয়েটি অসাধারণ সুন্দরী । তার সোনালী চুল কাঁধ পর্যন্ত ঝুলে আছে । মেয়েটির সুডৌল বাহু , কাঁধ এবং বুকের অর্ধেকটা খোলা ।

উমরু দরবেশ এক সামরিক অফিসার । শৈশব কেটেছে পাহাড়ে , জঙ্গলে । যৌবনের শুরুতে যোগ দিয়েছে সামরিক বিভাগে । যুদ্ধের ময়দানেই কেটে গেছে বাকীটা জীবন । মেয়েটাকে দেখে তার মনে হলো স্বপ্ন দেখছে ! সামনে দাঁড়িয়ে আছে কোন পরী । কিন্তু মেয়েটা যখন অগ্রসর হয়ে তার মাথায় হাত রাখলো , তখন তার বিশ্বাস হলো , এটা স্বপ্ন নয় , বাস্তব । মেয়েটি বললো , ‘ এখন কেমন বোধ করছেন ? দাঁড়ান , আমি ডাক্তারকে ডেকে নিয়ে আসছি ।

ও পাশের কামরা থেকে ডাক্তারকে ডেকে আনলো । ডাক্তার । এসে তাকে ঔষুধ খাইয়ে চলে গেল । একটু পর এলো দুই খৃস্টান , তারা চমৎকার শুদ্ধভাবে সুদানী ভাষায় তার সাথে কথ শুরু করলো । এরা এসেছিল উমরু দরবেশকে সেই মিশনের জন্য তৈরী করতে , যার জন্য সুদানীরা এতদিন অপেক্ষা করছিল । তারা তাকে বললো , ' আপনি নিজের এলাকায় গিয়ে কখনো কাউকে বলবেন না , আপনি কারাগারে ছিলেন । তাদের আপনি বলবেন , মিশর বাহিনীর সুদান আক্রমণ ঠিক হয়নি । নেতাদের এ ধরনের আত্মঘাতি সিদ্ধান্তের খেসারত দিতে হচ্ছে নিরীহ সৈনিকদের । নেতাদের ভুলের কারণেই তাদের ভাগ্যে নেমে এসেছে মৃত্যু ও বন্দীত্ব । মুসলমানদের উচিত সুদানীদের সহযোগিতা করে তাদের বন্ধুত্ব ক্রয় করা । নইলে সুদানীদের হাতে তাদের বরবাদী ও ধ্বংসের এ ধারা চলতেই থাকবে । খৃস্টানরা তাকে আরও উপদেশ দিল , ' আপনি সব সময় আল্লাহ ভক্ত আলেমের পোশাকে থাকবেন । দিনভর তসবী তাহলিল ও দোয়া দরূদ নিয়ে পড়ে থাকবেন । সময় সুযোগ বুঝে মুসলমানদের মনে ঢুকিয়ে দেবেন সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ুবী ও মিশর সরকারের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও অবজ্ঞার ভাব । ' উমরু দরবেশ খুশী মনে তাদের প্রস্তাবে রাজী হয়ে গেল । তৎক্ষণাৎ শুরু হয়ে গেল তার ট্রেনিং ও রিহার্সাল । সন্ধ্যা পর্যন্ত এ দুই খৃস্টান তার সাথে সময় কাটালো । সন্ধ্যায় বিদায় নিল তারা ।

রাতেও মেয়েরা তার সামনে সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করলো । খাবারের সাথে পরিবেশন করলো শরাব । কিন্তু তিনি শরাব স্পর্শ করলেন না । খাওয়ার পর মেয়েরা এঁটো থালা বাসন গুটিয়ে নিয়ে চলে যেতেই একটি মেয়ে ফিনফিনে পাতলা নাইটি পরে কামরায় প্রবেশ করলো । তার চোখে মুখে খেলা করছিল অশ্লীল আবেদন ।

তুমি কেন এসেছো ? ’ উমরু দরবেশ মেয়েটিকে প্রশ্ন করলো । ‘ আপনার সেবা করতে । ' মেয়েটি উত্তর দিল , ' রাতে আপনার 

যে কোন প্রয়োজনে আমাকে আপনার পাশে পাবেন । '

তোমার নাম কি ? ’

আশী ! ’ মেয়েটি উত্তর দিল এবং নিঃসঙ্কোচে এগিয়ে গিয়ে পালঙ্কের ওপর তার পাশে বসে পড়লো ।

আশী ! ' উমরু দরবেশ বললো , আমার তোমাকে প্রয়োজন নেই । তুমি বরং এখান থেকে চলে যাও । '

আজ সারা রাত আপনার পাশে থাকার ডিউটি আমার । দায়িত্বে অবহেলা করলে এর জন্য আমাকে জবাবদিহী করতে হবে । আপনার আমাকে প্রয়োজন না হতে পারে , কিন্তু আমার ডিউটিতে আমি অবহেলা করতে পারি না । '

এরা যে শর্ত মানাতে আমাকে এখানে এনেছে আমি তা মেনে নিয়েছি । ' উমরু দরবেশ বললো , ' আমাকে বশ করতে এখন আর তোমার রূপের ঝলকের প্রয়োজন নেই । '

আমি তা জানি । ' আশী বললো , ' আপনার সম্পর্কে আমাকে সবই বলা হয়েছে । শর্ত মানার কারণেই আমাকে পুরস্কার হিসেবে পাঠানো হয়েছে আপনার কাছে । আপনি অস্বীকার করলেও কর্তৃপক্ষ জানে , সৈন্যেরা যখন যুদ্ধের ময়দান থেকে আসে তখন তার প্রাণ মেয়েদের কোমল পরশ পেতে আগ্রহী থাকে ।

আমি পরাজিত সৈনিক । ' উমরু দরবেশ বললো , ' আমার মন ও প্রাণ মরে গেছে । ঘৃণা ধরে গেছে নিজের প্রতি । আমার দেহ মন দু’য়েরই আজ ফুরিয়ে গেছে সব প্রয়োজন । আমি পরাজিত সৈনিক । স্বাদ আহলাদ আমার জন্য নয় । '

মেয়েটি খিল্‌খিল্ করে হেসে উঠলো , যেন কোন জলতরঙ্গের বাজনা । বললো , ‘ শরাবের দু'চার ঢোক পান করলেই আপনার এ অনুভূতি কেটে যাবে । দূর হয়ে যাবে দেহ ও মনের সব অবসাদ । আনন্দের সুর শুনতে পাবেন নতুন করে । মেয়েটি বললো , ' তখন আমার দিকে তাকালে আপনি আমার মধ্যে ফুলের সৌরভ ও সৌন্দর্য দেখতে পাবেন । '

আমাকে মাফ করো আশী ! আমি এক মুসলমান । ' উমরু দরবেশ বললো , ' মুসলমান কোন মেয়ের সম্ভ্রম নিয়ে খেলা করে না , বরং তাদের সম্ভ্রমের হেফাজত করে । ' 

আপনি মুসলমান হিসাবে মেয়েদের সম্ভ্রমের হিফাজতের চিন্তা করতে পারেন , কিন্তু আমি মুসলমানও নই , আর আমার সম্ভ্রম বলতেও কিছু নেই । আপনি কিসের হেফাজত করবেন ? ’

তুমি মুসলমান না হতে পারো , তোমার নিজের সম্ভ্রম না থাকতে পারে , কিন্তু আমি মুসলমান । আমার ইজ্জতের ভয় আছে , পরকালের ভয় আছে । তুমি সারা রাত আমার পাশে বসে থাকলেও আমাকে তুমি পাথরের মত নিষ্প্রাণ পাবে । হালাল মেয়ে ছাড়া আমরা কারো দিকেই হাত বাড়াই না । '

কেন , আমি কি তাদের মত সুন্দরী নই ? ' প্রশ্ন করলো আশী  তুমি যেমনই হওনা কেন , আমার তাতে কিছু যায় আসে না । ' উমরু দরবেশ বললো , ‘ হ্যা , তুমি যদি এ জঘন্য জীবন থেকে মুক্ত হও , তবে আমি তোমাকে এখান থেকে মুক্ত করে নিয়ে যেতে পারি । তুমি চাইলে কোন সম্মানিত ঘরে তোমাকে আশ্রয় দিতে পারি । '

আপনার আগেও একজন এখানে এসেছিল । সেও আপনার মতই কথা বলতো । সেও সুদানী মুসলমান ছিল । ' আশী বললো , ' তবে আমি আপনার একথা মেনে নিতে পারছি না , মুসলমান বলেই মেয়েদের প্রতি আপনার কোন আগ্রহ নেই । আমি মিশরের অনেক মুসলমানকে দেখেছি , তারা মেয়েদের দেখলে ক্ষুধার্ত পশুর মত ঝাঁপিয়ে পড়ে । আমি তিনজন মিশরী মুসলমানের কথা বলতে পারি , যাদের আমি এ শরাবের বোতল দিয়ে বিশ্বাসঘাতক ও ´গাদ্দার বানিয়ে ছিলাম । তারা কি তবে মুসলমান নয় ? '

তারা বেঈমান ! তারা নিজেদের ঈমানকে বিক্রি করে দিয়েছিল তোমাদের ফাঁদে পড়ে । ' উমরু দরবেশ বললো , ' আশী ! আমি ভাবছি , তুমি কেমন মা বাবার সন্তান ? তারা কি তোমার এ ভূমিকার কথা জানে ? ’

জানি না ! কে আমার বাবা আর কে মা , সে কথাও জানি না আমি । তারা এখন কোথায় , বেঁচে আছে না মৃত , তাও জানি না ! ' আশী বললো , ' আপনার আগেও এক ব্যক্তি আমাকে এ প্রশ্ন করেছিল । জানি না এখন তিনি কোথায় ? ’

কি নাম ছিল তার ? ’

তার নাম ছিল ইসহাক । এ কামরাতেই তার সাথে আমার পরিচয় হয়েছিল । তিনি আমার মা - বাবাকে নিয়ে প্রশ্ন করে আমাকে ভীষণ অশান্তিতে ফেলে দিয়েছিলেন । তার আগে এমন প্রশ্ন কোন দিন কেউ আমাকে করেনি । তার প্রশ্ন শুনে আমি সারা রাত চিন্তা করেছিলাম , আমার মা - বাবা কারা ,

কোথায় ও কেমন ছিল ? আমার স্মৃতিতে যে ছবি ভেসে উঠে আমি তা স্মরণ করতে চাই না । আমি তাদের ভুলে থাকতে চেষ্টা করি । কিন্তু আপনাদের প্রশ্নে তা আর সম্ভব হয় না । তখন আমার মা - বাবার স্মৃতি আবার জীবন্ত হয়ে ওঠে । আমার সব আনন্দ ও সুখ তখন কোথায় যেন হারিয়ে যায় । উদাসীনতায় ছেয়ে যায় আমার প্রফুল্ল বদন । কষ্টের ভূত চেপে বসে ঘাড়ে ।

তোমার কোন ভাইও বোধ হয় ছিল না । '

কিছুই মনে পড়ে না ! ’ আশী বললো , ' আমি রক্তের সম্পর্ক কাকে বল্বে তা জানি না । '

তোমার চোখে ঘুম আসছে , শুয়ে পড়ো । ' উমরু দরবেশ বললো । ,

না , আমার চোখে আপনি যা দেখছেন তা ঘুম নয় , হতাশার হাহাকার ও কষ্টের ছোঁয়া । যা মানুষের চোখের আলোকে নিভিয়ে দেয় । আলোর এ নিস্প্রভতাকেই আপনার মনে হচ্ছে ঘুম । ' আশী বললো , আমার তো মন চাচ্ছে আপনার সাথে সারা রাত এভাবে গল্প করে কাটাই । কিন্তু আপনি কেন আমার জন্য জেগে থাকবেন ! আপনি বরং ঘুমিয়ে পড়ুন । আমি আপনার শান্তিতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে চাই না । '

আশী ! তোমার মনে আমি কষ্ট দিতে চাইনি । আমার কথায় তুমি কষ্ট পেয়েছো , এ জন্য আমি দুঃখিত ।

বিশ্বাস করুন , আপনার মত লোক আমার খুব পছন্দ । আমি যে সব লোকের সাথে সময় কাটাই তাদের আমি ঘৃণা করি , তবুও তাদের সামনে আমাকে হাসতে হয় ।


প্রথম পর্ব পড়তে এখনে ক্লিক করুন

দ্বিতীয় পর্ব পড়তে এখনে ক্লিক করুন।



আমাদের ওয়েব সাইটের বিষয়বস্তু অনুলিপি করা এবং এটি অন্য কোনও ওয়েবসাইটে পুনরায় প্রকাশ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এটি আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। সুতরাং সাবধান, আমাদের সাইটের লিখিত সামগ্রী কপি করবেন না।

 

যদি আপনার ডাউনলোড করতে সমস্যা হয় তবে দয়া করে মন্তব্য করুন বা ফেসবুক পেজে আমাদের সাথ যোগাযোগ করুন।

 

  • ডিজাইনার: মামুনুল হক
    • সংস্থা: ইসলামিক পিএলপি ফাইল
    • ফাইল ফর্ম্যাট: জিপ সংরক্ষণাগার।
    • ডিজাইনের ফর্ম্যাট: পিএলপি (পিক্সেলল্যাব প্রকল্প) [জেপিজি সংযুক্ত]।
    • ডিজাইন সফটওয়্যার: পিক্সেলল্যাব
    • ডিজাইনের রেজুলেশন: আল্ট্রা এইচডি।
    • ডিজাইনের রঙ: আরজিবি কালার।
    • প্রিন্ট প্রস্তুত: হ্যাঁ।
    • ডিজাইন সমর্থিত অ্যাপ্লিকেশন: পিক্সেলল্যাব ডার্ক।
    • ডিজাইনের অবজেক্টের ধরণ: স্মার্ট অবজেক্ট।
    • ডিজাইনের ধরণ: প্রিমিয়াম ডিজাইন।
    • নকশা মূল্য: বিনামূল্যে।
    • ডিজাইন কোড : I P F - 61






এখনই ডাউনলোড করুন



পিএলপি কর্নার ✅

ইসলামিক লোগো,মাহফিল পোস্টার,ঈদ শুভেচ্ছা,ইফতার মাহফিল,ভিজিটিং কার্ড, ক্যালেন্ডার,নির্বাচনী পোস্টার ডিজাইন সহ সকল প্রকার পি এল পি ফাইল পাওয়া যাবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post