সংবর্ধনা ব্যানার ডিজাইন PLP ফাইল ফ্রি ডাউনলোড 2022 - Islamic Plp File

সংবর্ধনা ব্যানার ডিজাইন PLP ফাইল ফ্রি ডাউনলোড 2022 - Islamic Plp File



 

ক্রুসেড - উমরু দরবেশ, - পঞ্চম পর্ব

- আসাদ বিন হাফিজ


ইসহাকের মত সে আশীকে তাড়াতে চেষ্টা করেনি , বরং তাকে সে তার মুরিদ বানিয়ে নিয়েছে । আশী যখন তার কামরায় আসতো তখন তার মধ্যে কোন পাপ বোধ জাগতো না ; বরং নিজের মধ্যে পবিত্রতার এক নতুন অনুভূতিতে ভরে যেতো তার হৃদয় ।

এভাবেই কেটে গেল ছয় - সাত দিন । উমরু দরবেশ ওদের বললো , আমি ইসহাকের সাথে এখন দেখা করবো না । প্রথমে আমি এলাকায় যেতে চাই । সেখান থেকে তাকে রাজী করাতে পারে এমন লোক ও খবর নিয়ে ফিরে আসবো আমি । তার আগে সেখানকার বিস্তারিত পরিবেশ বুঝে নেয়ার চেষ্টা করবো । আমার এ মিশনের সফলতার ব্যাপারে কি কি পদক্ষেপ নেয়া যায় তার বিস্তারিত পরিকল্পনা এবং পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তখন আপনাদের কাছে করতে পারবো ।

সেনাপতি তার এ প্রস্তাবেও সম্মত হলো । বললো , ঠিক আছে , ততদিন সে আমাদের হেফাজতে আরামেই থাকবে । পরদিন এক দরবেশের পোশাকে এলাকায় যেতে প্রস্তুতি নিতে লাগলো উমরু দরবেশ । দরবেশের বেশ ধারণ করে সে যখন তৈরী হলো , আশী বললো , ' আপনি যেখানেই যান না কেন , আমাকে সঙ্গে নিয়ে যান ।

উমরু দরবেশ সুদানী সেনাপতিকে বললো , এ মেয়েটিকে উপহার হিসেবে সঙ্গে রাখতে চাই । আশীকে তার খেদমতে দিয়ে দেয়া হলো । বোরকা পরে সে এক পর্দানসীন মহিলার বেশ ধারণ করলো । তিনটি উট তাদের উপহার দিল সেনাপতি । একটায় উমরু দরবেশ , দ্বিতীয়টায় আশী ও তৃতীয় উটে তাঁবু , খাদ্য , পানীয় এবং অন্যান্য দ্রব্য বোঝাই করা হলো ।

রওনা করার সময় সুদানী সেনাপতি উমরু দরবেশকে দু'টি কথা বললো ,  আপনার অনুরোধে ইসহাককে কারাগার থেকে মুক্ত করে ভালো কামরায় আনা হয়েছে । তার ব্যাপারটি আপনি কখনোই ভুলে যাবেন না । আর মুসলমান এলাকায় আমাদের লোকেরা আপনার জন্য অপেক্ষা করছে । তারা আপনার সঙ্গে স্বেচ্ছায় মিশে যাবে ও সাহায্য করবে । আপনি তাদের যে কোন সাহায্য গ্রহণ করতে পারবেন । আপনার নিরাপত্তার দিকেও তারা সতর্ক দৃষ্টি রাখবে ।

উমরু দরবেশ আশীকে সঙ্গে নিয়ে এক ভয়াবহ ও জটিল অভিযানে যাত্রা করলো ।

সুদানী সেনাপতি তাদের বিদায় দিয়েই ছুটে গেল তার নিজের কামরায় । সেখানে ছয়জন লোক বসা ছিল । ওরা সবাই সুদানী মুসলমান এবং পার্বত্য এলাকার বাসিন্দা । তাদের জন্য সুদান সরকারের নিয়মিত ভাতা ও উপহার বরাদ্দ থাকতো । তারা নিজের এলাকায় পাকা মুসলমান হয়ে সুদানীদের চর হিসাবে মিশে থাকতো স্থানীয় জনগণের সাথে ।

সে চলে গেছে ! সেনাপতি তাদের বললো , ' তোমরা অন্য রাস্তা দিয়ে চলে যাও । সবাই আলাদা আলাদা ভাবে যাবে । তার প্রতি প্রত্যেকেই কড়া দৃষ্টি রাখবে । যদি তোমাদের সন্দেহ হয় , সে ঠিকমত কাজ করছে না , ধোঁকা দিচ্ছে , এমন পদ্ধতিতে তাকে হত্যা করবে , যেন কেউ টের না পায় । আমি আরো লোক পাঠাচ্ছি , তোমরা তাদেরকে নিজের বাড়ীতে আশ্রয় দেবে ।

তারা সকলেই একের পর এক যাত্রা করলো সুদানী সেনাপতি। সুদানী কিন্তু মুসলামন নয় , এমন দু'জনকে ডাকলো । তাদেরকে সেনাপতি বললো , এ মুসলমানদের ওপর কোন ভরসা নেই । তারা নিজেদের এলাকায় গিয়ে সব এক হয়ে যেতে পারে । এ ছয়জন আমাদেরই লোক , কিন্তু একথা ভুলো না , এরা মুসলমান । এখান থেকে গিয়ে তাদের নিয়ত বদলে যেতে পারে । যদি উমরু দরবেশ বা এদের কারো নিয়ত বদলে যায় , তবে তোমাদের অস্ত্র ও বারুদের প্রয়োজন হবে । আমাদের অস্ত্র কোথায় গোপন আছে তা তোমরা জানো । আর সে অস্ত্র কোথায় , কখন এবং কেমন করে ব্যবহার করতে হবে তাও তোমাদের অজানা নয় । যাও , এবার জলদি রওনা হও এ দু’জনও রওনা হয়ে গেল ।

সেই প্রহরী , যে ইসহাকের মেয়ে ও কন্যাকে রক্ষা করেছিল এবং কমাণ্ডারকে হত্যা করেছিল , সে ইসহার্কের বাড়ীতেই থাকতো । যেদিন উমরু দরবেশ যাত্রা করলো , সেদিনের ঘটনা ৷ প্রহরী বাইরে ঘোরাফিরা করছিল । হঠাৎ একটা তীর ছুটে এসে তার শরীর ছুঁয়ে পাশ কেটে এক গাছে গিয়ে বিধলো । প্রহরী দৌড়ে ইসহাকের বাড়ীতে ঢুকে পড়লো । সে ইসহাকের বাবাকে বললো , ' আমার ওপর কে যেন তীর চালিয়েছে । ' কিন্তু কে তীর চালিয়েছে , কেন চালিয়েছে , কিছুই ওরা বুঝতে পারলো না । কেউ জানতেও পারলো না , সুদানীর তাকে হত্যা করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে প্রথমবারের মত ব্যর্থ হয়েছে ।

সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর গোয়েন্দা প্রধান আলী বিন সুফিয়ান তখনো কায়রোতে । সুলতান আইয়ুবী খৃস্টানদের বন্ধু ও ক্রিড়নক মুসলমান আমীর সাইফুদ্দিন , গুমাস্তগীন ও আল মালেকুস সালেহের সম্মিলিত সৈন্যদের পরাজিত করে সম্মিলিত বাহিনীর হেডকোয়ার্টার হলবের দিকে অগ্রসর হলেন । ওসব গাদ্দার ও স্বার্থলিপ্সু মুসলিম শাসকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে ভয়ে তখন পালাচ্ছিলো । আতঙ্ক গ্রাস করে নিয়েছিল তাদের সৈন্যদের মন মগজ । পথে বিশ্রামের কথা চিন্তা করারও কোন অবকাশ ছিল না তাদের । তবু সেনাপতিরা রাস্তার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় অবস্থান নিয়ে বিচ্ছিন্ন দৈন্যদের একত্রিত করার চেষ্টা করলো । তখনো কারো কারো মাথায় কাজ করছিল সুলতান আইঠুবীর মোকাবেলা করার চিন্তা । কিন্তু সৈন্যরা পালানোর জন্য ছিল্ ব্যতিব্যস্ত ৷ এ পলায়নী মনোবৃত্তি সামরিক বিবেচনায় তাদের জন্য ধ্বংস ও ক্ষতির যে কারণ সৃষ্টি করছিল , তা পূরণ করা সহজসাধ্য ছিল না ।

সুলতান আইয়ুবীর অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলো । পথের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলো একের পর এক দখল করে এগিয়ে চললেন তিনি । তাঁর এখন একমাত্র লক্ষ্য হলব শহর । মিশরের অভ্যন্তরে কোথায় কি ঘটছে সেসব দেখার কোন অবকাশ নেই সুলতানের । তাঁর সমস্ত মনযোগ এখন যুদ্ধের ময়দানের দিকে । তবু মিশরের আভ্যন্তরীণ অবস্থা সম্পর্কে নিয়মিতই খোঁজখবর রাখছিলেন তিনি । কাসেদ যথারীতি তাঁকে সারা দেশের সংবাদ পৌছে দিচ্ছিল । ময়দানের অবস্থা ছাড়াও এ সংবাদের মধ্যমে তিনি মিশরের সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সব সময় অবহিত থাকতেন ।

গোয়েন্দা মারফত এমন কিছু সংবাদ তিনি পেলেন , সাদামাটা চোখে যা তেমন গুরুত্বপূর্ণ ছিল না । কিন্তু বিচক্ষণ সেনাপতি ও দূরদর্শী শাসক হিসাবে ঘটনা বিশ্লেষণের যে অপূর্ব দক্ষতা তিনি অর্জন করেছিলেন , তাতে তিনি কয়েকটি ঘটনার যোগফল টানতে গিয়ে শিউরে উঠলেন । তিনি স্পষ্ট বুঝতে পারলেন , মিশরের আকাশে নতুন এক ভয়ংকর ষড়যন্ত্র দানা বেঁধে উঠছে । এ চক্রান্তের শিকড় অনেক গভীরে । তিনি অনুভব করলেন , এ চক্রান্ত নতুন যে সমস্যার আবর্তে মিশরকে নিয়ে যাবে , এখনি সতর্ক না হলে সে আবর্ত থেকে বেরিয়ে আসা দুষ্কর হবে।

যুদ্ধের ময়দানে কখনও সুলতান অস্থির হন না । কিন্তু চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের যে কোন ইঙ্গিত তাঁকে পেরেশান করে তোলে । নতুন করে ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত পেয়ে তাই তিনি যথেষ্ট , বিচলিত বোধ করলেন । যখন তিনি বুঝতে পারলেন , এ ষড়যন্ত্র ও ধ্বংসাত্মক কাজের পেছনে রয়েছে খৃস্টানদের কূটবুদ্ধি , আর তাদের হাতের পুতুল হয়ে সে কাজ আঞ্জাম দিচ্ছে মুসলমানরা , তখন বেদনায় ছেয়ে গেল তাঁর অন্তর । আলী বিন সুফিয়ান ছিলেন সুলতান আইয়ুবীর ডান হাত । পর্যবেক্ষকদের ভাষায় , আইয়ুবীর চোখ ও কান । সুলতান আইয়ুবী তাঁকে নিজের অবর্তমানে মিশরে রেখে যান এই আশায় , যে বিপদ তাঁর ছোট ভাই তকিউদ্দিন দেখতে পাবে না , বিপদ আসার আগেই তার গন্ধ টের পেয়ে যাবে আলী বিন সুফিয়ান । মিশরের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই তিনি আলী বিন সুফিয়ানকে সঙ্গে না এনে তাঁর সহযোগী হাসান বিন আবদুল্লাহকে নিয়ে এসেছেন যুদ্ধের ময়দানে ।

মিশরের শাসন ক্ষমতায় এখন লুলতান আইয়ুবীর ছোট ভাই সুলতান তকিউদ্দিন । ভাইয়ের অবর্তমানে এতবড় জিম্মাদারী পালন করতে যেয়ে তিনি সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন নানা রকম প্রশাসনিক জটিলতায় । রাতে দুশ্চিন্তায় ঘুমাতে পারেন না । কিন্তু যখনই মনে হয় , আলী বিন সুফিয়ান তাঁর সর্বক্ষণের সাথী ও উপদেষ্টা , তখন কিছুটা স্বস্তি বোধ করেন । এভাবেই মিশরের নিরাপত্তা ও শান্তি রক্ষায় দু'জনেই ছিলেন আন্তরিক , সচল ও সজাগ । তারা ভালভাবেই বুঝতে পারছিলেন , সুলতান আইয়ুবীর অবর্তমানে মিশরে ধ্বংসাত্মক কাজ বেড়ে চলেছে । নাশকতামূলক তৎপরতা চলছে খৃস্টানদের ইন্ধনে । এ ছাড়া সুদানের দিক থেকেও চলছে ভয়ানক ষড়যন্ত্র । চার ম'স আগে তকিউদ্দিন সুদানীদের এক অদ্ভূত ও খুবই ভয়ংকর আক্রমণ অসাধারণ সফলতার সাথে বানচাল করে দিয়েছিলেন কিন্তু · তাতে সুদানীরা দমে যায়নি । তারা এখনো সে প্রচেষ্টা চ.লিয়ে যাচ্ছে । কারণ তাদের যে আক্রমণ ব্যর্থ হয়েছিল , নেটা সামরিক আক্রমণ ছিল না ।

সুদানের আক্রমণের আশংকায় সীমান্ত রক্ষীদের প্রহরা আরও দৃঢ় করা হলো ৷ সীমান্তে রক্ষীদের সংখ্যা বাড়ানো হলে ।। এ ছাড়াও আলী বিন সুফিয়ান তার গোয়েন্দা বিভাগের অসংখ্য লোককে সীমান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখলেন । এরা যাযাবর ও মুসাফিরের পোষাকে সীমান্তে ঘোরাফিরা করতো । এদের যোগাযোগ ছিল সীমান্তের ফাঁড়িগুলোর সঙ্গে । এদের জন্য সীমান্ত ফাঁড়িতে ঘোড়াও মজুদ থাকতো । সীমান্ত বাহিনীর টহলদার গ্রুপের সাথেও এদের যোগাযোগ ছিল । তাদের জন্য আরও একটা ব্যবস্থা ছিল . আলী বিন সুফিয়ানের কিছু দক্ষ গোয়েন্দা বণিকের বেশে সুদানের সাথে অবৈধ কারবার করতো । তাদেরকে মালামাল দিয়ে সীমান্ত পার করে দেয়া হতো ; এরা সুদানে গিয়ে জানাতো , তারা মিশরের সীমান্ত রক্ষীদের চোখে ধূলো দিয়ে সীমান্ত পার হয়ে এসেছে । সুদানে খাদ্য - শস্যের অভাব ছিল তীব্র । সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর দক্ষ প্রশাসন ও কড়া তদারকির কারণে মিশরে খাদ্যশস্যের উৎপাদন বেড়ে গিয়েছিল । ফলে বাড়তি খাদ্যশস্য স্মাগলিং করার জন্য পৃথক করে রাখা হতো । আইয়ুবীর গোয়েন্দারা সেগুলো সীমান্তের ওপারে পাচার করে অর্থ সংগ্রহের পাশাপাশি সংগ্রহ করতো প্রয়োজনীয় তথ্য ।

সুদানের যে বণিকরা মিশরের বণিকদের সাথে এ কারবার করতো তাদেরও অধিকাংশই ছিল আইয়ুবীর গোয়েন্দা । এরা মিশরের জন্য সারা দেশ ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করে আনতো । বণিকের বেশে গোয়েন্দাগিরি করার সুবিধা ছিল অনেক । খাদ্যশস্যের অভাবের কারণে এসব চোরাকারবারীদের চাহিদা ছিল সর্বত্র । প্রশাসন টের পেলেও তাদের কিছু বলতো না , কারণ দেশের খাদ্য ঘাটতির ভাব ওরাই পূরণ করছিল ।

সুলতান আইয়ুবীও নির্দেশ দিয়ে রেখেছিলেন , ‘ চোরাপথে সুদানে আরও কম দামে শস্য চালান দাও , যেন সুদানের সবখানে গোয়েন্দারা সহজে বিচরণ করতে পারে ।

এভাবে সুদানের সর্বত্র মিশরের গোয়েন্দারা ছড়িয়ে পড়ল । ফলে সুদানের সরকার ও সৈন্যদের সব কার্যকলাপের সংবাদ নিয়মিত কায়রোতে পৌঁছে যেতে লাগল ।

আলী বিন সুফিয়ান সীমান্তের কয়েক স্থানে ঘাঁটি বানিয়ে রেখেছিলেন ৷ কোন সংবাদ ওপার থেকে এসে পৌঁছলে সঙ্গে সঙ্গে সে খবর কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা ছিল । বিদ্যুতগতি ঘোড়া সেখান থেকে ছুটে যেতো কায়রো । এ জন্য সেখানে নিয়োজিত থাকতো আলাদা অশ্বারোহী । তারা রাত দিন বিরামহীনভাবে পথ চলতো কায়রোর উদ্দেশ্যে ।

সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ুবী জানতেন , সুদানে একটি বিস্তীর্ণ পাহাড়ী অঞ্চল আছে , যেখানে শুধুমাত্র মুসলমানরাই বাস করে । সে অঞ্চলের অধিকাংশ লোক মিশরের সেনাবাহিনীর . সমর্থক । যুবকরা সবাই মিশরের সেনা সদস্য । তিনি আরও জানতেন , ওখানকার মুসলমানরা সুদানের সৈন্যবাহিনীতে ভর্তি হয় না । এর কি কারণ তা তিনি জানেন না , তবে দীর্ঘকাল ধরেই এমনটি চলে আসছে ।

সুলতান আইয়ুবীর শাসনকাল শুরু হওয়ার আগের কথা । মিশরের সেনাবাহিনীতে তখনো সুদানী মুসলমান ও হাবশীরা ছিল । তাদের কমাণ্ডারও থাকতো সবসময় সুদানী । সালাহউদ্দিন আইয়ুবী সুলতান হওয়ার আগে তাদের প্রধান সেনাপতি নাজীই * মিশরের সর্বেসর্বা শাসনকর্তা ছিল । তখন মিশরের শাসন চলতো কেন্দ্রীয় খেলাফতের অধীনে । সে হিসেবে মিশরের শাসক ছিলেন আমীর । সেনাপতি নাজী তখন আমীরের মর্যাদাও ভোগ করতো । কি খলিফা . কি আমীর সবাই ছিল দারুণ স্বেচ্ছাচারী ।

খৃস্টানরা মিশরকে কেন্দ্রীয় খেলাফত থেকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য ধ্বংসাত্মক কাজ শুরু করে দিয়েছিল । নাজী তখন তাদের দোসর । সে মিশরের সুদানী সৈন্যদেরকে পৃথক করে তার অধীনে নিয়ে নিল । এ সৈন্যের সংখ্যা দাঁড়াল প্রায় পঞ্চাশ হাজার ।

সুলতান আইয়ুবী মিশরের শাসন ভার গ্রহণ করলে প্রথম সংঘর্ষ বাঁধলো নাজীর সঙ্গেই । সুলতান আইয়ুবী নাজীর বিদ্রোহ দমন করে বিদ্রোহী সেনাপতিদের বন্দী এবং সৈন্যদেরকে মিশরের অন্যান্য সৈন্যের সাথে একীভূত করে নতুন বাহিনী গঠন করেছিলেন । যারা নাজীর সহযোগী হয়েছিল তাদের ব্যাপারে যখন সুলতানের এ আদেশ জারী হলো , তারা আনুগত্য পরিবর্তন করে মিশরের সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চাইলে তাদেরকে মিশরের বাহিনীতে ভর্তি করে নেয়া হবে , তখন সুদানের সমস্ত মুসলমান সৈন্য মিশরের বাহিনীতে ফিরে এলো ।

তারা এও জানতে পারলো , তাদেরকে খৃস্টানদের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের গুটি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল ।





আমাদের ওয়েব সাইটের বিষয়বস্তু অনুলিপি করা এবং এটি অন্য কোনও ওয়েবসাইটে পুনরায় প্রকাশ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এটি আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। সুতরাং সাবধান, আমাদের সাইটের লিখিত সামগ্রী কপি করবেন না।

 

যদি আপনার ডাউনলোড করতে সমস্যা হয় তবে দয়া করে মন্তব্য করুন বা ফেসবুক পেজে আমাদের সাথ যোগাযোগ করুন।

 

  • ডিজাইনার: মামুনুল হক
    • সংস্থা: ইসলামিক পিএলপি ফাইল
    • ফাইল ফর্ম্যাট: জিপ সংরক্ষণাগার।
    • ডিজাইনের ফর্ম্যাট: পিএলপি (পিক্সেলল্যাব প্রকল্প) [জেপিজি সংযুক্ত]।
    • ডিজাইন সফটওয়্যার: পিক্সেলল্যাব
    • ডিজাইনের রেজুলেশন: আল্ট্রা এইচডি।
    • ডিজাইনের রঙ: আরজিবি কালার।
    • প্রিন্ট প্রস্তুত: হ্যাঁ।
    • ডিজাইন সমর্থিত অ্যাপ্লিকেশন: পিক্সেলল্যাব ডার্ক।
    • ডিজাইনের অবজেক্টের ধরণ: স্মার্ট অবজেক্ট।
    • ডিজাইনের ধরণ: প্রিমিয়াম ডিজাইন।
    • নকশা মূল্য: বিনামূল্যে।
    • ডিজাইন কোড : I P F - 25






এখনই ডাউনলোড করুন



পিএলপি কর্নার ✅

ইসলামিক লোগো,মাহফিল পোস্টার,ঈদ শুভেচ্ছা,ইফতার মাহফিল,ভিজিটিং কার্ড, ক্যালেন্ডার,নির্বাচনী পোস্টার ডিজাইন সহ সকল প্রকার পি এল পি ফাইল পাওয়া যাবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post