মাহফিল পোষ্টার ডিজাইন PLP ফাইল ফ্রি ডাউনলোড 2022 - Islamic Plp File

মাহফিল পোষ্টার ডিজাইন PLP ফাইল ফ্রি ডাউনলোড 2022 - Islamic Plp File



নবুয়্যতের পর প্রথম চারজন মুসলমান

সর্বপ্রথম মুসলমান হযরত খাদিজা ( রাঃ ) । তারপর এ ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে যে , হযরত আলী ( রাঃ ) , হযরত আবুবকর ( রাঃ ) এবং যায়েদ বিন হারেসা ( রাঃ ) -এর মধ্যে সর্ব প্রথম কে মুসলমান হন । তবে একথা সর্বসম্মত যে , হযরত খাদিজা ( রাঃ ) -এর পরে মুসলমান হন তিনজন ।

হযরত আলী ( রাঃ ) সম্পর্কে হাফেজ ইবনে কাসীর আল বেদাআতে ইবনে ইসহাকের রেওয়ায়েত এবং বালায়ুরী ওয়াকেদীর রেয়ায়েত নকল করে বলেন যে , যখন নবী করীম ( সাঃ ) এবং হযরত খাদিজা ( রাঃ ) গোপনে নামায শুরু করেন তার একদিন পরেই হযরত আলী ( রাঃ ) তাঁদেরকে এই নামাযরত অবস্থায় দেখতে পান । তিনি জিজ্ঞেস করেন , এ কি ? নবী করীম ( সাঃ ) বলেন , এ হচ্ছে আল্লাহ পাকের দীন যা তিনি নিজের জন্য মনোনীত করে নিয়েছেন এবং যার সাথে তিনি তাঁর রাসূল পাঠিয়েছেন ।

আমি তোমাকে দাওয়াত দিচ্ছি যে , তুমি এক ও লা - শরীক আল্লাহকে মেনে নাও , তাঁর ইবাদত কর এবং লাত ও ওয্যাকে অস্বীকার কর । হযরত আলী ( রাঃ ) -এর বয়স তখন দশ বৎসর । তিনি বলেন , এ কথাতো আমি এর পূর্বে কখনও শুনি নাই । আমি একবার আব্বাকে জিজ্ঞেস করার আগে কোন ফয়সালা করতে পারি না ।

সে সময়ে নবী করীম ( সাঃ ) এটা চাইতেন না যে , সময়ের পূর্বেই তাঁর রহস্য প্রকাশ হয়ে পড়ুক । এজন্যে তিনি বলেন , তুমি যদি আমার কথা না মান বিষয়টি গোপন রাখবে । সে রাত হযরত আলী ( রাঃ ) চুপচাপ থাকেন , তারপর আল্লাহ পাক তাঁর অন্তরে ইসলামের প্রেরণা জাগিয়ে দেন এবং সকালে নবী ( সাঃ ) -এর সামনে হাজির হয়ে বলেন , গতকাল আপনি আমাকে কি বলেছিলেন ?

হুজুর ( সাঃ ) বলেন , তুমি এই সাক্ষ্য দাও যে , এক ও লা শরীক আল্লাহ ছাড়া আর কোন মাবুদ নাই এবং তুমি লাত ও ওয়্যাকে অস্বীকার কর এবং আল্লাহ ছাড়া অন্য শরীকদের সম্পর্ক ছিন্ন কর । হযরত আলী ( রাঃ ) তৎক্ষণাৎ তা মেনে নেন । কিন্তু আবু তালিবের ভয়ে ইসলাম গোপন রাখেন । তিনি নবী পাক ( সাঃ ) এর সাথে নামায শুরু করেন ।

ইমাম আহমদ ইবনে জারীর এবং ইবনে আবদুল বার আফীফ কিন্দীর বর্ণনা উদ্ধৃত করে বলেন , আব্বাস বিন আব্দুল মুত্তালিব আমার পুরাতন বন্ধু ছিলেন । এবং প্রায় ইয়ামেনে এসে আতর খরিদ করতেন এবং হজ্বের সময় তা বিক্রি করতেন । একবার হজ্বের সময় মিনাতে তার সাথে আমার দেখা হল , দেখলাম যে , একজন মর্যাদাবান ব্যক্তি এলেন এবং বেশ ভাল করে অযু করলেন , তারপর তিনি নামায পড়তে দাঁড়িয়ে গেলেন ।

তারপর সাবালক হতে বাকি এমন একজন বালক এলো এবং সেও খুবভালো করে ওযূ করে নামায পড়তে দাঁড়িয়ে গেল । তারপর একজন মহিলা এল এবং সেও ওযূ করে তাঁর পিছনে দাঁড়িয়ে গেল । আমি বললাম , হে আব্বাস , এ কোন ধর্ম । এতো আমি জানি না । হযরত আব্বাস ( রাঃ ) বললেন , এ আমার ভাতুষ্পুত্র মুহাম্মদ ( সাঃ ) বিন আবদুল্লাহ বিন আবদুল মুত্তালিব ।

তাঁর দাবী হল আল্লাহ তাঁকে রাসূল করে পাঠিয়েছেন । অন্য এক বর্ণনায় আছে , তাঁর দাবী হচ্ছে , কায়সার ও কিসরার ধনদৌলত তাঁর অধীন হবে । আর এ দ্বিতীয় জন হচ্ছে আমার ভাতিজা আলী বিন আবূ তালিব । সেও তাঁর ধর্মের অনুসরণ করছে । আর ইনি হচ্ছেন মুহাম্মদ ( সাঃ ) এর স্ত্রী খাদিজা বিনতে খুয়াইলিদ । সেও তাঁর ধর্মের অনুসারী ।

বিশ্বনবী ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) পরবর্তীকালে কিন্দী যখন মুসলমান হন , তখন দুঃখ করে বলেন , আহা আমি যদি তাদের সাথে চতুর্থ ব্যক্তি হতাম । ইবনে হিশাম এবং ইবনে জারীর বলেন , পরে এক সময় আবু তালিব ও হযরত আলী ( রাঃ ) -কে নামায পড়তে দেখেন । বলেন , বাছা , এ কোন ধর্ম তুমি যার অনুসরণ করছো ? তিনি বলেন , আব্বাজান , আমি আল্লাহর এবং তাঁর রাসূল ( সাঃ ) -এর উপর ঈমান এনেছি ।

তাঁর সত্যতা মেনে নিয়েছি এবং তাঁর সাথে নামায পড়েছি । আবু তালিব বলেন , যে তোমাকে মঙ্গল ছাড়া আর কোন কিছুর দিকে আহ্বান জানাবে না । তুমি তাঁর সাথে লেগে থাক । ইবনে কাসীর আবু তালিবের এক উক্তি উদ্ধৃতি করেন । তোমার চাচাতো ভাইয়ের সাথে থাক এবং তার মদদ কর ।

হযরত আবুবকর ( রাঃ ) সম্পর্কে যুরকানী শরহে মুওয়াহেবে লিখেছেন , তিনি হযরত খাদিজা ( রাঃ ) -এর ভাইপো হাকিম বিন হিসামের ওখানে বসে ছিলেন । এমন সময় হযরত হাকীম ( রাঃ ) -এর দাসী তাঁর কাছে এসে বললো , আপনার ফুপী আজ বলছিলেন যে তাঁর স্বামী হযরত মুসা ( আঃ ) -এর মতো একজন নবী যাকে আল্লাহ পাক পাঠিয়েছেন । এ কথা শুনামাত্র হযরত আবু বকর ( রাঃ ) সোজা নবী ( সাঃ ) -এর নিকটে পৌছলেন এবং দাসীর কথা যে সত্য ছিল তাহা বিশ্বাস করিয়া বিনা বাক্যব্যয়ে ঈমান আনলেন ।

ইবনে ইসহাক আবদুল্লাহ বিন আল - হুসাইন আত্তিমিমি থেকে একটি বর্ণনা উদ্ধৃতি করেন যে , রাসূলুল্লাহ ( সাঃ ) বলেছেন , আমি যার কাছেই ইসলাম পেশ করেছি , সে কিছু না কিছু ইতস্ততঃ করেছে এবং চিন্তা ভাবনা করেছে । কিন্তু আবু বকর ( রাঃ ) -এর কাছে যখন আমি ইসলাম পেশ করেছি তিনি কোন ইতস্তত করেননি এবং মেনে নিতে একটু বিলম্ব করেন নি I

হযরত যায়েদ বিন হারেসা ( রাঃ ) সম্পর্কে কোন বিস্তারিত বিবরণ বর্ণিত নাই যে , তিনি কিভাবে ঈমান আনেন । কিন্তু পনের বছর যাবত তিনি নবী করীম ( সাঃ ) -এর গৃহে তাঁর পরিবারের লোক হিসেবেই বসবাস করেন । নিশ্চয় তিনি নবী করীম ( সাঃ ) এবং হযরত খাদিজা ( রাঃ ) -কে নামায পড়তে দেখেছেন এবং এটাই তাঁর ইসলাম গ্রহণের কারণ হয়ে থাকবে ।

সূরা মুদ্দাসিরের প্রথম সাত আয়াত নাযিল

ওহী বন্ধ হওয়ার সময় উত্তীর্ণ হতে থাকে এবং সূরা মুদ্দাসিরের প্রাথমিক সাত আয়াত নাযিল হয় । যার মাধ্যমে নবী করীম ( সাঃ ) -কে রেসালাতের মর্যাদায় ভূষিত করে জরুরী হেদায়েত দেয়া হয় যা রেসালাতের দায়িত্ব পালনের জন্যে জরুরী ছিল ।

এখানে এ পার্থক্য ভালো করে উপলব্ধি করা উচিত যে , সূরায়ে আলাকের প্রাথমিক পাঁচটি আয়াত একথাই ঘোষণা করছিল যে , নবী করীম ( সাঃ ) -এর উপরে ওহী নাযিলের সূচনা হয়েছে এবং তাঁকে আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে নবী বানানো হয়েছে । সূরা মুদ্দাসিরের আয়াত গুলো দ্বারা নবুয়তের সাথে রেসালাতের দায়িত্বও তাঁর উপর আরোপিত করা হয়েছে ।

তাঁকে আদেশ করা হয়েছে – ওঠো এবং এ দায়িত্ব পালন করা শুরু কর । কোন কোন বর্ণনাতে এগুলোকে কোরআন পাকের সর্ব প্রথম আয়াত বলে উল্লেখ আছে । এখন সূরায়ে মুদ্দাসিরের আয়াতগুলোর প্রতি লক্ষ্য করুন এবং দেখুন যে এতে কি হেদায়াত আছে । ---

يـايـهـا الـمـدثـر ـ قـم فـانـذر ـ وربـك فـكـبـر - وثـيـابـك فـظـهـر – والـرجـذ فـاهـجـر – ولا تـمـنـن تستكثر ـ ولـدبـك فـاصبـر -

-- উচ্চারণ : ইয়া আইয়্যুহাল মুদ্দাচ্ছিরুকুম ফাআনযির - ওয়া রাব্বাকা ফাকাব্বির - ওয়া শিয়াবাকা ফাতাহ্‌হির ওয়ার রুজযা ফাহজুর ওয়ালা তামনুনা তাশ তাকসিরা ওয়ালি রাব্বিকা ফাছবির ।


অনুবাদঃ হে কম্বল মুড়ি দেয়া শায়িত ব্যক্তি । উঠুন এবং সতর্ক করে দিন । এবং নিজের রবের শ্রেষ্ঠত্বের ঘোষণা দিন এবং আপনার পোষাক - পরিচ্ছদ পবিত্র করুন । এবং অপবিত্রতা থেকে দূরে থাকুন । এবং ইহসান করোনা অধিক লাভের আশায় । এবং আপন রবের জন্যে সবর করুন । ( সূরা মুদ্দচ্ছির আয়াত - ১-৭ ) ।

হে কম্বল মুড়ি দিয়ে শায়িত ব্যক্তি । এখানে নবী করীম ( সাঃ ) -কে হে রাসূল , হে নবী বলে সম্বোধন করা হয় নাই , তার পরিবর্তে বলা হয়েছে হে কম্বল মুড়ি দিয়ে শায়িত ব্যক্তি । যেহেতু জিব্রাইল ( আঃ ) -কে নবী করীম ( সাঃ ) আসমান ও জমিনের মধ্যখানে চেয়ারে বসা অবস্থায় দেখে ভীত হয়ে পড়েন এবং এই অবস্থায় বাড়ি পৌঁছে বাড়ির লোকজনকে বলেন , আমাকে জড়িয়ে দাও আমাকে জড়িয়ে দাও ।

এই জন্যে আল্লাহ পাক তাঁকে মুদ্দাসির বলে সম্বোধন করেন । এই মধুর ডাক থেকে পরিষ্কার বুঝা যায় তাহলো — হে আমার প্রিয় বান্দা , তুমি কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে রয়েছ কেন ? তোমার উপরতো একটা বিরাট কাজের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে । তা পালন করার জন্যে ময়দানে নেমে পড় । উঠ এবং সতর্ক করে দাও ।

এটা হচ্ছে সেই ধরনের আদেশ যা নূহ ( আঃ ) -কে নবুয়ত দানের পর বলা হয়েছিল । -

انذر قـومـك مـن قـبـل ان يـاتـيـهـم عـذاب الـيـم -

—তোমার জাতিকে সতর্ক করে দাম তাদের উপর যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি আসার পূর্বে । ( সূরা নূহ আয়াত -১ ) ।

সূরা মুদ্দাসিরের উক্ত আয়াতের অর্থ এই - হে কম্বল মুড়ি দিয়ে শায়িত ব্যক্তি উঠে পড় এবং তোমার চারপাশের লোকেরা যে অবহেলায় জীবন কাটাচ্ছে , তাদের সতর্ক করে দাও । এই ভ্রান্ত অবস্থায় যদি তারা লিপ্ত থাকে তাহলে তার পরিণাম থেকে সাবধান করে দাও । তাদেরকে সতর্ক করে দাও যে , তারা যা খুশি তাই করবে আর তার জন্যে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না ।

এবং নিজের রবের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর । তা হচ্ছে একজন নবীর সর্বপ্রথম কাজ যা এই পৃথিবীতে তাঁকে করতে হয় । তাঁর প্রথম কাজ জাহেল মানুষ যাদেরকে খোদা বলে মেনে নিয়েছে তা সব বাতিল করে দিতে হবে । প্রকাশ্য ঘোষণা দিতে হবে , এই বিশ্ব জগতের একজন আল্লাহ ছাড়া আর কেউ শ্রেষ্ঠ নয় । এই জন্যে ' আল্লাহু আকবার ' কালেমার সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয় ।


নিজের পোষাক - পরিচ্ছদ নৈতিক দোষ - ত্রুটি থেকে পবিত্র রাখ । নবীর পোষাক পরিচ্ছদতো অবশ্যই পবিত্র হবে । কিন্তু তার মধ্যে গর্ব অহংকার , লোক দেখানোর মনোবৃত্তি , জাকজমকভাব , প্রভাব প্রতিপত্তির চিহ্ন না থাকে । পোষাক মানুষের ব্যক্তিত্বের প্রকাশ ঘটিয়ে থাকে । এমন পোষাক পরিধান করা উচিত যাতে যে কেউই ধারনা করতে পারে লোকটি ভদ্র , রুচিবান এবং সর্ব অবস্থায় ভাল মানুষ । আরবি প্রবাদবাক্য বা বাগধারায় বলা হয়ে থাকে

فلان طـاهـر الـثـيـهـاب ـ فـلان طـاهـر الـذيـل

অমুক ব্যক্তির কাপড় পাক পবিত্র এবং তার পোষাক - পরিচ্ছদ পবিত্র । তার অর্থ এই তার স্বভাব - চরিত্র উত্তম । পক্ষান্তরে বলা হয়

فلان دنس 

الثياب
তার কাপড় চোপড় ময়লা অর্থাৎ সে বদ প্রকৃতির লোক । তার কথাবার্তার কোন বিশ্বাস নেই । তারপর নবী করীম ( সাঃ ) কে বলা হলো ময়লা অপবিত্রতা থেকে দূরে থাক । ময়লা বা নোংরামী বলতে এখানে সব রকমের নোংরামিই বোঝায় ।

তা আকিদা বিশ্বাস ও চিন্তাধারার নোংরামির হোক , আমল আখলাকের নোংরামি হোক , দেহ ও পোষাক - পরিচ্ছদের নোংরামি হোক অথবা জীবন পদ্ধতির নোংরামি হোক , অর্থাৎ তোমার চারপাশে গোটা সমাজে বিভিন্ন প্রকারের যে সব নোংরামি বিস্তার লাভ করে আছে , সে সব থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে ।

কেউ যেন তোমার প্রতি কোন অভিযোগ আরোপ করতে না পারে যে , যে সব নোংরামি ও অনাচার থেকে তুমি লোকদেরকে বিরত রাখছ , সে সবের মধ্যে কোন কোনটার চিহ্ন তোমার মধ্যে পাওয়া যায় । এবং ইহ্সান করোনা অধিক লাভ করার জন্যে । যার প্রতিই দয়া অনুগ্রহ করবে , নিঃস্বার্থভাবে করবে । তোমার দান , অনুগ্রহ ও সদাচারণ শুধু আল্লাহ পাকের জন্যে হতে হবে ।

উপকার ও কল্যাণ করার বিনিময়ে তুমি পার্থিব কোন সুযোগ - সুবিধা হাসিল করবে এমন ধরনের কামনা - বাসনা যেন তোমার মনে না থাকে । কারো কল্যাণ করলে তা আল্লাহর জন্যে করবে । নবুয়তের কাজের জন্যে নবী করীম ( সাঃ ) যা করেছেন , তার কল্যাণের জন্যে গর্ব অহংকার করার জন্যে নিষেধ করে দিয়েছেন । যাতে কোন ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল না হয় । এবং আপন রবের জন্যে সবর কর ।

অর্থাৎ যে কাজ তোমার দায়িত্বে দেয়া হয়েছে তা অতি প্রাণান্তকর কাজ । এ কাজের জন্যে তোমাকে কঠিন বিপদ - আপদ , দুঃখ - কষ্ট ও ভয়ানক অসুবিধার মধ্যে পড়তে হবে । তোমার জাতি তোমার দুশমন হয়ে পড়বে । সমগ্র আরব তোমার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হবে । এ পথে যত কষ্টই আসুক তোমাকে ধৈর্য ধরে থাকতে হবে । তোমার সংকল্পে অটল থাকতে হবে ।

সূরা মুদ্দাসিরের পর নবী করীম ( সাঃ ) -এর উপর ধারাবাহিকভাবে ওহী নাযিল হওয়া শুরু হয় । ওহী নাযিলের প্রথম দিকে ওহী ভুলে যাওয়ার আশংকায় তিনি তা মুখস্থ করে মনে রাখার চেষ্টা করতেন । আবার কখনও ওহী নাযিলের সময় কোন কিছুর অর্থ জিজ্ঞেস করতেন ।

এই জন্যে নবী করীম ( সাঃ ) -কে ওহী মনে রাখার পথ বাতলিয়ে দেয়া হয় । সূরা তা - হা - য় বলা হয়েছে ।


فتعلى الله الملك الحق ولا تعجل بالـقـران من قبل ان يقضى الـيـك وحـيـه وقـل رب زدنی علما -


উচ্চারণ : ফাতায়ালাল্লাহু মালিকুল হাক্কু ওয়ালা তা জাল বিল কুরআনি মিন কাবলি আইয়ুকছা ইলাইকা ওয়াহয়ুহু ওয়াকুল রাব্বি জিদনি ইলমা ।

অনুবাদঃ  উচ্চ ও মহান আল্লাহ । তিনিই সত্যিকার বাদশাহ । আর দেখ হে নবী কোরআন পড়তে তাড়াহুড়া করোনা যতক্ষণ না তোমার উপর ওহী পুরোপুরি পৌঁছে গেছে । এবং দোয়া কর , হে আমার পরওয়ারদেগার আমাকে বেশি বেশি ইলম ( জ্ঞান ) দান কর । ( সূরা তা - হা - আয়াত -১১৪ ) ।

সূরা কিয়ামাহ নাযিলের সময়েও এ অবস্থা হয়েছিল । এজন্যে বক্তব্যের ধারাবাহিকতা ছিন্ন করে তাঁকে সতর্ক করে দেয়া হলো এটা স্মরণ রাখার জন্যে তাড়াহুড়া করে নিজের জিহবা বারবার চালনা করো না , এটা মনে করিয়ে দেয়া এবং পড়ায়ে দেয়া আমাদের দায়িত্ব । অতএব , যখন আমরা তা শুনাচ্ছি তখন মনোযোগ দিয়ে শুনতে থাক তারপর তার মর্ম বুঝিয়ে দেয়াও আমাদের দায়িত্ব । ( সূরা কিয়ামাহ আয়াত - ১৬-১৯ । ) সুরায়ে আ’লাতেও নবী করীম ( সাঃ ) -কে এ নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে যে , “ আমরা তোমাকে পড়িয়ে দেব এবং তুমি তারপর আর তা ভুলে যাবে না ।


আমাদের ওয়েব সাইটের বিষয়বস্তু অনুলিপি করা এবং এটি অন্য কোনও ওয়েবসাইটে পুনরায় প্রকাশ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এটি আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। সুতরাং সাবধান, আমাদের সাইটের লিখিত সামগ্রী কপি করবেন না।



যদি আপনার ডাউনলোড করতে সমস্যা হয় তবে দয়া করে মন্তব্য করুন বা ফেসবুক পেজে আমাদের সাথ যোগাযোগ করুন।



  • ডিজাইনার: মামুনুল হক
    • সংস্থা: ইসলামিক পিএলপি ফাইল
    • ফাইল ফর্ম্যাট: জিপ সংরক্ষণাগার।
    • ডিজাইনের ফর্ম্যাট: পিএলপি (পিক্সেলল্যাব প্রকল্প) [জেপিজি সংযুক্ত]।
    • ডিজাইন সফটওয়্যার: পিক্সেলল্যাব
    • ডিজাইনের রেজুলেশন: আল্ট্রা এইচডি।
    • ডিজাইনের রঙ: আরজিবি কালার।
    • প্রিন্ট প্রস্তুত: হ্যাঁ।
    • ডিজাইন সমর্থিত অ্যাপ্লিকেশন: পিক্সেলল্যাব ডার্ক।
    • ডিজাইনের অবজেক্টের ধরণ: স্মার্ট অবজেক্ট।
    • ডিজাইনের ধরণ: প্রিমিয়াম ডিজাইন।
    • নকশা মূল্য: বিনামূল্যে।
    • ডিজাইন কোড : I P F - 01






এখনই ডাউনলোড করুন



3 Comments

  1. প্রেমিকার জন্য রোমান্টিক প্রেমের ছন্দ ~(বাংলা স্ট্যাটাস)


    প্রিয় মানুষকে নিজের অনুভূতি ভালোবাসার কথা প্রকাশ করতে আমাদের এই এ্যাপটি ব্যবহার করুন।


    প্রেমিকার জন্য রোমান্টিক প্রেমের ছন্দ এই app এ আছে অনেক প্রেমের শায়েরী , ভালোবাসার কথা, রোমান্টিক প্রেম, প্রেমের স্ট্যাটাস, Premer Ukhti, Valobashar Sms সুন্দরী মেয়ে পটানোর মেসেজ রোমান্টিক sms
    যা আপনি আপনার প্রিয় মানুষটিকে খুশি করার জন্য অবশ্যই কাজে লাগাতে পারেন।

    প্রেমিকার জন্য রোমান্টিক এস এম এস অ্যাপ অত্যন্ত সহজ এবং সুন্দর একটি App, যেখান থেকে আপনি সকল দরনের ভালোবাসার রোমান্টিক এস এম এস গুলিকে খুব সহজে Copy এবং Share করতে পারবেন।Share করার জন্য এসএমএস
    এর নিচে Copy এবং Share এর বোতাম দেয়া আছে, সেই বোতামটি টিপে আপনি সেই এসএমএস টি Share করতে পারবেন
    https://play.google.com/store/apps/details?id=com.tubanewapps.romanticsundaymalaostatus

    ReplyDelete
  2. আলহামদুলিল্লাহ 💕
    খুবই ভালো উদ্যোগ ভাই।
    নোংরা বিজ্ঞাপনের পরিবর্তে মহান আল্লহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার বাণী প্রচার 😍🥰❣️❤️💕
    جـَـــــــــــزَاكَ اللـّٰهُ خيْــــــــــــــرً

    ReplyDelete
  3. জনাব, সালাম নিবেন। আশা করি ভাল আছেন। আমি ফ্রি পিএলপি ফাইলগুলো ডাউনলোড করতে পারছিনা, দয়া করে সমাধান করে দেন।

    ReplyDelete
Previous Post Next Post