আরবী নববর্ষ কীভাবে প্রচলিত হয়েছিল জেনে নিন।

আরব পাশাপাশি মানুষের ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা যায় কোনো অনির্দিষ্ট ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিন তারিখ হিসাব করতেন আরব বেদুইনরা। তবে তাদের মধ্য সাল বা বছর গণনার প্রচলন ছিল না বললেই চলে সভ্যতার শুরু থেকে মানুষ সময়কে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে আসছে বছর মাস দিন সৃষ্টির সূচনা থেকে মহা কালের সাক্ষী হয়ে রয়েছে। 



কিন্তু এই হিসেবে মানুষ এর ধারণা ও আয়ত্তে আসতে লেগেছে অনেক সময় আধুনিক গবেষণার প্রমাণিত চন্দ্র  সূর্য উভয়ের মাধমে তারিখ নির্দিষ্ট করা যায় নানা পরিবর্তন পরিমার্জন ও পরিবর্তন আরবদের দিক থেকেও তার কোনো ব্যতিক্রম হয় নি। প্রাচীন আরবে বিভিন্ন সংস্কৃতি অঞ্চল থাকলেও তার কেন্দ্রীয় বিন্দু ছিল কাবাব আরবদের মধ্যে সন বা বছরের হিসাব প্রচলিত না থাকলেও যুগ যুগ ধরে ছিল মাসের প্রচলন। 



আরবের উপস্থিত বাহিনী সত্তর খ্রিস্টাব্দের কাবাঘর ধ্বংসের দিকে গিয়েছিল সেই ঘটনা কে ধরে আরবরা হস্ত গণনা শুরু করে এছাড়া প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ বা কোনো যুদ্ধকে মনে করে আরবদের মধ্যে ও গণনার প্রচলন ছিল। বায়তুল মাকদাস ধংসের সময় ঈসা নবী জন্ম বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ  ব্যক্তির জন্ম হলেও সন বা সাল গণনা করা হতো তবে সেই যোগে গণনার সুনির্দিষ্ট কোনো পদ্ধতি ছিল না এছাড়া মিশরীয় দেব দেবীর নাম বছর সন আরবদের মধ্যে কিছু হারাম মাস প্রচলন দেখা যায়। 



এছাড়া মিশরীয় দেব দেবীর নামে আরবদের মধ্যে বেশ কিছু হারাম কথা জানা যায় তার ঠিক হতো ৩৬০ প্রতিভার পূজা হিসেবে রি হিসেবে এই মাসগুলোকে তারা মনে করত। এসব মাসে পশু হত্যা ও যুদ্ধ নিষিদ্ধ ছিল ইতিহাসবিদ আল্লাহ শিবলী নোমানী তার প্রসিদ্ধ গ্রন্থ আল ফারুকে লিখেছেন মুসলিম জাহানের দ্বিতীয় খলিফা হজরত উমর রাঃ শাসন আমি আমলে ১৬ হিজরী সনে শাওয়াল মাসে খলিফার কাছে একটি একটি পত্রের লেখাটা তোলে ধরা হয়। 



সুনির্দিষ্ঠ খলিফার সঙ্গে পরবর্তী কোনো সময়ে তা বোঝা যাবে এটি কোন সনে প্রেস করা হয়েছিল এর পরে তিনি সাহাবায়ে কেরাম ও অন্যান্য শীর্ষ পর্যায়ে জ্ঞানীগুণীদের পরামর্শে হিজরীর ১৬ বছর পর ১০ জমাদিউল ৬৩৮ ক্রিস্টাব্দে হিজরীর সনে প্রবর্তনে এই ঐতিহাসিক স্থানটির ঘোষণা করেন। এক ঘটনায় জানা যায় একবার হজরত আবু মুসা রাঃ খলিফা উমর রাঃ কে লেখা চিঠিতে বলেন বিশ্বাসীদের নেতা আপনার পক্ষ থেকে আসা শাসন কার্যের সাথে সংশ্লিষ্ট উপদেশ পরামর্শ এবং নির্দেশ সম্বলিত বিভিন্ন চিঠিপত্র ও দলিলে কোন সন তারিখ না থাকায় আমরা তার সময় ও কাল নির্ধারণে যথেষ্ট। 




সমস্যার সম্মুখীন হয় অধিকাংশ সময় এসব নির্দেশনার সাথে পার্থ্যক করা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে বলে আপনার নির্দেশ ও উপদেশ পালন করতে যেয়ে বিভ্রান্তি মধ্যে পড়তে হয়। এই গুরুত্বপূর্ণ পত্র পাওয়ার পর উমর রাঃ মুসলিম বিশ্বের শ্রেষ্ঠ স্থানীয় এক পরামর্শে আয়োজন করেন সভায় সাহাবীগণ কেরামদের কেও তারিখ গণনার প্রস্তাব দেন কেউ প্রস্তাব দেন হিজরত থেকে আবার কেউ রাসূল সাঃ এর উপাধি দিন গুলো তারিখ গণনার দিন পর্যালোচনা করেন। 



আছে হজরত আলী রাঃ পরামর্শ দেন হিজরতের কেন্দ্র করে নতুন সল্ গণনার শুরু করা হউক সাহাবীরা কেরামদের এসব প্রস্তাব দেওয়ার পর হিজরত থেকে আবার কেউ উপাধি সাল গণনার করলে এত=এই হিসাব ইতিহাসে লেখা হয়ে থাকে।এমন কতগুলো উল্লেখ্য করে যেই স্মৃতি এই মাসকে মহররম বা সম্মানিত বলে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। 



তাইত এই মাসকে নয় দশ অথবা দশ এগারো তারিখে দুটি রোজা রাখা উত্তম হাদিসে বর্ণিত হয়েছে হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ হতে বর্ণিত তিনি বলেন আমি রাসূল সাঃ কে রোজা রাখার জন্য এতো অধিক আগ্রহী হতে দেখিনি যত দেখেছি মহররমের আশুরার দিন এবং রমজান মাসে রোজার প্রতি।  

Post a Comment

Previous Post Next Post